পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও বাংলা-সাহিত্য 鹅> বৎসর পূৰ্ব্বে এদেশে ঘরে ঘরে চরক। ঘূরিত এবং গ্রামে গ্রামে বস্ত্রব্যবসায়ী লোক ছিল । কিন্তু এখন আর সেদিন নাই। আমরা পরিধেয় বস্ত্রের জন্তও ইংরেজদিগের মুখ চাহিয়া থাকি। ম্যানচেষ্টুরের কলের কাপড়ই এখন আমাদিগের প্রধান অবলম্বন হইয়াছে। সকল বিষয়েই এইরূপ । যে দেশে পাটিগণিত, বীজগণিত ও রসায়নের সৃষ্টি, সেই দেশের লোকেরাই এখন বিদেশী বিজ্ঞানের ছিটা ফেঁটা পাইয়াই আপনাদিগের জন্ম সার্থক জ্ঞান করেন। যে দেশে বৌদ্ধধর্মের উৎপত্তি সেই দেশের কৃতবিষ্ঠ ব্যক্তিগণ সামান্য বিলাতী লেখকদিগকে ধৰ্ম্মবিষয়ে গুরু বলিতে লজ্জিত হন না। আর কত কাল এইরূপ চলিবে ? -হ ভারতসন্তানগণ, ভারতের পূর্বমহিমা স্মরণপূর্বক সকলে একবার আপনাদিগের দুরবস্থা মোচনের চেষ্টা কর । তোমরা কি ছিলে এবং কি হইয়াছ, ভাবিয়া দেখিয়াছ কি ? বিস্তু পত্তি বিদ্যাপতি বঙ্গ কাব্য কানমের পিকবর । তাহার সঙ্গীতধ্বনির সঙ্গে সঙ্গেই সরস কবিতাকুসুমের বাসস্তসৌরভ ব্যঙ্গালায় ব্যাপ্ত হইয়াছে। তাহার মৃধাময় ঝঙ্কার শুনিয়াই কত ভাবুক বি স্ব ও মধুকর স্বমধুর তানে গান করিতে আরম্ভ করিয়াছে ; কত শত ভক্তের হৃদয়ের দ্বার খুলিয়া গিয়াছে ; কত প্রেমিকের পুলকিত তযু অতুল আনন্দানিলহিয়োলে আন্দোলিত হইয়াছে । যখন অমৃতময় স্বর-লহী বিস্তার করিয়া কোকিল ঋতুরাজের আগমনবাৰ্ত্তা দেয়, সে কি বলে বুঝি না বুঝি তাহার স্বরে মন মোহিত হয়, হৃদয়তন্ত্রী বাজিয়া উঠে ; সেইরূপ যখন বিষ্ঠাপতির গীত শ্রবণ করি, ভাল করিয়া বুঝি, না বুঝি, তাহাতে মন