পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

建制 সাহিত্য-রত্নাবলী । কে সম্ভব বলিয়া মনে করিতে পারিত যে, এই কপিসহায়, অরণ্যচারী রামের হন্তে এই রাবণ সবংশে নিধন প্ৰাপ্ত হইবে ? অথচ তাহাই হইল । নিজ বলদৰ্পে পাপকে বরণ করিয়া রাবণের এই হইল যে, "ཐག་ লক্ষ পুত্র তার সোয়া লক্ষ নাতি, aTr sið A YfEv'Beca fres ifs * কি ভয়ঙ্কর শান্তি ! ঋষি মুখে বলিলেন না, কিন্তু আমাদিগকে বুঝিতে দিলেন,--যতোধৰ্ম্মস্ততোজয়াঃ । , মহাভারতেরও সেই কথা । কুরুপাণ্ডবেরা যুদ্ধোন্মুখ, কৃষ্ণ দ্বারকপুৱীতে বাস করিতেছেন ; তিনি উভয় পক্ষের বন্ধু, কুটুম্বিতাসূত্রে উভয়েরই আত্মীয়, উভয় পক্ষই তেঁাহার সাহায্যপ্রার্থী হইলেন। কৃষ্ণ কি করেন । তিনি এক কৌশল অবলম্বন করিলেন ; এক দিকে আপনাকে ও অপর দিকে আপনার নারায়ণী সেনা রাখিয়া দুৰ্যোধনকে বলিলেন, আমি উভয়েরই বন্ধু ; এক পক্ষ আমাকে লাউক, অপর পক্ষ আমার নারায়ণী সেনা লাউক । দুৰ্য্যোধন স্থূলমতি, বিষয়-বুদ্ধির পরবশ, পার্থিব ধনের প্রতিই তাহার অধিক দৃষ্টি, তিনি মনে করিলেন এক কৃষ্ণ লইয়া কি করিব ? এক বাণের কৰ্ম্ম বৈ তা নয় ; এক কৃষ্ণ গেলেই তা গেল ; আমি নারায়ণী সেনাই লই ; ইহার একজন এক একটি বীর, ইহাদের। সাহায্যে যুদ্ধে জয়লাভ করিব। ভাবিয়া চিন্তিয়া কুরুরাজ নারায়ণী সেনা লাইতে দুহিলেন । কৃষ্ণ বলিলেন, তথাস্তু। পাণ্ডব-সখা পাগুবদিগেরই। রহিলেন। কিন্তু অৰ্জ্জুন কৃষ্ণকে সারিখ্যে বরণ করিয়াছেন শুনিয়া প্রজাবৃন্ধের মধ্যে আনন্দধ্বনি উখিত হইতে লাগিল । কৃষ্ণ নারায়ণী সেনা ফেলিয়া গেলেন বটে, কিন্তু এমন কিছু লইয়া গেলেন ইহা মহা বিশাল সৈন্যদল অপেক্ষাও বলবত্তর ; যাহার গুণে একা মানুষ লম্বাধিক মানুষের অপেক্ষা বলশালী হয় । তাহা কৃষ্ণের চরিত্রের ,