পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8S সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । 0, 19 হইতে “দেখা” হইয়াছে; কিন্তু তাকান শব্দের মূল ধাতুটি তাক নহে, তাহা তাকা-সেই জন্যই উক্ত ধাতুকে বিশেষ্য করিতে আন + আ প্ৰত্যয়ের প্রয়োজন হইয়াছে। নামধাতুগুলিও আন+অ প্ৰত্যয়ের অপেক্ষা রাখে, যেমন লাখ হইতে লাথান, পিঠা হইতে পিঠান ( পিটোনো ), হাত হইতে হাতান । মূলধাতু বহুমাত্রিক কিনা, তাহ পরীক্ষার অন্য উপায় আছে। অনুজ্ঞায় আমরা “দেখ’ ধাতুর “ও” প্ৰত্যয় করিয়া বলি “দেখো,” কিন্তু “তাকো” বলিনা ; “তাকা” ধাতুর উত্তর “ও” প্ৰত্যয় করিয়া বলি, “তাকাও”। গঠন কর বলিতে হইলে গড় ধাতুর উত্তর “ও” প্ৰত্যয় করিয়া বলি “গড়,” কিন্তু “শয়ন কর” বুঝাইতে হইলে “গড়া” ধাতুর উত্তর “ও” প্ৰত্যয় করিয়া বলি “গড়াও” । আমাদের বহুমাত্ৰিক ক্রিয়াবাচক শব্দগুলি আকারান্ত, সেইজন্য পুনশ্চ তাহার উত্তর “আ” প্ৰত্যয় না হইয়া আন+ অ প্ৰত্যয় হয়। মূল শব্দটি “আটকা” বা চমকা না হইলে অনুজ্ঞায় “আটকাও” হইত না, "চমকাও” হইত না । হিন্দিতে “পাকুড়া” শব্দের উত্তর “ও” প্ৰত্যয় হইয়া “পাকড়ো” হয় ; সেই শব্দই বাঙলায় “পাকৃড়া” রূপ ধরিয়া “পাকুড়াও” হইয়া দাড়ায়। अन् अंडाश। দৃষ্টান্ত-মাতন, চলন, কঁাদন, গড়ন ( গঠন ক্রিয়া), ইত্যাদি। ইহারা ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য শবদ । অন্য প্ৰত্যায়সিদ্ধ পদার্থবাচক শব্দের উদাহরণও মনে পড়ে। :- যেমন, ঝাড়ন, বেলুন (রুটি বেলিবার), মাজন, গড়ন (শরীরের ), ফোড়ন, কেঁটেন (বুট হইতে); পাচন। অন+ আ প্ৰত্যয় । আন প্ৰত্যয়ের উত্তর পুনশ্চ: আ প্ৰত্যয় করিয়া কতকগুলি ক্রিয়াবাচক বিশেষণের সৃষ্টি হইয়াছে। যেমন পাওনা হইতে পাওনা, দেওনা হইতে দেন ; ইহারা বিকল্পে বিশেষ্যও হয় ; ফেলন হইতে ফেলনা ; মাগন হইতে মাগন, শুকন হইতে শুকুন। পদার্থবাচক বিশেষ্যেরও দৃষ্টান্ত আছে, যেমন, বাটনা, কুটনা, ওড়না, ঝরনা, খেলনা, . বিছানা, বাজনা, ঢাকনা । ই প্ৰত্যয় । ধৰ্ম্ম ও ব্যবসায় অর্থে ;--গোলাপি, বেগুনি, চালাকি, চাকুরি, চুরি, ডাক্তারি, মোক্তারি, ব্যারিষ্টারি, মাষ্টারি। খাড়াই (খাড়া পদার্থের ধৰ্ম্ম ) ; লম্বাই ; চৌড়াই ; ঠাণ্ডাই ; আড়ি व्iद्ध अर्थ९ तक श्दाश्त उांत्र ! অনুকরণ অর্থে :-সাহেবি, নবাবি । দক্ষ অর্থে-হিসাবদক্ষ হিসাবি, আলাপদক্ষ আলাপি, ধ্রুপদদক্ষ ধ্রুপদি । বিশিষ্ট অর্থে-দামবিশিষ্ট দামি, দাগবিশিষ্ট দাগি, রাগবিশিষ্ট রাগি, ভারবিশিষ্ট ভারি।