যারা প্রভুত্ব গোপন ক’রতে জানে, প্রণয়িনী কুপিতা হলে তাকে দাসের মতো (সেবা ক’রে) সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করে, তারাই মহিলাদের প্রকৃত প্রণয়ী, অন্যেরা কেবল বর্বর স্বামী মাত্র।”
প্রহতার পতিসোহাগিনী চণ্ড-নায়িকা কি ভাবে তিনি স্বামীকে বশে রাখেন, তারই গল্প বান্ধবীদের কাছে ব’লে গর্ব ক’রছেন:
“একং পহরুবিন্নং হৎথং মুহমারু এ ণ বীঅন্তো।
সো বি হসন্তীএ মএ গহিও বীএন কণ্ঠস্মি॥”
“এক হাতে তাকে চড় মারলুম (হাতটা জ্বলে উঠল) হাতে ফুঁ দিতে দিতে আর এক হাত দিয়ে হাসতে হাসতে তার গলা জড়িয়ে ধরলুম, (সে কৃতার্থ হ’য়ে গেল)।”
রেবার কবিতায় অপরাধী নায়ক নায়িকার কাছে ক্ষমা চাইছেন: নায়িকা চ’টে আগুণ হ’য়ে বলছেন:
“কিং দার কঅ অহবা করেসি কারিস্সি সুহঅ এত্তাহে।
অবরাহাণঁ অলজ্জির সাহসু কহএ খমিজ্জন্তু॥”
“হে নির্লজ্জ, তোমার কোন অপরাধ আমি ক্ষমা ক’রব? যে অপরাধগুলি তুমি আগে করেছ, না যে অপরাধগুলি তুমি এখন ক’রছ, না, যে অপরাধগুলি তুমি ভবিষ্যতে করবে?”
শশিপ্রভার কবিতায় অত্যন্ত সেকেলে নায়িকা স্বামীর অবহেলা সহ্য ক’রেও তাঁকে ভালো না বেসে থাকতে পারেন না। তিনি ব’লছেন:
“জহ জহ বা এই পিত্ত অহ তহ নচ্চামি চঞ্চলে পেম্মে।
বল্লী বলেই অঙ্গং সহাব-যদ্ধে বিরুক্খস্তি॥”