পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালি-শব্দ-তত্ত্ব। এবারকার সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকায় ‘বাঙ্গালা ধ্বন্যাত্মিক শব্দ” শীর্ষক একটী অতি উপদেয় প্ৰবন্ধ পাঠ করিলাম। পত্রিকায় প্ৰকাশিত “সভাপতির অভিভাষণ” ভাষাতত্ত্ব’ বৈজ্ঞানিক, ভৌগোলিক প্রভৃতি পরিভাষা এবং “বাঙ্গালা শব্দ দ্বৈত” প্ৰভৃতি চিন্তাশীল লেখকগণের সুচিন্তিত এবং সময়োপযোগী প্ৰবন্ধ পাঠ করিলে ভরসা হয়, এইবার বাঙ্গালা ভাষায় প্ৰকৃত ও সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর অভিধান প্ৰণীত হইবে । অভিধানের আবশ্যকতা এক্ষণে যত অধিক, বাকরণের তত নহে। আর ব্যাকরণ প্ৰণয়নের সময়ও এক্ষণে আইসে নাই, তাহার প্ৰধান কারণ এই যে, এমন অনেক শব্দ এবং পদসমষ্টি ( phrase ) এবং ভাষাপদ্ধতি ( idiom ) প্ৰচলিত আছে ও নিত্যব্যবহৃত হইতেছে, যাহা বৰ্ত্তমান অভিধানের বাৰু আনা অংশ স্থান অধিকার করিতে পারে, অথচ সেগুলি অভিধানের অন্তভুক্ত করা হয় না। ঐগুলি অভিধানে স্থান পাইলে ও কিছু কাল সুলেখকবর্গের দ্বারা লিখিত এবং সাহিত্য সমাজে ব্যবহৃত হইলে ভবিষ্যৎ ব্যাকরণের পথ পরিষ্কৃত হইতে পারে। ইতিপূৰ্ব্বে ব্যাকরণ সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর করিবার চেষ্টা কতদূর ফলবতী হইবে, বলা যায় না। সাহিত্য-পরিষদের ইহাও একটী উদ্দেশ্য বলিয়াই এস্থলে ব্যাকরণের কথা পাড়িলাম । সুদুর প্রবাসে প্রকৃত বাঙ্গালা অভিধানের অভাব আমরা যতদূর অনুভব করি, এরূপ বোধ হয় মাতৃভাষার ও সাহিত্যের পীঠস্থান কলিকাতার এবং তান্নিকটবর্তী স্থানের বঙ্গসন্তানগণ করেন না । সুতরাং এরূপ অভিধান যত শীঘ্ৰ প্ৰণীত হয়, আমাদের পক্ষে ততই মঙ্গল । এই কারণেই সর্ববিধ অভিযাগ্যতা সত্ত্বেও ‘বাঙ্গালা ধ্বন্যাত্মিক শব্দ” শীর্ষক প্ৰবন্ধলেখক মহোদয়ের আহবানে ভরসা পাইয়া যথাক্তানে একটি তালিকা প্ৰস্তুত করিয়া পাঠাইতেছি । উহা পরিাষদের উদ্দেশ্যপক্ষে কতদূর সহায়তা করিবে জানি না ; তবে ও য়াগ বঙ্গ-সাহিত্য-মন্দির প্রবাসে থাকিয়া পরিষদের কথঞ্চিৎ কাৰ্য্যে আসিলেও স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল বিবেচনা করিবে । পরিষৎ-পত্রিকোন্ধত তালিকায় বর্ণানুক্রমে নিম্নল্লিখিত শব্দগুলি সংযোজিত হইতে *び |* 平*ー O আতালি পাতালি, আকুলি বিকুলি, আড়ামাড়া, আলুচালু, আঁইআঁই ; ইসৃপিস্; ইতিউতি, ইকড়িমিকড়ি ; উনুঝুনু ; এড়ানগড়ান ; ক্যালারব্যালির, ককাইয়ে, কটাসিকামড়, কলকলানি, কলাকসানি, কুড়ারমুডুমুর, কঁ্যাকটকট, ক্যারক্যারানি, কড়াকড়ি ; ঘাসঘ্যাস, ঘুনকুচি, ঘড়োর ঘড়োর ; চাচ্চড়াচড়, চৈচাপটে, চিলোচিলি, চোৎ ; ছরকোট, ছচ্ছর, ছাতরাভাতরা,

  • রবীন্দ্র বাবুর প্রবন্ধে “ধ্বস্তাত্মক” আখ্যা একটু বিশেষার্থে ব্যবহৃত হইয়াছে। বৰ্ত্তমান তালিকায় উদ্ভূত । সকল শব্দ সেই অর্থের অনুযায়ী নহে; রবি বাবুর তালিকায় সকলগুলির স্থান হইবে না।-পঃ পঃ সঃ।।