পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম ভাগ ] [ তৃতীয় সংখ্যা সাহিত্য-পরিষৎ-পত্ৰিক৷ ” বাঙলা কৃৎ ও তদ্ধিত । ( সাহিত্য-পরিষদের মাসিক অধিবেশনে পঠিত ) প্ৰবন্ধ আরম্ভে বলা আবশ্যক, যে সকল বাঙলা শব্দ লাইয়া আলোচনা করিব, তাহার* বানান কলিকাতার উচ্চারণ অনুসারে লিখিত হইবে । বর্তমান কালে কলিকাতা ছাড়া বাঙলা দেশের অপরাপর বিভাগের উচ্চারণকে প্ৰাদেশিক বলিয়া গণ্য করাই সঙ্গত । আজ পৰ্য্যন্ত বাঙলা অভিধান বাহির হয় নাই ; সুতরাং বাঙলা শব্দের দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করিতে নিজের অসহায় স্মৃতিশক্তির আশ্রয় লইতে হয় । কিন্তু স্মৃতির উপর নির্ভর করিবার দোষ এই যে, স্মৃতি অনেক সময় অযাচিত অনুগ্রহ করে, কিন্তু প্রার্থীর প্রতি বিমুখ হইয়া দাড়ায়। সেই কারণে প্ৰবন্ধে পদে পদে অসম্পূর্ণতা থাকিবে । আমি কেবল বিষয়টার সূত্ৰপাত করিবার ভার লইলাম, তাহা সম্পূর্ণ করিবার ভার সুধীসাধারণের উপর । আমার পক্ষে সঙ্কোচের আর একটি গুরুতর কারণ আছে। আমি বৈয়াকরণ নাহি । অনুরাগবশতঃ বাঙলা শব্দ লইয়া অনেক দিন ধরিয়া অনেক নাড়াচাড়া করিয়াছি ; কখনো কখনো বাঙলার দুটা একটা ভাষাতত্ত্ব মাথায় আসিয়াছে ; কিন্তু ব্যাকরণ-ব্যবসায়ী নাহি বলিয়া সেগুলিকে যথাযোগ্য পরিভাষার সাহায্যে সাজাইয়া লিপিবদ্ধ করিতে সাহসী হই নাই। এ প্রবন্ধে পাঠকেরা আনাড়ির পরিচয় পাইবেন, কিন্তু চেষ্টা ও পরিশ্রমের ক্রটি দেখিতে পাইবেন না। অতএব শ্রমের দ্বারা যাহা সংগ্ৰহ করিয়াছি, পণ্ডিতগণের বিদ্যাবুদ্ধির দ্বারা তাহা সংশোধিত হইবে, আশা করিয়াই সাহিত্য-পরিষদে এই বাঙলা ভাষাতত্ত্বঘটিত প্ৰবন্ধের অবতারণা করিলাম । ংস্কৃত ব্যাকরণের পরিভাষা বাঙলা ব্যাকরণে প্রয়োগ করা কিরূপ বিপজ্জনক, তাহা মহামহোপাধ্যায় শাস্ত্রী মহাশয় ইতিপূর্বে ব্যাখ্যা করিয়াছেন । সুতরাং জ্ঞাতসারে পাপ কৱিতে প্ৰবৃত্তি হয় না। নূতন পরিভাষা নিৰ্ম্মাণের ক্ষমতা নাই, অথচ না করিলেও লেখা অসম্ভব । “স্ক%, এইখানে একটা পরিভাষার কথা বলি। সংস্কৃত ব্যাকরণে যাহাকে ণিজন্ত ধাতু বলে,