钞8 রাজনারায়ণ বসু মূল ; প্রীতি দ্বারা আমাদিগের মন ওতঃপ্রোক্ত হইয়া বুহিয়াছে । প্রীতি নিরাকার পদার্থ। গাঢ় হস্তম্পর্শ, প্রফুল্পতর ঈষৎ হাস্থ্য, অমৃতময় মধুর শব্দ বন্ধুর প্রীতি প্রকাশ করে ; কিন্তু সে ম :তি নহে, সে সকল অন্তরস্থ প্রীতির বাহ চিহ্নস্বরূপ ; প্রীf : পদার্থ। প্রীতি নিরাকার পদার্থ কিন্তু জীবন, যে সকলই উহার বশীভূত। প্রতি সুখের সায়, ত , চিত্তকে পরিত্যাগ করিলে সকলই নীরস বোধ হয়, অঃ জীবনে যেন মৃতপ্রায় হইয়া থাকি । যেমন রসনা-পরিতৃপ্তি জন্য বিবিধ অন্ন পান আছে, এবং জ্ঞানের পরিতৃপ্তি জন্য জ্ঞানের বিবিধ বিষয়ীভূত পদার্থ আছে, তেমনি প্রীতি বৃত্তির চরিতীৰ্থতা জন্য নানাবিধ পদার্থ আছে । পিতার প্রতি প্রীতি একরূপ, সস্তানের প্রতি গ্ৰীতি অন্তরূপ ; স্ত্রীর প্রতি প্রীতি একরূপ, বন্ধুর প্রতি প্রীতি অন্যরূপ , গুরুর প্রতি প্রীতি একরূপ, শিষ্ঠের প্রতি প্রীতি অন্যরূপ ; প্রস্তুর প্রতি প্রীতি ,একরূপ, ভূত্যের প্রতি প্রীতি অন্যরূপ ; মিত্রের প্রতি প্রীতি একরূপ, শত্রুর প্রতি প্রীতি অন্তরূপ ; স্বদেশের প্রতি প্রীক্তি একরূপ, সমস্ত জগতের প্রতি প্রীতি অনুরূপ ; অচেত্ত ন পদার্থের প্রতি প্রীতি একরূপ, সচেতন পদার্থের প্রতি প্রীতি অগুরূপ ; বিস্তু প্রীতি একরূপ, অবিশুদ্ধ প্রীতি অন্যরূপ । যেমন জল একই থ, কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন আধারে পতিত হইয়া বিশুদ্ধ কিংবা অবিশুদ্ধ আকার ধারণ করে, প্রতিও তদ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন মনুহে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে ...যদি প্রীতি কি পদার্থ জানিতে ইচ্ছা কর, তবে জীবিতকে জিজ্ঞাস কর, জীবন কি পদার্থ, ঈশ্বরভক্তকে জিজ্ঞাসা কর ঈশ্বর কি পদার্থ। প্রীতির দ্বার। আমরা ঈশ্বরের সন্নিকৰ্ষ লাভ করি । ঈশ্বর যেমন ভক্তগণের হৃদয়-কুটীরে দর্শন দেন, জ্ঞানীর আত্মরূপ শোভনতম প্রাসাদে সেরূপ দর্শন দেন না। যখন সামান্ত প্রীতিও অতি সুখের
