পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

is বঙ্গায় সাহিত্য-পরিষদের যায় না-এ চোখের ততটা বোধশক্তি নাই। শক্তির বৃদ্ধি হইলে, আবার এই চোখেই দেখা যায়। অব্যক্তধ্বনির শব্দগুলির রহস্যবোধ সেইরূপ সকলের কাণে হয় না । যে কাণের বোধশক্তি বদ্ধিত, সে কাণে হয়, কবি রবীন্দ্রবাবুর তাহা হইয়াছে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় উহাদের ক্ষণভঙ্গুর বলিয়া মনে করেন। যদিই তাহা হয় তবে একটা দুইটা হইতে পারে। কিন্তু তাহাদের দল সমস্তই নহে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় উহাদের বহুল ব্যবহার ইচ্ছা করেন না। তিনি না . করিলেও লিখিত ভাষায় উহাদের প্রয়োজন আছে। নাটকে তাহার যথেষ্ট উদাহরণ দেখা যায়। অপণ্ডিত ব্যক্তির কথোপকথন লিপিবদ্ধ করিতে হইলে, উহাদের প্রয়োজন। এই সকল শব্দ এত ছোট যে দু’একজন সহৃদয় কবি ইহাদের স্বরূপ দেখিতে চাহেন না। রবি বাবু একজন বৈজ্ঞানিক কবি। তিনি ইহাদের স্বরূপ যে ভাবে দেখাইয়াছেন, তাহাতে উহাদের আর ছোটত্ব নাই। তবে রবীন্দ্রবাবু বড় নজরে উহাদিগকে যতই ছোট দেখুন, আমাদের কাছে। এ গুলি এখন অতি বড় জিনিষ। ভাষার প্রাকৃতিত্ব এখন উহাদের উপরে নির্ভর করিতেছে। রবীন্দ্ৰবাবুর একটা কথার সহিত আমার মতভেদ আছে। বাঙ্গালা ও সংস্কৃত ভাষায় যে সম্বন্ধ তাহা দেহ-পরিচ্ছদ সম্বন্ধ নহে ; দেহের উৎকৃষ্ট অংশ বটে। দেহ-পরিচ্ছদ সম্বন্ধ হইলে, বাঙ্গালাভাষাকে শবদেহ বলিতে হয়, কিন্তু তাহা নহে। জীবনীশক্তি বাঙ্গালাতেও আছে। শব্দরূপ ধাতুরূপ সব বাঙ্গালা। কোনটা একটু বদ্ধিত কোনটা একটু কৰ্ত্তিত। ইহাদ্বারাঁ আমি যেমন বাঙ্গালাভাষাকে একটু বাড়াইলাম তেমনি একটু কমাইয়াও দিলাম। তর্কের খাতিরে কাহাকেও অপদস্থ করিতে নাই । যাহার যে নাম, সেই নামে ডাকিলে শীঘ্ৰ ডাক শোনা যায়। 嫩 蠟 অতঃপর সভাপতি মহাশয় বলিলেন,-প্রবন্ধপাঠকের সহিত আমার একটা বিশেষ মতভেদ আছে। তিনি বলেন এই সকল বিষয় অকিঞ্চিৎকর ও বিস্মরণযোগ্য, আমি তাহা কিছুতেই স্বীকার করি না। অন্য কোন বিষয়ে আমার সহিত র্তাহার কোন মতভেদ নাই। তাহার প্রবন্ধ রচনানির্দেশের নিয়মপ্রকাশক নহে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় আশঙ্কিত হইয়াছেন কেন বলিতে পারি না। সংস্কৃত ছাড়িয়া বাঙ্গালা ভাষা চলে না ; কিন্তু তাই বলিয়া সংস্কৃতের অনাবশ্যক প্রলেপ দিয়া, বাঙ্গালার্কে ভারাক্রান্ত করিবার আবশ্যক কি ? রবীন্দ্ৰবাবুষে সকল, শব্দ সম্বন্ধে আজ নানাবিধ তথ্য প্ৰকাশ করিলেন, বিদ্যাভূষণ মহাশয় তাহাদিগকে ভঙ্গুর বলিতেছেন কেন ? কতকগুলি শব্দ কেন, সমস্ত ভাষাই ত ভঙ্গুর। সংস্কৃতসাহিত্যে বৈদিক শব্দই আর এখন কি ব্যবহার হয়, না সে ভাষা চলে ? সেক্সপীয়রের ভাষা, ড্রাইডেনের ভাষা” এখানকার ইংরাজীসাহিত্যে অপ্রচলিত হইয়া গিয়াছে। সেক্সপীয়র অপেক্ষা ডাইভেন আধুনিক। তাঁর শব্দগুলা পৰ্যন্ত অব্যবহাৰ্য্য হইয়া যাইতেছে। যোগ্যতমের উদ্বর্তন ভাষাতত্ত্বেও খাটে। রবীন্দ্রবাবু এই সকল শব্দকে চিরস্থায়ী করিতে চেষ্ট্ৰপান নাই। শব্দকে স্থায়ী করিতে কেহ পারে ! মহাকবি প্র\োগে कडक : श्, fর্ণ হয় না। সেক্সপীয়র তাহার উদাহরণ, বিভক্তিওঁ ভাষার ইঙ্গিত। ইংরাজীতে বিভক্তির ( Peposition ) পূর্ব নিপাত এবং বাঙ্গালায়