S 91 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । | ७म ज९थ]ीं । বাঙলায় তাহাকে ণিজন্ত বলিতে গেলে অসঙ্গত হয়। কারণ সংস্কৃত ভাষায় ণিাচল প্ৰত্যয় দ্বারা ণিজন্ত ধাতু সিদ্ধ হয় ; বাঙলায় ণিচ প্ৰত্যয়ের কোন অর্থ নাই। অতএব অন্য ভাষার আকারগত পরিভাষা অবলম্বন না করিয়া প্ৰকারগত পরিভাষা রচনা করিতে হয় । ণিজন্তের প্রকৃতি কি ? তাহাতে ব্যবহিত ও অব্যবহিত দুইটি কৰ্ত্ত থাকে। “ফল পাড়িলাম ;”-পতন ব্যাপারের অব্যবহিত কৰ্ত্ত ফল, কিন্তু তাহার হেতুকৰ্ত্ত আমি । “কারিয়তি য: স হেতুঃ”—যে করায় সেই হেতু, সেই ণিজন্ত ধাতুর প্রথম কৰ্ত্তা, এবং যাহার উপর সেই কাৰ্য্যের ফল হয়, সেই ণিজন্ত ধাতুর দ্বিতীয় কৰ্ত্ত। “হেতু”র একটি প্রতিশব্দ নিমিত্তে—তাহাই অবলম্বন করিয়া আমি বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে ণিজন্ত ধাতুকে নৈমিত্তিক ধাতু न दिश । বাঙলা কৃৎ ও তদ্ধিত বৰ্ত্তমান প্ৰবন্ধের বিযয় । তাহার মধ্যে কোনগুলি প্ৰকৃত বাঙলা এবং কোনগুলি সংস্কৃত, তাহা লইয়া তর্ক উঠিতে পারে। সংস্কৃত হইতে উদ্ভূত হইলেই যে * তাহাকে সংস্কৃত বলিতে হইবে, এ কথা মানি না। সংস্কৃত ইন প্ৰত্যয় বাঙলায় ই প্ৰত্যয় হইয়াছে, সেই জন্য তাহা সংস্কৃত পূৰ্ব্বপুরুষের প্রথা রক্ষা করে না। দাগি ( দাগযুক্ত ) শব্দ কোন অবস্থাতেই দাগিন হয় না । বাঙলা অন্ত প্ৰত্যয় সংস্কৃত শতৃ প্ৰত্যয় হইতে উৎপন্ন, কিন্তু তাহ শতৃপ্ৰত্যয়ের, অনুশাসন লঙ্ঘন করিয়া একবচনে জিয়ন্ত ফুটন্ত ইত্যাদিরূপ ধারণ कनिष्ठ cळ*भद्ध क्षड्जिङ छ्श न । যে সকল প্ৰত্যয়ের বাঙলায় সংস্কৃতেতর শব্দেও ব্যবহার হয়, আমরা তাহাকে বাঙলা প্ৰত্যয় বলিয়া গণ্য করিব । ত প্ৰত্যয় যোগে সংস্কৃত রঞ্জিত শব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে, কিন্তু বাঙলায় ত প্ৰত্যয়ের ব্যবহার নাই, সেইজন্য আমরা রঙিত বলি না । সজ্জিত হয়, সাজিত হয় না ; অতএব ত প্ৰত্যয় বাঙলা প্ৰত্যয় নহে । হিন্দি পারসী প্ৰভৃতি হইতে বাঙলায় যে সকল প্ৰত্যয়ের আমদানি হইয়াছে, সে সম্বন্ধেও আমার ঐ একই বক্তব্য । সই প্ৰত্যয় সম্ভবতঃ হিন্দি বা পারসি,-কিন্তু বাঙলা শব্দের সহিত তাহা মিশ্রিত হইয়া ট্যাকসাই, প্ৰমাণসই, মানানসই প্ৰভৃতি শব্দ সৃজন করিয়াছে। ওয়ান প্ৰত্যয় সেরূপ নহে । গাড়োয়ান, দরোয়ান, পালোয়ান শব্দ আমরা হিন্দী হইতে বাঙলায় পাইয়াছি, প্ৰত্যয়টি পাই নাই। ' অর্থাৎ যে সকল প্ৰতায় সংস্কৃত অথবা বিদেশীয় শব্দ-সহযোগে বাঙলায় আসিয়াছে, বাঙলার সহিত কোন প্ৰকার আদান প্ৰদান করিতেছে না, তাহাকে আমরা বাঙলা ব্যাকরণে প্ৰত্যয়রূপে স্বীকার করিতে পারি না । s যে সকল কৃৎতদ্ধিতের সাহায্যে বাঙলা বিশেষ্য ও বিশেষণ পদের সৃষ্টি হয়, বর্তমান প্ৰবন্ধে কেবল তাহারই উল্লেখ থাকিবে ; ক্রিয়াপদসম্বন্ধে বারান্তরে আলোচনার ইচ্ছা রহিল। এই প্ৰবন্ধে বিশেষ্য বিশেষণকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করিয়াছি। ক্রিয়াবাচক ও পদাৰ্থবাচক। ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য যথা,-চলা, বল, সাৎরান, বাচান ইত্যাদি। পদার্থ
