পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8以 রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় মুগ্ধ হয়, হৃদয়ের অস্তরতম তন্তু পৰ্য্যন্ত বাজিয়া উঠে । এই কলকণ্ঠ ভাবুক । পিকবরের জীবনবৃত্তাস্ত জানিতে কাহার না ইচ্ছা হয় ? কার্য্যকারণসম্বন্ধ সমুদায় বিশ্বব্যাপারই কাৰ্য্যকারণস্থত্রে গ্রথিত । সুর্য্য তাপ দিতেছে ; মেঘ বারি বর্ষণ করিতেছে ; অগ্নি দহিতেছে ; মারুতহিল্লোলে লতাপল্লব সঞ্চালিত হইতেছে ; ইত্যাদি যাহা কিছু জগন্মগুলে ঘটিতেছে, সে সকলই কাৰ্য্যকারণের দৃষ্ঠাস্ত স্থল । তাপ, বৃষ্টি, দাহন, লতাপল্লবসঞ্চালন প্রভৃতিকে কাৰ্য্য, এবং সূর্য, মেঘ, অগ্নি, মারুতহিল্লোল প্রভৃতিকে যথাক্রমে তাহাদিগের কারণ বলিলে কি বুঝায়, এই প্রবন্ধে তাহাই বিবেচ্য । যাহার উৎপত্তি আছে, তাহাকেই কার্স বলা যায় । অনেক পদার্থ রাত্রিকালে শীতল থাকিয়া দিবসে সুর্য্যকিরণসংযোগে তাপযুক্ত হয় । বৃষ্টি এক সময়ে নাই, অপর সময়ে হইতেছে । কোন বস্তুতে অগ্নি সংস্পর্শ ন৷ হইলে, তাহা দগ্ধ হয় না। লতাপল্লব এক সময়ে স্থির হইয়া আছে, অপর সময়ে মারুতহিল্লোলে দুলিতেছে । অতএব তাপ, বৃষ্টি, দাহন, লতাপল্লবসঞ্চালন, ইহুদিগের উৎপত্ত্বি আছে ; এ জন্যই ইহার কার্য্যপদবাচ্য ! এইরূপ দিবারাত্রি, জীবৌদ্ভিদ, মুখদু:খ ইহাদিগের উদয় আছে বলিয়া, ইহারাও কার্য্য । অনস্ত আকাশ ও অমস্ত কাল কখন ছিল না ইহ কেহ কল্পনা করিতেও পারে না ; সুতরাং ইহাদিগকে কাৰ্য্য জ্ঞান করিতে বুদ্ধিমান মহষ্ণুমাত্রেই অশক্ত । মাহ অনাদি, অথবা যাহার আদি আছে এরূপ প্রমাণ নাই, তাহাকে কাৰ্য্য বিবেচনা করিতে আমাদিগের অধিকার নাই ; র্যাহারা জগৎস্রষ্টীর স্রষ্টা অমুসন্ধান করেন, তাহারা যেন এই কথাটি মনে করিয়া রাখেন ।