পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (তৃতীয় ভাগ).pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ର o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । थांद० । ] কিছুকাল পূৰ্ব্বে বাঙ্গালীদিগের মধ্যে অনেকের মনে বদ্ধমূল ছিল। এখনও উক্ত সংস্কার সম্পূর্ণরূপে অপনীত হয় নাই, কিন্তু ইহা নিশ্চিত যে উভয় প্রদেশের ঘনিষ্টতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উহা দিন দিন অপসারিত হইতেছে। উড়িষ্যাবাসীদিগের মধ্যে আৰ্য্য-বংশোদ্ভব ব্রাহ্মণাদি উচ্চ জাতীয় লোকদিগের সংখ্যা অপর জাতীয় লোকদিগের তুলনায় অল্প নহে এবং উড়িয়া ভাষা যে বাঙ্গালার নিকটতম ভগিনী এবং প্রাচীন-সাহিত্যশালিনী, তাহা এখন অনেক বাঙ্গালী বুঝিতে পারিয়াছেন। সংস্কৃতমূলক ভাষাগুলির মধ্যে আধুনিক উড়িয়ার সহিত বাঙ্গালার যতটা সাদৃশ্য এবং নিকট সম্বন্ধ, ততটা অন্য কোন ভাষার নাই, ইহা নিশ্চিতরূপে বলিতে পারা যায় ; কিন্তু তাই বলিয়া কেহ যেন মনে না করেন যে উড়িয়া স্বতন্ত্র ভাষা নয়, বাঙ্গালার উপভাষা মাত্র ; ভাষার গঠন এবং ইতিহাস উভয় দিক হইতে দেখিলে স্বাতন্ত্র্য বিশদরূপে উপলব্ধি হয়। আৰ্য্যগণ সর্বপ্রথমে ঠিক কোন সময়ে বা কোন পথে উড়িষ্যায় আগমন করেন, তাহা নির্দেশ করিতে পারা যায় না। মহারাজ চন্দ্রগুপ্তের সমকালবৰ্ত্তী সামন্ত নৃপতি বৌদ্ধরাজা ঐরের ১ এবং তৎপরে বৌদ্ধ মহারাজ অশোকের সময়ে যে উড়িষ্যার সঙ্গে মগধের ঘনিষ্ট ংস্রব ছিল, সে বিষয়ে উদয়গিরির প্রস্তরলিপি, ধৌলিগিরির শিলাখোদিত অশোকানুশাসন এবং গুম্ফা প্রভৃতি উড়িষ্যার নানা বৌদ্ধকীৰ্ত্তি অকাট্য প্রমাণরূপে বিরাজিত রহিয়াছে। খৃষ্টীয় চতুর্থ কিম্বা পঞ্চম শতাব্দীতে বৌদ্ধপ্রভাব বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু তাহার পরেও উড়িষ্যা মগধের গুপ্তবংশীয় সম্রাটুগণের প্রতিষ্ঠিত বা অধীনস্থ কেশরী’বংশীয়, রাজগণের শাসনে ছিল। সুতরাং বলিতে হইবে যে খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে খৃষ্টপর দশম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত প্ৰায় চতুৰ্দশ শত বৎসর উড়িষ্যা মগধের সঙ্গে ঘনিষ্টরূপে সংসৃষ্ট ছিল। কেশরী’বংশীয় নৃপতিগণের সময়েও মধ্য দেশ ( প্ৰয়াগ অঞ্চল) এবং মগধ হইতে অনেক ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্ৰিয়-পরিবার উৎকলে আনীত হইবার প্রবাদ প্ৰচলিত আছে। অতএব উড়িয়া ভাষা যে প্ৰথমে মাগধীয় প্ৰাকৃত হইতে উৎপন্ন এবং তৎপরবত্তীকালে মধ্যদেশী এবং মাগধীহিন্দীভাষার প্রভাবােক্রান্ত, তাহ সহজেই অনুমিত হয়। বোধ হয় উৎকলের বৌদ্ধগণই (?) ওঢ় বা ওড়া নামে পরিচিত। উৎকলের ভুবনেশ্বর-খণ্ডগিরি-সন্নিহিত অঞ্চলই বিশেষরূপে ওড় বা ওঢ়াদেশ বা ওড়িশা নামে প্ৰখ্যাত এবং ঐ অঞ্চলেই বৌদ্ধদিগের বিশেষ প্ৰাদুৰ্ভাব ছিল। এরূপ স্থলে ‘বৌদ্ধ (৫)শব্দ হইতে ওড়া শব্দের বুৎপত্তি অনুমান করা অসঙ্গত বোধ হইতেছে না। শৈবধৰ্ম্মের অভু্যদয়ে এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মের পতনে তাহারা উড় নামে পতিত্ত ক্ষত্ৰিয়শ্রেণীতে ব্ৰাহ্মণগণ কর্তৃক সন্নিবিষ্ট হইয়াছিল। ঐ ওঢ়গণের নামানুসারে ‘ওড়িশা ভূখণ্ড এবং উড়িয়া ভাষার নামকরণ হইয়াছে*। - LLLLLL LLLLLLLLSLLLLLLLL LL LSL LLLLLL ১২ ইত্যাদি সংখ্যা-নির্দেশ সম্বন্ধে মন্তব্য, প্ৰবন্ধের শেষে ঐতিহাসিক টিপংপানীতে দ্রষ্টব্য। SS SBBB BBBD DBDDBDD SDDDS DBDBS BDDB BDD DDD SSDLiuHS gDE z DBBDBB BDBBY भूषा লিখিত ও পঠিত হইয়া থাকে। সেইরূপ ‘উড়িয়া" মা বলিয়া “ওড়িয়া" বলা যায়। দেশের সংস্কৃত নাম উড্র দেশ।