পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি

প্রয়োজন যে, মিস টাটাই প্রথম ভারতীয় মহিলা ব্যারিষ্টার। বর্ত্তমানে তিনি বোম্বাই হাইকোর্টে ব্যবসায় রত আছেন। তাঁর পূর্বে মিস কর্ণেলিয়া সোরাবজী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রশংসার সহিত আইনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও এবং ব্যারিষ্টার হ’লেও তাৎকালীন প্রথামত প্রাক্‌টিস করতে অধিকারিণী ছিলেন না। এদেশের কোর্ট অব ওয়ার্ডের পর্দানসীন মহিলাবৃন্দের আইন-বিষয়ক পরামর্শদাত্রী রূপে দীর্ঘকাল তিনি কৃতিত্বের সহিত কাজ করে গেছেন। ইংরাজীতে কবিতা রচনা করেও তিনি যশ লাভ করেছিলেন। ১৯১৬ খৃষ্টাব্দেও কলিকাতা হাইকোর্টে ওকালতী করবার অনুমতিলাভ মিস রেজিনা গুহর পক্ষে সম্ভবপর হয়নি। কিন্তু বিগত মহাসমরের অবসানের পর বাধা অপসারিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন প্রদেশে অনেকগুলি মহিলা ব্যারিষ্টার বা উকিল হ’তে পেরেছেন।—মিস সীতা দেবদাস, মিসেস ধরমশীলা লাল (বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ্ ব্যারিষ্টার পরলোগত কাশীপ্রসাদ জয়সোয়াল মহাশয়ের কন্যা), বেগম ফরুকি, মিস টিওসুন কিম, আভা মেহেতা, ভিঘু বাটলিওয়ালা এঁরা ব্যারিষ্টার এবং শ্রীমতী সুধাংশুবালা হাজরা, শ্যামকুমারী নেহরু, বেগম সখিনা মুঈদজাদা, আনা চণ্ডী, মিস কর্থি অম্মল, বিমলা দেশমুখ এঁরা হলেন উকিল।

 ভারতকে ভালবেসে ভারতবাসীকে আপনার করে নিয়ে যে কয়েক জন মনস্বিনী বিদেশিনী মহিলা ভারতের মঙ্গলের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের মধ্যে মাদাম ব্লাভার্টস্কি, ভগিনী নিবেদিতা, এনি বেসান্ত এবং মহাত্মা গান্ধীর শিষ্যা মিস স্লেড বা মীরা বেনের নাম উল্লেখযোগ্য। শুধু স্বামী