পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনের সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জী ** ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দের গোড়ার দিকে বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম গ্রন্থ ‘ললিতা। পুরাকালিক গল্প। তথা মানস প্রকাশিত হয়। ১৮৫৬ খ্ৰীষ্টাব্দের ১২ জুলাই তারিখে বঙ্কিমচন্দ্র হুগলী কলেজ ত্যাগ করিয়া কলিকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজে আইন-শ্রেণীতে ভৰ্ত্তি হন। ১৮৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বঙ্কিমচন্দ্র কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রবর্তিত এন্‌ট্রান্স পরীক্ষা দিয়া প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দের এপ্রিল মাসের গোড়ায় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৰ্ব্বপ্রথম বি. এ. পরীক্ষায় বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম স্থান (দ্বিতীয় বিভাগ ) অধিকার করেন। ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ৭ই আগষ্ট পৰ্য্যস্ত তিনি প্রেসিডেন্সী কলেজে আইন পড়েন। এখানেই বঙ্কিমচন্দ্রের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত হইল। পরবর্তী কালে ছাত্র-জীবনের কথা উল্লেখ করিয়া বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীশচন্দ্র মজুমদারকে - - জামি আপন চেষ্টায় যা কিছু শিখেছি। ছেলেবেলা হতে কোন শিক্ষকের কাছে কিছু শিখিনি। হুগলী কলেজে এক আধটু শিখেছিলে ঈশান বাবুর কাছে। ক্লাসে কখনও থাকিতাম না। ক্লাসের পড়াশুন খনও ভাল লাগিত না-বড় জসহ বোধ হইত। কুসংসর্গট ছেলেবেলায় বড় বেশী হয়েছিল। বাপ থাকতেন বিদেশে, মা সেকেলের উপর আর একটু বেশী, কাজেই তার কাছে শিক্ষা কিছু হয় নি; নীতিশিক্ষা কখনও হয় নি।—বঙ্কিম-প্রসঙ্গ, পৃ. ১৯৪। ১৮৫৮ খ্ৰীষ্টাব্দের ৬ই আগষ্ট তারিখের লেপ্টেনাণ্ট গবর্নরের অর্ডারে যশোহরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টররূপে র্তাহার নিয়োগ বিজ্ঞাপিত হয়। ৭ই আগষ্ট হইতে র্তাহার চাকুরীর দিন গণনা করা