অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল্রে চল্রে চল্।”
এঁরা কিরণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রশ্ন করলেন না,—কেন মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত তোমারি?” সুসঙ্গের মহারাজ কমলকৃষ্ণের মত গাইলেন না;—
“বিরলে বিজনে বসে কে মা তুমি একাকিনী?
অবিরল নেত্রনীরে ভাসিছে বদনখানি,
আর্যাবর্ত পুণ্যভূমি তার অধিষ্ঠাত্রী তুমি
কোন দুঃখে ম্লানমুখে নয়ননীরবাহিনী?”
হেমচন্দ্রের মত সাবধানতার সঙ্গে বলছেন না;—
“ভয়ে ভয়ে লিখি, কি লিখিব আর?
না হলে শুনিতে এ বীণা ঝঙ্কার।”
গোবিন্দ রায়ের মত অনুপায়া মাকেই ব্যর্থ প্রশ্ন করছেন না;—
“কত কাল পরে, বল ভারতরে, দুঃখসাগর সাঁতারি পার হবে?”
এ প্রশ্নের উত্তর ছেলের মুখেই ধ্বনিত হ’ল;—
“আমরা ঘুচাব মা তোর কালিমা
মানুষ আমরা নহি ত’ মেষ।
দেবী আমার, সাধনা আমার, স্বর্গ আমার, আমার দেশ।”
আনন্দচন্দ্র মিত্র ভারতমাতার প্রতিনিধিত্বে ঘুমন্ত ও অধজাগরিত সন্তানদের জানিয়ে দিলেন;—
“উঠ উঠ সবে ভারতসন্তানগণ
থেক না থেক না আর মোহনিদ্রা অচেতন।”