পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ya d'Ooby वश्राव्या वरुद्भं । ७ ইত্যাদি। কেহবা প্রথমার বিসর্গের পরিবৰ্ত্তে কঁাক দিয়া থাকেন। সংস্কৃতে যেমন বিভক্তির রূপগুলি আছে, বাঙ্গালায় সেইরূপ থাকা চাই, নহিলে চণ্ডী অশুদ্ধ হইবে । আমরা জজ্ঞাসা করি “দ্বারা’ দিয়া” বিভক্তি হইল কিরূপে ? শব্দের সঙ্গে জমাট না বাঁধিলে বিভক্তি হয় না । “আমাদিগের দ্বার’ ‘আমার দ্বারা” দিব্য সম্বন্ধ পদ রহিয়াছে, কেমন করিয়া বলিব উহা বিভক্তি ? 'ছুরি দিয়া কাটিবে” এস্থলে ‘দিয়া’ অসমাপিকা ক্রিয়া ; কৰ্ম্ম ছুরি”; কি বলিয়া ‘দিয়া' কে কারণের বিভক্তি বলিব ? অথচ সকল ব্যাকরণেই দেখি “দিয়া” কারণের বিভক্তি । কেমন করিয়া বলিব ব্যাকরণকারের ব্যাকরণ লিখিবার সময় মস্তিষ্ক বিলোড়ন করেন । তাহার পর আবার ‘দিগকে’ বিভক্ত করা হইয়াছে ; কিন্তু “দিগকে? কি আমরা কখন ও ব্যবহার করি ? পশ্চিম রাঢ়ে দিগগে’ একটা কথা আছে বটে ; আমাদের ও পুরাণ দলিলাদিতে “আমার দিনরের” দেখিতে পাই বটে ; কিন্তু “দিগকে’ কখনও দেখিতে পাই না, কখনও বলিও না । যখন “আমার দিগরকে’ ব্যবহার কারিত, তখন “দিগর’ বিভক্তি ছিল না । “দিগর’ পারস্য শব্দ-অর্থ গণ । যদি বিভক্তি বলিতে হয়, যে টুকু জমাট বাধে, 6छे ऐकू “দের।” বিভক্ত বলিতে গেলে “দের” কেই বলিতে হয় । কিন্তু সে “দে র” কৰ্ম্মের বিভক্তি, সম্বন্ধের বিভক্তি, অধিকরণেরও বিভক্তি । অনেক প্ৰাকৃত ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক নাই, বাঙ্গলায় ও সম্প্রদান কারক নাই ; কিন্তু মুগ্ধবোধ প্যাটেণ্টই হউক, আর হাইলি প্যাটেণ্টই হউক, উভয় প্রকার ব্যাকরণেই সম্প্রদান কারকের অস্তিত্ব বজায় রাখা হইয়াছে। দুই এক খানি ব্যাকরণে “ধোপাকে কাপড় দিলাম' সম্প্রদান কারকের উদাহরণ। বলিয়া দে 2য়া হইয়াছে। “রাজকন্ত বস্ত্ৰং দদাতি” যে সম্প্রদান হয় না, আর তা লইয়া যে সংস্কৃত ব্যাকরণকারেরা অনেক মাথা কুটাকুর্টি করিয়া গিয়াছেন, তাহা শোনেই বা নে? আর পড়েই বা কে । বাঙ্গাল ব্যাকরণকার দেখিলেন, দান ক্রিয়ার কৰ্ম্মকেই সম্প্রদান বলে ; সুতরাং রাজক কেন সম্প্রদান হইবে না ? সংস্কৃত ওয়ালারা বলেন, স্বস্বত্ব ধ্বংসপূর্বক পরস্বত্বেৎপত্তানুকুল ব্যাপারকে দান বলে ; রাজককে যে বস্ত্ৰ দেওয়া গোল. তাহাতে স্বস্বত্বেরও ধ্বংস হইল না, পরস্বত্বের ও উৎপত্তি হইল না ; তবে রাজককে বস্ত্ৰ দান করা হইল কিরূপে, রাজকই বা সম্প্রদান হইল কিৰূপে ? তার পর সন্ধি-বাঙ্গালা ব্যাকরণ খুললেই চতুর্থ বা পঞ্চম পত্রেই সন্ধি আরম্ভ—“আকারের পর আকার কিংবা আকার থাকিলে উভয়ে মিলিয়া আকার হয়-আকার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়” । সুবুদ্ধি বালক যদি জিজ্ঞাসা করে “রাম আইস” এ স্থলে “রামাইস” কেন হইবে না, তখন অবিনাশ বলিল” “তখনাবিনাশ বলিল” কেন হইল না, পণ্ডিত মহাশয় নিরুত্তর । সংস্কৃত ব্যাকরণে পদান্ত সন্ধি আছে ; সুতরাং কোন কোন ব্যাকরণকার সংজ্ঞাপ্ৰকারণের পরেই সন্ধি আরম্ভ করিয়াছেন । বাঙ্গালায় পদান্ত সন্ধি নাই, সুতরাং ব্যাকরণের প্রথমেই সন্ধি থাকা উচিত নহে ; থাকিলেই “পাচ পণ বিচালি কিনিলাম, তথা প্যাকচালাখানা বাধা হইল। না।” এইরূপ প্রয়োগ হইবে। বাস্তবক ও বাঙ্গালা ব্যাকরণের প্রথমে সন্ধি দেওয়া কেবল চিন্তা