পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৮ ] বাঙ্গলা ব্যাকরণ । । ܘ ܘܓ আশা নাই। সুতরাং বাঙ্গলা ভাষাতে কতকগুলি শব্দ থাকিবেই, যথা ‘আমি’ ও ‘করিতেছি।” যাহা সংস্কৃত্তি মূলক বটে, কিন্তু সংস্কৃত মহে, যাহা খাটি বাঙ্গলা । এইরূপ খাটি বাঙ্গলা ও খাঁটি সংস্কৃত শব্দের সমবায়ে আমাদের আধুনিক ভাষা। গঠিত DBDBLDD SS DDD DBDBDBBD BBBLBBB BBDB BD OKKD DDD DBDmmDDS KD DBB S প্রশ্ন যে এই দুই শ্রেণীর মধ্যে কোন শ্রেণী বিশুদ্ধ বাঙ্গলা ? কেহ হয়ত বলিবেন, সংস্কৃতশব্দগুলিই বিশুদ্ধ বাঙ্গলা, আর খাটি বাঙ্গল শব্দগুলি অবিশুদ্ধ। প্ৰথম শ্রেণীর শব্দ গুলিকে সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে সাধিতে পারা যায় ; এই হিসাবে উহারা বিশুদ্ধ বটে। দ্বিতীয় শ্রেণীর শব্দ সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়মে সাধিতে পারা যায় না ; এ বিষয়ে কোন মত দ্বৈধ নাই ! এই হিসাবে কি উহারা অবিশুদ্ধ ? কনখই না-“আমি” ও “করিতেছি’ সংস্কৃত শব্দ নহে, কিন্তু বাঙ্গলা ভাষায় উহাদের বিশুদ্ধিপক্ষে কেহ এ পৰ্য্যস্ত সন্দেহ উপস্থিত করেন নাই, কেন না। উতাদিগকে বৰ্জন করিয়া কেহই এ পর্যন্ত বিশুদ্ধ वांछ6) लिथिgठ गभर्थ श्न नाथैं । th কাজেই অসংস্কৃত শব্দও বিশুদ্ধ বাঙ্গলায় স্থান পাইতে পারে । সংস্কৃত না হইলেই 6श ७िछ् छ्य्र न1, ५ेभन् न८शं । আবার অন্য পক্ষ হয়ত বলবেন, “আমি” ০ ‘করিতেছি।” এই দুইটি শব্দই বিশুদ্ধ বাঙ্গলা শব্দ ; ‘মাছ’ ও ‘খাইতেছি।” এই দুইটা ও বিশুদ্ধ বাঙ্গলা শব্দ । কিন্তু ‘মৎস্য’ ও ‘ভোজন” এই দুইটি বিশুদ্ধ বাঙ্গলা নিতে। এমন কি, ‘মৎস্য’ ও ‘ভোজন” এই দুই শব্দ বাঙ্গলাত নহে ; উহ। বিশুদ্ধ সংস্কৃত শব্দ, বাঙ্গলা ভাষা সংস্কৃত হইতে উহাদিগকে গ্ৰহণ করিয়াছে মাত্র । এই যুক্তি ফেলিবার নাহে ; ‘মৎস্য” ও “ভোজন’ শব্দ বৰ্জন করিয়া বাঙ্গলা, এমন কি, বিশুদ্ধ বাঙ্গল লেখা ও কহা চলিতে পারে, কিন্তু “আমি” ও “কািরতেছি’ ইত হাদিগকে বৰ্জন করিলে কোন दाथ लांब्रई डारिgद्ध थाcक ना । এই ত গেল সাহিত্যের ভাষা বা রচনার ভাষা সম্বন্ধে । তার পর আছে কথাবাৰ্ত্তার ভাষা। কথাবাৰ্ত্তার ভাষাতেও দুষ্ঠ শ্রেণীর শব্দ বৰ্ত্তমান আছে ; খাটি সস্তুত শব্দ ও খাঁটি বাঙ্গল শবদ । খাটি বাঙ্গল শবদ নইলে কথা কহ। অসাধা श्न ; qत६ ॐ9ि সংস্কৃত শব্দের সম্পূর্ণ বর্জন ও বোধ করি অসাধ্য। যদি কাহারও সেরূপ দুপ্রবৃত্তি থাকে, একবার বাজি রাখিয়া চেষ্টা করিবেন। বস্তুতঃ কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় উভয় শ্রেণীর শব্দের্যত প্ৰচলন আছে, তবে উভয়ের সংখ্যার তারতম্য স্থানভেদে ও কালভেদে বিভিন্ন । প্ৰভেদ এই যে কথাবাৰ্ত্তার ভাষায় সব্বত্রই খাটি সংস্কৃতের অপেক্ষা খাঁটি বাঙ্গলার প্ৰচলন অধিক । অবশ্য স্থানভেদে ও কালভেদে ইতারবিশেষের কথা মনে রাখিতেই হইবে। সে কালের অপেক্ষা বোধ হয় একালে খাটি সংস্কৃতের প্রচলন বাড়িয়াছে। বোধ হয় মাত্র, কেন না, নিশ্চয় জানি না । প্ৰাচীন সাহিত্যের ভাষা দেখিয়াই ও কালের গতি দেখিয়াই সেকালের চালিত ভাষার অবস্থা অনুমান করিয়া লইতে হয়। আবার একাণে ও