পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাট্যকার ও নব-ছন্দ-প্ৰবৰ্ত্তক 8 অাভিনয়িক ছন্দে কুচিত হইয়া একই বৎসরে—১২৮৮ সালে প্রকাশিত ও কয়েকদিনের ব্যবধানে অভিনীত হয় । প্রকৃতপক্ষে উভয় নাট্যকারই পরস্পরের অজ্ঞাতসারে নিজ নিজ রচনায় স্বাধীনভাবে এই চুম্ব ব্যবহার করিয়াছিলেন, মনে করাই সঙ্গত হইবে । তবে এই ছন গিরিশচন্দ্রেস্তু হস্তে যেরূপ সার্থক ও সুন্দর হইতে পারিয়াছে, রাজকৃষ্ণ সম্বন্ধে সে-কথা বলা চলে না । বাংলায় গছ-কfলণ্ডার সূচনা ঃ বাংলায় গল্প-কবিতার সম্ভাবনা সম্বন্ধে কবি বুজি কৃষ্ণ রায়ই সৰ্ব্বপ্রথম সচেতন হন । তিনি ১২৯১ সালের শ্রাবণ মাসে (জুলাই ১৮৮৪) যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ-সম্পাদিত ‘আর্য্যদর্শনে’ ‘ধর্ষার মেঘ” নামে একটি গদ্য-কবিতা প্রকাশ করেন । উয়ার শেষে এই পাদটীকা আছে :--- যে সকল গদ্যে পদ্যের কাব্যাস্তুক ভাব থাকে, সেই সকল গদ্যের কোন কোন বিষয় এইরূপ পদ্যপেীঙক্তিক প্রণালীতে সাজাইয়া লেখা আমার বিবেচনায় ভাষার একটি নূতন অঙ্গ । লেখা তে হইল । এখন পাঠকমণ্ডলী fক বলেন – শ্রীরাজ কৃষ্ণ রায় । রাজকঞ্চের লিপিত “বর্ষার মেঘ ( পদ্বীপৌঙ ক্রিক পদ্য-গদ্য)” রচনাটি আমরা নিয়ে উদ্ধৃত কfরলাম :– . অ কাশ নীল-অমস্ত মাল, মানব-চক্ষু অনন্ত নয়— সুতরাং আকাশ অনন্ত নীল ! দক্ষিণদিকৃশোভিৰ্মী দিগঙ্গনার অঞ্জলি হ’তে ধীরে ধীরে বায়ু-স্রোত্রে একখানি সূক্ষ্ম মেঘ ভাসিয়া আসিল । সূক্ষ্ম মেঘ বলিলাম কেন ? অনন্ত নীলা কাশপট্রের একটি পাশে অনস্ত সমুদ্রের তরঙ্গায়িত বক্ষে একটি ক্ষুদ্র পত্রের স্বায় যে মেঘ, সে কি বৃহৎ —লা-ফুদ্ৰাদপি ক্ষুদ্র ! আমিও এই কালসমুদ্রে বা কালাকাশে তস্মাদপি ক্ষুদ্র, বা ক্ষুদ্রতম শব্দের পর