পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী ○ > চক্ষুর ভাব লেখক যাহা বর্ণনা করিয়াছেন, পড়িলে পাষাণহৃদয়ও বিদীর্ণ হয় ॥৫ ব্যাপারটা অদ্ভুত হইলেও ঘটনাটা কিছুই নয়। ইংরাজ সমালোচকেরা অনেক সময় অক্ষম ঔপন্যাসিকের গ্রন্থ সমালোচনা করিতে যেমন বলেন—“ইহাতে কিছুই ঘটিল না”—( nothing happens )—সেইরূপ উপরোক্ত গল্পে কিছুই ঘটিল না—একটা বাঘ মারা গেল মাত্র । কিন্তু এই কিছু-না-ঘটার ভিতর দিয়া লেখক যে Emotion-এর রঙ ফলাইয়া গেলেন, তাহ সাহিত্যের পরম সম্পদ । আমাদের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ছোট গল্পের ভিতর দিয়া নানা রসের প্রবাহ বহুইয়াছেন । তাহার ছোট গল্পগুলিও ঘটনাবিরল—বুম প্রধান । ধরুন তাহার “কাবুলিওয়ালা”। কি বা ঘটিল ? কিছুই নহে । পিত। বসিয়া বসিয়া নভেল লিখিতেছেন—আর তাহার পচি বৎসরের মেয়ে মিনির মুখে খৈ ফুটিতেছে । ময়লা ঢিলা কাপড় পর, পাগড়ি মাথায়, বুলি ঘাড়ে, হাতে গোটা দুই চার আঙরের বাক্স, এক লম্বা কাবুলিওয়াল আসিয়া উপস্থিত। কাবুলিওয়াল আসে যায়, ক্রমে মিনির সহিত তাহার ভারি ভাব হইয়া গেল। সে মিনিকে বিনামূল্যে বাদাম কিসমিস খাওয়াইল । একটা দাঙ্গা করিয়াছিল ( তাহাও নেপথ্যে— গল্পের ভিতর নাই ) জেলে গেল ! কত বৎসর পরে জেল হইতে ফিরিয়! আবার মিনিকে দেখিভে আসিল । কিন্তু পিতা দেখা করিতে দিলেন না । সে সেলাম করিয়া চলিয়া যাইতেছিল—ফিরিয়া আসিয়: বলিল—“বাৰু, এই আঙর আর কিসমিস বাদামগুলি খোধীর জঙ্গ আনিয়াছিলাম, তাহাকে দিও।” বাবু মূল্য দিতে গেলেন, সে র্তাহার হাত চাপিয়া বলিল—“আমায় পয়সা দি ও না । তোমার বেমন একটি

  • Balzac's “Passion in the desert”