পাতা:সাহিত্য-মীমাংসা - বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b”२ সাহিত্য-মীমাংসা ফুরণের দ্বারা আস্তর রতি প্রভৃতি স্থায়িভাবও প্রকাশিত হইয়া উঠে । সেইজন্যই ভট্টনায়ক রসচর্বণকে ‘ব্রহ্মাস্বাদসহোদর বলিয়াছেন। স্বতরাং রসচর্বণায় আত্মার আনন্দ ও চৈতন্যাংশ রাত প্রভৃতি স্থায়িভাবের দ্বারা উপরক্ত—ঐ সকল স্থায়িভাব চিদানন্দময় ব্রহ্মের উপাধি বা adjunct মাত্র । সেইজন্যই শৃঙ্গার, হাস্য, করুণ, রৌদ্র প্রভৃতি বিভিন্ন রসাচুভূতির স্থলে আনন্দোপলব্ধি যদিও সর্বসাধারণ, তথাপি সেই আনন্দের মধ্যে প্রকারভেদ আছে—বৈলক্ষণ্য আছে। একই স্ফটিকখণ্ড যেমন জপা, নীলোৎপল প্রভৃতি কুসুমের সান্নিধ্যবশত যথাক্রমে রক্ত নীল প্রভৃতি বিভিন্ন বর্ণের দ্বারা রঞ্জিত হইয়া পৃথক বলিয়া প্রতিভাত হয়, সেইরূপ স্বরূপাবস্থিত আত্মচৈতন্যের নৈসর্গিক আনন্দ যদিও অপরিণামী ও ভেদশূন্ত, তথাপি কাব্য ও নাট্যের ভাবনাব্যাপারের বশে রতি প্রভৃতি বিচিত্র স্থায়িভাব যখন হৃদয়সংবাদক্রমে সহৃয়ের অস্তরের মধ্যে সংক্রামিত হইয়া নিবা বরণ চৈতন্যের সান্নিধ্যে উপস্থাপিত হয়, তখন সেই সেই স্থায়িভাবের দ্বারা উপবঞ্চিত আনন্দ ও স্বরূপত অভিন্ন হইলেও সহৃদয়ের অনুভূতিতে বিভিন্ন আকারে প্রতিভাসিত হইয়। উঠে । এই জন্য শুঙ্গারে আমরা যে আনন্দ অতুভব করি, করুণরসের চর্বণ জনিত আনন্দোপলব্ধি হইতে উহা বিলক্ষণ । কেন না, প্রথমটিতে অগনন্দংশের উপাধি রতি, দ্বিতীয়টিতে শোক । সুতরাং ভট্টনায়কের মতে রসচরণার উপযোগী ব্যাপারক্রয় কল্পনা করিতে হয় । অভিধা, ভাবনা এবং ভোগীকৃতি । এই তিমটির মধ্যে 'ভোগীকৃতি’ ব্যাপারটিই মুখ্য, অন্য দুইটি তাহারই অঙ্গমাত্র । সেই জন্য ভট্টনায়ক বলিয়াছেন : ‘দ্বয়ো গুণত্বে ব্যাপারপ্রাধান্যে কাব্যগীর্ভরেং । আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, পরবতী টাকাকারগণ ভট্টনায়কের উপরিবর্ণিত ভূক্তিবাদকে সাংখ্যসিদ্ধাস্তের উপর প্রতিষ্ঠিত বলিয়া কল্পনা করেন। সত্য বটে,—সত্ত্ব, রজঃ এবং তম: এই গুণত্রয় ভটনায়ক স্বীকার করিয়াছেন, এবং সাংখ্যদর্শনই উহাদের আকর । কিন্তু পাতঞ্জল, বেদাস্ত প্রভূতি অনুig