পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (চতুর্দ্দশ ভাগ).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У R e शांश्ऊिा-*ब्रिभ९->लिका s : ital নূরউলা খাঁর উপর বিদ্রোহ দমনের জন্য এক পরোয়ানা জারি করিয়াই নিশ্চিন্তু হইলেন। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি ফৌজদার নূরউল্যা যশোহর আসিয়া সৈন্য সামন্ত হইতে ব্যবসা বাণিজ্যেই অধিক মনোনিবেশ করিয়া যুদ্ধ বিগ্রহের কথা একেবারেই ভুলিয়া গিয়াছিলেন, সুতরাং সুবাদারের পরোয়ানা পাইয় তাহার চক্ষুস্থির হইল। সুবাদারের হুকুম তামিল না করিলেও উপায় নাই-তাই বহুচেষ্টায় যাহা কিছু সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে পারিলেন তাহা লইয়াই সাহসে ভর করিয়া যশোহর হইতে १भांनांङिभृ८थं রওনা হইলেন। কিন্তু হুগলী পৰ্য্যন্ত পৌছিয়াই শুনিলেন বিদ্রোহী দল সেই দিকেই আসিতেছে। এ সংবাদে ফৌজদার অন্ধকার দেখিলেনতাহার যেটুকু সাহস ছিল তাহা ও লোপ পাইল। তাড়াতাড়ি হুগলী দুর্গে আশ্রয় লইয়া নুবউল্যা চুচুড়ার ওলন্দাজ গবর্ণরের নিকট সাহায্য ভিক্ষা করিলেন। বিদ্রোহিগণ দূরে থাকিয়া ফৌজদারের অবস্থা সমস্ত বুঝিতে পারায় এবং বণিক সেনাপতি হইতে তাহদের কোন আশঙ্কার কারণ নাই দেখিয়া সতেজে আসিয়া হুগলী অবরোধ করিয়া বসিল। ফৌজদারসাহেব বিষম বিপদ গণিয়া স্বীয় জীবন রক্ষা করিবার জন্য বড়ই ভীত ও ব্যাকুল হইয়া পড়িলেন,-হুগলীর কেল্লায় থাকাও নিরাপদ মনে করিলেন না-অবশেষে রাত্রিকালে গোপনে নৌকা যোগে গঙ্গা পার হইয়া যশোহর আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বিদ্রোহিগণ হুগলী অধিকায় করিল। হুগলীর ব্যাপারে ফৌজদার নূরউল্যা বুঝিতে পরিলেন যে এখন আর অন্যের হস্তে সৈন্য সামন্তের ভার থাকিলে তঁহার ফৌজদারী গদি রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া উঠিবে। সৈন্যাধ্যক্ষ লাল খ) অধীনস্থ সৈন্যগণের সাহাষ্যে দেশ মধ্যে অবাধ অত্যাচার, অবিচার ও অনাচার করিতে থাকায় ফৌজদার সাহেব পুৰ্ব্ব হইতেই তঁহার উপর বিরক্ত ছিলেন, তাই হুগলীর পরাজয়ে সৈন্যগণের অকৰ্ম্মণ্যতা হেতু ধরিয়া লালখার হস্ত হইতে সৈন্যভার নিজ হস্তে গ্ৰহণ করিলেন। যশোকর-চাঁচড়ার-তদানীন্তন রাজা মনোহর রায়ের সহিত নূরউল্যার বিশেষ সখ্যতা ছিল। উভয়ে উভয়ের বিপদ আপদে, সুখে সম্পদে সমবেদনা ও সহানুভূতি প্ৰকাশ করিতেন। বঙ্গের গৌরব রাজা সীতারাম মনোহর ও নূরউল্যার সমসাময়িক । কেহই তঁহাকে প্রীতির চক্ষে দেখিতেন না-অথচ তীহার বিরুদ্ধাচরণ করিবার KDDD SDEBDB S SBDS D SSS S ব্যাপদেশে সীতারাম সমুদ্রতীরবর্তী রামপাল নামক স্থানে গমন করিলে সুযোগ পাইয়া নূরউল্যা ও মনোহর তাহার রাজধানী মহম্মদপুর আক্রমণ করিতে ধাবিত হইলেন। সম্মিলিত সৈন্য সবেগে আসিয়া রাজধানীর অদূরবীক্ট বুনাগাতি নামক স্থানে ছাউনী করিল। সীতারামের রাজধানী আরক্ষিত ছিল না-দেওয়ান যদুনাথের উপরই সমস্ত ভাব ছিল। বিরুদ্ধ পক্ষীয় সৈন্যগণের আগমন সংবাদ পাইয়াই দেওয়ান সসৈন্তে আসিয়া তাহাদের গতিরোধ করিলেন। দেওয়ানের ক্ষিপ্ৰকারিতা, কৌশল ও সাহস দেখিয়া রাজা ও ফৌজদার বিপদ গণিয়া রাত্রি যোগেই সসৈন্যে বুনাগাতি ত্যাগ করিলেন। রামপাল হইতে ফিরিয়া আসিয়া সীতারাম সমস্ত জ্ঞাত হইয়াই কাল বিলম্ব না করিয়া শক্রদমনে ধাবিত হইলেন। রাজসৈন্য মনোহরের রাজধানী চাচড়ার অনতিদূৱস্থিত ভৈরব নদীর তীরবর্তী নীলগজ আসিয়া পৌছিল। সসৈন্য সীতারামকে