У е সাহিত্য-মীমাংসা (Knowledge of Universal Concomitance) o osostols so পর্বতরূপ পক্ষে অবস্থানরূপজ্ঞান ( যাহাকে স্তায়ের পরিভাষা অনুসারে ‘পরামর্শজ্ঞান’ বলা হইয়া থাকে—এই পরামর্শজ্ঞানই অনুমিতির অব্যবহিত কারণ ) । এই উভয়ই তাহার আত্মার সহিত সমবেত হইয়া আছে । আবার দূরস্থিত পর্বতের সহিত চক্ষুবিন্দ্রিয়ের সন্নিকৰ্ষ হওয়ায় পর্বতবিষয়ক প্রত্যক্ষজ্ঞানের সামগ্ৰীও রহিয়াছে। এই স্থলে জিজ্ঞাস্য ; পরমাশজ্ঞানের সাহায্যে পর্বতস্থ বহির আকুমান হইবে, না, চক্ষুঃসন্নিকৃষ্ট দূরস্থ পর্বতের প্রত্যক্ষ হইবে ? নৈয়ায়িকগণের মতে এই স্থলে বহ্নিবিষয়ক আনুমানাত্মক জ্ঞানই জন্মিবে । কেন না, প্রত্যক্ষ ও অহমানের বিষয় এই স্থলে পরস্পর বিভিন্ন। একটির বিষয় ইন্দ্ৰিয়সন্নিকৃষ্ট পর্বত, অপরটির বিষয় পরোক্ষ বহ্নি, এবং প্রত্যক্ষ ও অকুমানের যেখানে বিষয়ভেদ বর্তমান, সেখানে অনুমান সামগ্রীই অধিতকর প্রবলইহাই দার্শনিকগণের সিদ্ধান্ত । নৈয়ায়িকগণের উপরিবর্ণিত সিদ্ধান্ত দুইটি মনে রাখিলে আমরা পূর্বনিদিষ্ট প্রশ্নটির তাৎপর্য হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইব । যখন সহৃদয় সামাজিক দুৰ্য্যন্তরূপী নটের অভিনয়দর্শনে তন্ময় হইয়া রহিয়াছেন, তখন তিনি দুষ্যস্তরূপী মটকে প্রত্যক্ষ করিতেছেন, আবার তাহার কৃত্রিম আঠু ভাব প্রভৃতি প্রত্যক্ষ করিতেছেন । সে সকল আহ্বভাব নটের আস্তরস্থায়িভাবের পরোক্ষ অকুমানায়ক জ্ঞানের প্রতি "লিঙ্গ বা হেতু । এক্ষণে সামাজিকগণের চিত্তে কি প্রকার জ্ঞান জন্মিবে ? “আমি মহারাজ দুৰ্য্যস্তকে প্রত্যক্ষ করিতেছি”, এই রূপ প্রত্যক্ষজ্ঞানই কি উৎপন্ন হইবে, অথবা অতু ভাব প্রভৃতির দ্বারা “আমি দুন্যস্তরূপ পক্ষে রতি রূপ স্থায়িভাবের অনুমান করিতেছি”, এইরূপ অন্সমিতি জন্মিবে ? শঙ্ককেল অতুবতী অলঙ্কারিক আচার্যগণ বলেন যে, এই স্থলে নৈয়ায়িক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রতিবিষয়ক অকুমানই উৎপন্ন হইবে । কেন না, প্রত্যক্ষ ও আকুমানের বিষয় এখানে বিভিন্ন—একটির বিষয় স্বাস্তরূপী নট, অপরটির বিষয় মহারাজ-দুৰ্যন্তনিষ্ঠ-রতিভাব । সুতরাং ‘নের অবসরে প্রেক্ষকগণের চিত্তে “আমি মহারাজ দুৰ্য্যন্তকে প্রত্যক্ষ
