বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. a o সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ २झ ज६थाँ করণের লক্ষণেও আসে না, অধিকরণের লক্ষণেও আসে না । কোন কোনটা ক্রিয়ার বিশেষণের মত দেখায়, কিন্তু খাটি বিশেষ্যপদকে বিশেষণ বলাও দায় । “সানন্দে ভোজন করে’ এখানে সানন্দকে ক্রিয়াবিশেষণ বলা চলিতে পারে, কিন্তু ‘আনন্দে ভোজন করে’ বাঙ্গলায় তুল্যমূল্য হইলেও আনন্দ শব্দকে বিশেষণ বলিতে গেলে পণ্ডিতেরা লাঠি তুলিবেন । নিতান্ত কষ্টকল্পনা করিয়া কোনটাকে কারণ, কোনটাকে অধিকরণ বলা চলিতে না পারে, এমন নহে। কিন্তু সে ক্লেশের প্রয়োজন কি ? ফলে বাঙ্গলায় ঐ রূপ কষ্টকল্পনার দরকার নাই ; কোন বঁাধার্বাধি নিয়ম বাঙ্গালায় চলিৰে না । এই মাত্র বলিলাম “ক্লেশের প্রয়োজন কি ?” এখানে প্ৰয়োজনার্থক শব্দ যোগেও বাঙ্গালায় সম্বন্ধসূচক বিভক্তির যোগ হইয়াছে । কিন্তু ‘ক্লেশে প্রয়োজন কি ?’ বলিলেও বাঙ্গলায় কোন দোষ ঘটিত না । এখানে ‘এ’ বিভক্তি দেখিয়া উহাকে অধিকরণ বলিব না কি ? কাজেই বাঙ্গলায় ঐ রূপ অ্যাটা অ্যাটি চলিবে না । আমার বিবেচনায় বাঙ্গালায় করণ ও অধিকরণ দুইটা কারকে ভেদ রাখার প্রয়োজন ই। দুয়েরই বিভক্তিচিহ্ন সমান ; সর্বত্র অর্থভেদ বাহির করাও কঠিন। দুইটাকে মিশাইয়া একটা নুতন কারক নূতন নাম দিয়া প্রচলন করা যাইতে পারে। এমন কি, যে সকল স্থলে অর্থ ধরিয়া কারণ বা অধিকরণ এই দুই শ্রেণির মধ্যেও ফেলিতে পারা যায় না, অথচ বিভক্তির রূপ তৎসদৃশ ; সে গুলিকেও এই নূতন কারকের পর্য্যায়ে ফেলা চলিতে পারে। কৰ্ত্তা ও কৰ্ম্ম ব্যতীত আর যে সকল পদের সহিত ক্রিয়ার অন্বয় আছে, এবং যাহারা উক্ত বিভক্তি গ্ৰহণ করে, তাহারা সকলেই এই নূতন কারকের শ্রেণিতে পড়িবে। তাহাদের মধ্যে আর সুক্ষ্মবিভাগ কল্পনা করিয়া ইতারবিশেষ করা নিম্প্রয়োজন। ইংরেজি হিসাবে বলিতে গেলে প্ৰত্যেক predicate এর একটা Subject अicछ, একটা object Qift (5's পারে এবং তদ্ভিন্ন predicate এর বিবিধ adjunct থাকিতে পারে। এই ক্রিয়ার আনুষঙ্গিক adjunct গুলি ক্রিয়ার সহিত অন্বিত হইলে ‘এ’ বা “তে’ বিভক্তি গ্ৰহণ করে ; তা সে করণ হউক, আর অধিকরণই হউক, আর ক্রিয়ার বিশেষণের অর্থযুক্তই হউক। কৰ্ম্ম ও কৰ্ত্তা ব্যতীত আর যে সকল বিশেষ্যপদ ক্রিয়ার আশ্রয়ে থাকে, তাহাদিগকেও ঐ বিভক্তির খাতিরে এই নূতন কারকের কোঠায় ফেলা যাইতে পারে। ইহার নামকরণ আমার সাধ্যাতীত। মূল কথাটার মীমাংসা হইলে পণ্ডিতেরা নাম দিবেন। যে সকল পদ উক্ত ‘এ’ আর ‘তে’ বিভক্তি গ্ৰহণ করে, তাহারা কোন না কোন রূপে ক্রিয়াটাকেই অবলম্বন করিয়া থাকে মাত্র, ক্রিয়াটার কোন না কোন বিশিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়। “ঘরে চল” “বিছানায় শোও” “হাতে লও” “কাণে শোন” “ছুরিতে কাট’, ‘দাঁড়িতে বাধ’ সুখে ঘুমাও” “আনন্দে নাচ” “সঙ্গে চল’ হাতীতে যাবেন” এই সমুদয় উদাহরণে বিভক্ত্যন্ত পদটা ক্রিয়াকে কোন না কোন প্রকারে ব্যাখ্যাত করিতেছে। উহাদের মধ্যে সূক্ষ্মভেদ আনিবার প্ৰয়োজন নাই। উহাদিগকে কারক বলিতেই হইবে, কেননা ক্রিয়ার সহিত উহাদের সাক্ষাৎ