R O N9 * সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা ( 8 í MEN লোকের কলিকাতায় ইংরাজের আশ্রয়ে আসিয়া বাস করিতে লাগিল। ইংরাজেরা এই সময়ে কলিকাতার তিন দিকে গড় কাটাইতে লাগিলেন। ইহাই মহারাষ্ট্রনালা । এই কাজে মজুরেরা বেতন লয় নাই। অন্যান্য ব্যয় নগরবাসীরা চাঁদা করিয়া দিয়াছিল। ইংরাজের এই সময়ে সহরের ইউরোপীয়, আৰ্ম্মণী এবং ফিরিঙ্গীদিগেকে লইয়া ভলণ্টিয়ার সেনাদল গঠিত করিলেন । চাদ ও ভলণ্টিয়ারের এই সুত্রপাত । ইতিমধ্যে বেহার হইতে নবাবের কনিষ্ঠ জামাত জৈনুদ্দীন সসৈন্যে যোগ দিলেন। বর্ষাশেষে নবাবী সেনা কাটোয়ার দিকে অগ্রসর হইল। রাত্ৰিতে নৌসেতু করিয়া নবাবী সেনা কাটােয়া পার হইল। দুই তিন হাজার সেনা পার হইলে সেতু ভাঙ্গিয়া গেল। যাহা হউক আবার সেতু-নিৰ্ম্মিত ও মহারাষ্ট্ৰীয়ের যুদ্ধে পরাজিত হইয়া পঞ্চকোটের পথ দিয়া উড়িষ্যায় পলাইল। ইহা ১১৪৯ সালের আশ্বিনের ঘটনা। এই যুদ্ধে মুস্তাফা খান বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। মহারাষ্ট্ৰীয়েরা উড়িষ্যায় মাসুম খানুকে নিহত করিয়া দেশে চলিয়া গেল। হলওয়েল বলেন শিবরাও ধরা পড়েন এবং তঁহার সাহায্যে পেশাবা বালাজীরাও এর সহিত সন্ধি হয়। ইহার পর ১১৪৯ সালের শেষে (১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে ) বালাজীরাও স্বয়ং ১১লক্ষ টাকা চোখের জন্য বেহারের দিকে অগ্রসর হইলেন। রঘুজী ভোঁসলেও এই সময়ে নিজে বাঙ্গালার দিকে অগ্রসর হইলেন। বালাজীরাও সন্ধি অনুসারে নবাবকে সাহায্য করিতেই আসিতেছিলেন। বেহারের চোেখ দিয়া আলীবর্দি তাঁহাকে সন্তুষ্ট করিলেন। এই সময়ে S DBBBD DBDDBB DDB BDDBB BBBBB D DBDDD DDDD DBD একত্র তুহার বিরুদ্ধে যাত্রা করিল। রঘুজী এবার অসুধিধা বুঝিয়া বৰ্দ্ধমান হইতেই পলাইলেন। পরিবর্ষে রঘুজী ভাস্কর পণ্ডিতকে পাঠাইলেন, ভাস্করের উদ্দেশ্য চৌথ আদায় নহে, লুণ্ঠনে উপার্জন, কাজেই ভাস্কর বেশী অগ্রসর না হইয়া পশ্চিম-বাঙ্গালার নানাস্থানে লুঠতে লাগিল। আলীবর্দী ইহাতে বিপন্ন ও হতাশ হইয়া পড়িলেন, কারণ এবার ভাস্কর যুদ্ধ করিতে চাহে না, এক স্থানে তাড়া দিলে অন্য স্থানে সরিয়া গিয়া লুঠ করে। কাজেই মন্ত্রী জানকীরাম ও মুস্তাফাকে পাঠাইয়া সন্ধির প্রস্তাব করিলেন। তঁহারা নবাবের শিক্ষানুসারে কৌশলে ভাস্করকে মানকর নামক স্থানে নবাব দরবারে লইয়া আসিলেন। ভাস্কর দরবারে আসিলে লুকায়িত সেনারা তাহাকে হত্যা করিল । বাহিরে ভাস্করের অনুচর মহারাষ্ট্রসেনাদল অপেক্ষা করিতেছিল, তাহারা নবাবী সেনাদ্বারা হঠাৎ আক্রান্ত হইয়া পলাইল।। ১১৫০ সালে ( ०१88 शुछेicक ) डाश्म निश्ड दन। ইতিহাসের এই পৰ্যন্ত আমাদের মহারাষ্ট্র-পুরাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। পাঠকগণ দেখিবেন, ইহার সহিত কৰি গঙ্গারামের একটী কথারও অমিল নাই। গঙ্গারামের কবিতার মধ্যে যে সকল নামের উল্লেখ আছে, তাহাদের মধ্যে অনেকের পরিচয় উপরের লিখিত বিবরণে পাইয়াছেন। বাকী কয়েক জনের মধ্যে রাজারাম সিংহ নবাবের চরের অধ্যক্ষ ও মেদিনীপুরের ফৌজদার ছিলেন। ইহারই নিযুক্ত লোকে দেশের
