পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্ম রাষ্ট্র রামমোহন রায় । \}}. ধৰ্ম্ম বহু পরম পুরুষের "ধৰ্ম্মশাসনে অবিচলিত ; বিশ্বাস ছিল তদ্ভিন্ন এরূপ বীরত্ব জীবনে আসে না । ইহা হইতেই তাহার চরিত্রের একটি উপাদান উৎপন্ন হইয়াছিল। তাহা আপনার জীবনকে ও শক্তি সকলকে ঈশ্বরের ন্যস্ত। সম্পত্তি বলিয়া অনুভব করা । আমার মানসিক বৃত্তি, দেহের বল, লৌকিক ও সামাজিক সুবিধা সমুদয় মঙ্গলময় পুরুষের গচ্ছিত ধন, তাহার ইচ্ছানুসারে ব্যয় হইবার জন্য, তাহারই প্রিয় কাৰ্য্য সাধনের জন্য,-এই DD 0S S BDB DDBT SBBDS S BDDDBB SBBB BBS DDD DDDSS কোনও মানুষ এ জগতে মহৎ কাৰ্য্য করিতে সমর্থ হন নাই, সকল মহামনা মানুষের জীবনে এক অপূৰ্ব বাধ্যতার ভাব দেখা গিয়াছে। কে যেন তাঁহাদিগকে বলপূর্বক ধরিয়া কাজ করাইয়া লইয়াছে; বাধ্য করিয়া খাটাইয়াছে; তাঙ্গারা অনুভব করিয়াছেন যে, তাহারা যাহা করিতেছেন, তাহা না করিয়া পার মাই। সেণ্ট পলু একস্থলে বলিয়াছেন, “The love of Christ constraineth me-taits খীপ্তর C2. আমাকে বাধা করিতেছে।” কেবল পলাই যে এই প্রকার বাধ্যতা অনুভব করিয়াছিলেন, তাহা নহে। প্ৰত্যেক মহামনা মানুষ এইরূপ বাধ্যতা অনুভব করিয়াছিলেন । এই যে জীবনের ভিতরে দায়িত্ব-জ্ঞান, এই যে অস্ফুট। কিন্তু নিরন্তরোন্বেলিত বাধ্যতা-জ্ঞান, ইহা ভিন্ন কে কৰুে বড় হইয়াছে ? কে কবে বজমুষ্টিতে কাৰ্য্য করিয়াছে ? কে কবে বীরের স্থায় সংগ্রাম-ক্ষেত্রে দাড়াইয়াছে ? : রামমোহন রায় ভাবিজ্ঞাছিলেন, যে যা বলে বলুক, যে যা করে করুক, লোকে দেখুক আর না দেখুক, আমার জীবনের পূর্ণতা আমি লাভ করি, আমার প্রতি যে কাৰ্যভার পড়িয়াছে তাহা আমি সাধন করিয়া যাই। তুমি আমি যদি বিশ্বাসে বা প্রেমে এতটা ধরিতে পারিতাম, তাহা হইলে আমিও বীরের স্থায় কাজ করিয়া