পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
১৯১

 আধুনিক হিন্দী মহিলা লেখিকাদের মধ্যে সকলের নাম আমরা জানি না। যাঁরা খুব বিখ্যাত তাঁদের ভিতর প্রয়াগ মহিলা বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ শ্রীমতী মহাদেবী বর্মার নাম উল্লেখযোগ্য। তাঁর “নীহার”, “যামা”, “সান্ধ্যগীত” প্রভৃতি কবিতার বই হিন্দী সাহিত্যে বিখ্যাত। প্রসিদ্ধ গল্পলেখক শ্রীপ্রেমচন্দের পত্নী শ্রীমতী শিবরাণী দেবী কবিতা লিখে, দিল্লীর শ্রীমতী সত্যবতী মল্লিক, মিরাটের শ্রীমতী হোমবতী দেবী এবং কাশীর শ্রীমতী ঊষা মিত্র গল্প লিখে হিন্দী সাহিত্যে খ্যাতি লাভ করেছেন। এঁদের পূর্ববর্ত্তী যুগে শ্রীমতী হেমন্তকুমারী চৌধুরাণী নামে আর একজন বঙ্গনারী হিন্দীতে লিখে যশস্বিনী হয়েছিলেন। কাশীর শ্রীশ্রীভারত ধর্মমহামণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত আর্যমহিলা হিতকারিণী মহাপরিষদের এবং মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির সংস্থাপিকা এবং সর্বাধ্যক্ষ শ্রীমতী বিদ্যা দেবী কবিতা এবং সমাজ, শিক্ষা ও ধর্মনীতি সম্বন্ধীয় বহুসংখ্যক উচ্চাঙ্গের পুস্তকের রচয়িত্রী। এই উচ্চশিক্ষিতা দৃঢ় নিষ্ঠাবতী বালবিধবা বহু পুস্তিকা, ধার্মিক রচনা এবং শিক্ষা প্রচারেই তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গিত করেছেন।

 যুক্তপ্রদেশের শিক্ষিত নারীদের মধ্যে দেশসেবিকা শ্রীমতী বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিতের নাম সর্বাগ্রগণ্য। এদেশে তিনিই সর্বপ্রথম মহিলা মন্ত্রী। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামে তিনি বহুবার নির্যাতিতা এবং কারারুদ্ধা হয়েছেন। আজও দুর্ভাগ্য দেশের পক্ষ হয়ে আমেরিকার যুক্তরাজ্যে তিনি যে সকল জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিচ্ছেন, তার ফলে ভারতবর্ষের প্রকৃত অবস্থা সম্বন্ধে সেখানকার লোকেদের আর কোন কথা জানতে বাকী