জ্যোৎস্না রাতে ঘুমিয়ে রবে ধরা,
গগন পবন থাকবে স্বপনভরা,
তখন তুমি আমায় দেবে ধরা,
কণ্ঠে নে’বে আমার মালাখানি।”
এই কবিতার আবেগময়ী ভাষার সঙ্গে তুলনীয় অভিমানী কবিতার:
“হাসি খেলা অভিনয়ে অশ্রুজলে ঢাকি,
ভেবেছিলাম এম্নি করে তোমায় দেব ফাঁকি।”
‘রাধার স্বপ্ন’ কবিতার ছন্দমাধুর্য,—
“কোথা সে মধুনিশি গেছে মিশি সজনি,
স্বপন-শোভা ভরা মনোহরা রজনী!
স্মরণে আসে শুধু, হাসে বিধু আকাশে,
কি সুরে গাহে পাখী, অমিয়া কি, মাখা সে!
যমুনা আনমন, তীরবন লগনা।
যেন কি ধ্যান ভরে, রহিত রে, মগনা!
বাজিত নিরজনে, দূর বনে, বাঁশরী।
ডাকিত বুঝি কারে, আপনারে, পাশরি!
দক্ষিণ সমিরণ, ফুলবন, লুটিত,
মরমে সুখসাধ, আধ আধ, ফুটিত।”
তাঁর একান্ত আত্ম-নিবেদনের করুণ সুরটুকু;—
“জীবনব্যাপী সাধনা দিয়ে তোমারে আমি চেয়েছি,
হৃদয়ভরা বেদনা নিয়ে তোমারে বুকে পেয়েছি।
বেদনানলে দহন করে, দিয়েছ মান দয়িত মোরে,
ফেলিয়া পাশে যাবে না সরে, সে আশা আজ পেয়েছি।