পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩১৩] ধৰ্ম্মমঙ্গল O হয়, গৌড়ের অধীন অনেক রাজা এই সৈন্যসহ যোগদান করিয়া ইছাই ঘোষক্ষে দমন করিক্তে ঢেকুরে গমন করেন। ময়নাগড়াবাসী কর্ণসেন এই দলের অন্যতর অধিনায়ক ছিলেন। গৌড়ের সমস্ত সৈন্য ইছাইঘোষকৰ্ত্তক পরাস্ত হয়। বৃদ্ধ কর্ণসেনের চারিপুত্র এই যুদ্ধে নিহত “ হয় ; পুত্ৰশোকে কৰ্ণসেনের পত্নী প্ৰাণত্যাগ করেন, কর্ণসেন সন্ন্যাসীর বেশে গৌড়েশ্বরের নিকট উপস্থিত হইয় তাহার দুঃখকাহিনী জ্ঞাপন করেন। গৌড়াধিপের রঞ্জাবতী-নুযায়ী এক সুন্দরী শুষ্ঠালিকা ছিল, বুদ্ধ কর্ণসেনকে রাজার অনুরোধে তাহাকে বিবাহ করিতে হইল । রঞ্জার সহোদর ভ্রাতা গৌড়েশ্বরের শ্যালক মহামদ এই সময় গৌড়ের মহাপাত্রের পদে প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন ; বৃদ্ধের সঙ্গে রঞ্জাবতীর বিবাহ মহামদের অগ্ৰীতিকর হইবে, এই আশঙ্কায় রাজা র্তাহার অজ্ঞাতসারে বিবাহ কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন। বিবাহন্তে মহামদ। এই ঘটনা জানিতে পারিয়া অত্যন্ত ক্ৰদ্ধ হন এবং কৌশলক্রমে কর্ণসেনকে গৌড় হইতে দুরু করিয়া দেন, কিন্তু । রঞ্জাবতী বৃদ্ধ স্বামীর পক্ষ অবলম্বনপূর্বক ভ্রাতার অমতে স্বামীসহ ময়নাগড়ে পলায়ন করিলে মহাপাত্রের ক্রোধের সীমা রহিল না। তিনি স্বীয় ভগিনীর উপরিই বিশেষ ভাবে ক্রদ্ধ হইলেন, তিনি রঞ্জাকে অভিশাপ প্ৰদান করিলেন যে, সে চিরবন্ধ্যা হইয়া থাকিবে । মহামদের এই ক্ৰোধজনিত নানা প্ৰকার দুষ্ট অভিসন্ধিই ধৰ্ম্মমঙ্গল-কাব্যের ভিত্তি । ময়নাগড়ে উপনীত হইয়। রঞ্জাবতী পুত্র-লাভের আশায় নানারূপ কৃচ্ছ, সাধন করেন, পুত্ৰক প্রার্থনা করিয়া তিনি ধৰ্ম্মসেবায় প্ৰাণ পৰ্য্যন্ত প্ৰদান করিয়াছিলেন বলিয়া কাব্যভাগে বর্ণিত আছে, ধৰ্ম্মের কৃপায় তাহার পুনর্জীবন লাভ হয় এবং তিনি অভীষ্ট বর লাভ করেন। অচিরাৎ তিনি পুত্ৰবতী হইয়া ভ্রাতার অভিশাপ বিফল করিয়া ফেলেন। এই পুত্রের নাম লাউসেন, ইনিই ধৰ্ম্মমঙ্গল কাব্যের প্রধান নায়ক । এই পুত্ৰ লাভের শুভসংবাদ গৌড়েশ্বরের নিকট প্রেরিত হইল, রাজা ও রাণী এই সংবাদে বিশেষ সন্তুষ্ট হইলেন, কিন্তু নবজাত শিশুর মাতুল মহামদের বিদ্বেষ প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল। মহাপাত্র চক্রান্ত করিয়া ঙিদা নামক এক চােরকে ময়না! গড়ে প্রেরণ করেন,-চোর অপগণ্ড শিশুটিকে চুরি করিয়া গৌড়াভিমুখে প্ৰস্থান করে। কিন্তু ধৰ্ম্মঠাকুরের কৃপায় হনুমানের দ্বারা সেই শিশু পুনর্বার মাতৃক্ৰোড়ে আনীত হয়, অধিকন্তু রঞ্জাবতী এই উপলক্ষে ধৰ্ম্মঠাকুরের সৃষ্ট আর একটি শিশু লাভ করেন, তাহার নাম কাপুর। এই শিশুটিকেও রঞ্জাবতী ঠিক গৰ্ভজ পুত্র লাউসেনের ন্যায় যত্নে লালন পালন করেন। কুমারদ্বীয় পাণিনি ও কলাপ-ব্যাকরণ পাঠ করিয়া ভারবি, ভটি প্ৰভৃতি কবির কাব্য ও পিঙ্গলকৃত ছন্দঃশাস্ত্ৰে অচিরে বুৎপন্ন হইলেন । ধৰ্ম্মঠাকুরের আদেশে হনুমান বৃদ্ধ মল্লাবেশে উপস্থিত। হইয়া লাউসেনকে যুদ্ধবিদ্যা-শিক্ষা প্ৰদান করেন । লাউসেন চণ্ডীদেবীর নিকট খড়গ লাভ করেন, ও সেই খড়েগির জন্য অপূৰ্ব্ব কারুকাৰ্যখচিত একখানি ফল বা বাট বিশ্বকৰ্ম্ম নিজে নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন। কুমারদ্বয় গৌড়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়া অনুমতি প্রার্থনায়। rBDuDuBDD DD DBDB DYYLS BDBDBSS DBBLE DBDDD LBDB gDB BB BDDDBB LS Lr BDBBBDDS DDD DS DBDBD BBBDBDB Di DDDB tBtY S BDBDD S