পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (অষ্টম ভাগ ১-৪ পর্ব).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ve o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ७श न१था । ৰ্ব্বেদে মৃত নির নারীর দেহে তাহা প্ৰত্যক্ষ করিবার জন্য উৎকৃষ্ট প্ৰণালী উদ্ভাবিত হইয়াছিল। সুতরাং অথর্ববেদের সহস্ৰ বৎসর বা ততোধিক কাল পরে পূর্বোক্ত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কৃত হইয়াছে, এরূপ অনুমান করা নিতান্ত অসঙ্গত নহে। ফলতঃ ভারতবর্ষে খৃঃ পূঃ চতুৰ্দশ বা পঞ্চদশ শতাব্দীতে যে আয়ুৰ্ব্বেদের ভূয়সী আলোচনা হইয়াছিল, তাহা বেদ বেদাঙ্গ দ্বারা জানা যাইতেছে । দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের ধারাবাহিক ইতিহাস লিখিত হয় নাই । অতীত সাক্ষী ইতিহাস ভিন্ন ভূত কালের বিবরণ জানিবার উপায় নাই । সুতরাং চরক ও সুশ্রুত কোন সময়ে জীবিত ছিলেন, তাহা স্থিরীকৃত হওয়া অসম্ভব। মহাভারত ও পাণিনির প্ৰমাণের উপর নির্ভর করিয়া আদিম অগ্নিবেশ এবং সুশ্রুত তন্ত্র যে প্ৰতি প্ৰাচীন গ্ৰন্থ, তাহা বলা অন্যায় নহে । আমাদের মনুসংহিতা যেরূপ অতি প্ৰাচীন মানবকল্পসূত্র, গৃহসুত্র ও অন্যান্য বেদাঙ্গাদির উপর প্রতিষ্ঠিত, অথচ যে সময়ে ঐ সংহিতা বৰ্ত্তমান আকারে পরিণত হইয়াছে, তখন উহাতে তৎকালীয় আচার ব্যবহারের বিষয় বিবৃত হইয়াছে, সেইরূপ আদিম অগ্নিবেশ ও সুশ্রুতি তন্ত্র, ঋগ্বেদ, অথৰ্ব্ববেদ, ঐতরেয় ব্ৰাহ্মণ, শতপথ ব্ৰাহ্মণ, যজুরারিণাক এবং অন্যান্য বৈদিক গ্রস্থোত্ত আয়ুৰ্বেদিক উপাদান সমূহের উপর প্রতিষ্ঠিত ; অথচ যিনি যখন তাহার প্রতিসংস্করণ করিয়াছেন, তিনি তাহার পূর্ববর্তী ও সমকালবৰ্ত্তী বিষয়সকল তাঁহাতে সংযোজিত করিয়াছেন। এইরূপে বৰ্ত্তমান চরক সুশ্রুতে অতি প্ৰাচীন ও অপেক্ষাকৃত আধুনিক মত এবং তৎ। তৎমতের এক একটী সমালোচনা দৃষ্ট হয় । চারক ও সুশ্রুতের সরল গদ্যও প্ৰাচীনত্বের পরিচায়ক । কোন কোন স্থানে গদ্য এরূপ প্ৰাঞ্জল যে তাহ পাঠ করিলে বেদের ব্ৰাহ্মণ ভাগের গদ্যভাষা স্মৃতিপথে উদিত হয় । বিশেষতঃ চরকে অনুষ্টভ, ইন্দ্ৰবঞ্জা, উপেন্দ্রবিজী, বংশস্থবিল প্রভৃতি ছন্দই ব্যবহৃত হইয়াছে, অন্য কোনরূপ দীর্ঘ ছন্দঃ দৃষ্ট হয় না । সুশ্রুতের উত্তর তন্ত্রে স্রন্ধর ছন্দে দুইটী ও শারীর স্থানে তোটক ছন্দের একটী এবং আর্য্যা ছন্দে একটী শ্লোক আছে। এই উত্তর তন্ত্র আদিম সুশ্রীতে SDDBDB DS DBDD DBDBDB BBD DBDBB BBB DYHDSS DD DBBDB DDDS S L D DD BBBBD করিলেও চরক ও সুশ্রুত প্ৰাচীন বলিয়াই অনুমিত হইবে । ফরাসী পণ্ডিত সিলভিয়ান লিভি চীন ভাষায় অনুদিত ত্রিপিটকে কনিস্কের গুরু ও চিকিৎস্য ব্যবসায়ী বলিয়া উল্লিখিত চরক নামা এক ব্যক্তির বিষয় অল্পদিন হইল জানিতে পারিয়াছেন । তিনি বলেন এই চরকই চরকসংহিতার প্রতিসংস্কৰ্ত্তা । অতএব ঐ খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথম শতাব্দীতে লিখিত এবং বায়ু, পিত্ত ও কফ এই ধাতু ত্ৰয়ের বৈষম্যই রোগোৎপত্তির মূল, এই তত্ত্ব গ্ৰীকদিগের নিকট হইতে গৃহীত হইয়াছে। হজ ( Haas ) নাম জন্মণ পণ্ডিত স্বদেশের এসিয়াটিক সোসাইটীতে দুইটী প্ৰবন্ধ পাঠ করিয়া প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন, যে হিন্দুদিগের আয়ুৰ্ব্বেদের উন্নতি হিন্দুজাতির অবনতির এবং মুসলমানের উন্নতির সময়ে হইয়াছে। এমন কি মাধব নিদান, শাঙ্গাধর সংহিতা, অষ্টাঙ্গ হৃদয় প্রভৃতি গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় একীভূত করিয়া জন সমাজের ভক্তি আকর্ষণ করার অভিপ্ৰায়ে