পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ত্রয়োদশ ভাগ).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

गंभ १७०७] রামাই পণ্ডিত ও যাত্ৰাসিদ্ধি S-9) লইয়া একটী প্ৰকাণ্ড পুষ্করিণীর ধারে যাইল এবং এক এক করিয়া সমগ্র ঠাকুরগুলিকে সজোরে তীর হইতে পুকুরের গভীর জলে ছড়িয়া ফেলিল। তখন বিস্মিত লোক সমবায়কে যশাই ডাকিয়া বলিল “এই আমি সমগ্র ঠাকুরগুলিকে জলে ফেলিয়া দিলাম, এখন আপনার দেখুন। আমি এই তীরে বসিয়া জলে হাত পাতিয়া প্ৰত্যেক ঠাকুরের নাম গ্রহণপূর্বক ডাকিতে, থাকিব, যিনি প্রকৃত ঠাকুর হইবেন তিনি আপনি ঐ গভীর জল হইতে আমার হাতে উঠিয়া আসিবেন। যশাই তাহাই করিল, লোকে স্তম্ভিত হইয়া দেখিতে লাগিল। স্বাদশটী ঠাকুর নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল, তাহার মধ্যে সত্য সত্যই কেবল যাত্ৰাসিন্ধি আসিয়া ভঁহার হাতে উঠিলেন, লোকে আনন্দে যশাইর জয়ধ্বনি করিতে লাগিলেন। কিন্তু যশাইরা তাহাতে তৃপ্তি হইল না, তিনি যে ঠাকুর পুজা করিতেন তাহার নাম ছিল বাঁকুড়া রায়। যশাই ভাবিল এতদিন আমি যাহার পূজা করিলাম, কই তিনি ষে উঠিলেন না ; যশাই ক্ৰোধাভরে বাঁকুড়ারায়কে ডাকিতে লাগিল, অনেক পরে বাঁকুড়ারায় ধীরে ধীরে জলের নিকটে আসিয়া দেখা দিলেন, কিন্তু হাতে উঠিলেন না, যশাই আরও রাগিয়া উঠিল। তখন ক্রোধাভরে যশাই একগাছি লাটী লইয়া রায়জীকে এমন প্ৰহার করিল যে, সেই তাহার কুৰ্ম্মমূৰ্ত্তির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পদদ্বয় ভাঙ্গিয়া শরীর হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল । সকলে মিলিয়া যশাইর ক্ৰোধ শান্তি করিতে লাগিল। যশাই আপন ঠাকুরের উপর ক্ৰোধ করিয়া ভঁহাকে আর জল হইতে তুলিল না, যাত্রাসিদ্ধিকেই লইয়া মন্দিরে আসিল এবং তদবধি যশাই যাত্ৰাসিদ্ধিকেই পূজা করিতে লাগিল। লোকেও যাত্রাসিদ্ধিকে প্রত্যক্ষ দেবতা বলিয়া জানিতে পারিল ; সন্মানের আর সীমা রহিল না। তদবধিই ময়নাপুরের এই যাত্ৰাসিদ্ধি পরম সম্মানিত। এ ঘটনাটী খুব অধিক দিনের নহে। ষশাইপণ্ডিত এখনকার বৰ্ত্তমান পণ্ডিত ক্ষেত্রমোহনের উৰ্দ্ধতম সপ্তম পুরুষমাত্ৰ । তুমি আমি যাহাই বিবেচনা করি, ব্রাহ্মণসন্তান রামাই পণ্ডিতের অনুপনয়ন বৃত্তান্ত শুনিয়া gED BDD BBBB SLsBBBS BB DBD DBBB DDB DBDDS LLDD DDD DBDB DBB DDBD ভাবিনা কেন, সেদিনকার যশাই কিন্তু ওসব কিছু বুঝত না, রামাই পণ্ডিতের সেকাল তখন ছিল না, তখন যশাইর ধৰ্ম্মঠাকুর-দেশের ধৰ্ম্মঠাকুর, সম্প্রদায়বিশেষের নহে। হিন্দু সমাজপুজ্য ব্ৰাহ্মণগণ ধৰ্ম্মঠাকুরের পুজক পণ্ডিতদিগেরও শ্রদ্ধাস্পদ। যশাই পণ্ডিত, নাকি বড় ব্ৰাহ্মণভক্তি ছিল, তাই কথিত আছে যশাই যখন মৃত্যুশয্যায় শয়িত, তখন তাহসিন্তানগণকে সে আদেশ করিয়া যায় যে ༧་མ་མེ་ মরিলে আমায় পোড়াইও না, আমার মৃতদেহ ধৰ্ম্মঠাকুরের মন্দিরের সন্মুখ ভূমিতে প্রোথিত করিয়া রাখিও । আমার উপর দিয়া ব্ৰাহ্মণগণ যাত্ৰাসিদ্ধির মন্দিরে প্রবেশ করিবেন, আমি তাহাতেই তেঁহাদের পদরেণু পাইয়া কৃতাৰ্থ হইব।” তাহাই হইয়াছে, যাত্রাসিদ্ধির মন্দিরে উঠতে হইলেই যে সিড়ি তাহার সম্মুখবন্তী, সেই ভূমিতেই তাহাকে পুতিয়া রাখা হইয়াছে। আমরাও দেখিলাম যেখানে যশাই প্রোথিত, সেইখানে সেই মাটীর উপর একখানি DBBDB KK gEDDgS DDB KEK DBBB BD DBDDS DDB BDL DD DDBBDB bţ* C'9 eţg