পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8te সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা ” [ ১ম সংখ্যা ছিলাম, সে সময় উহা অনাবশ্যক মনে করিয়া স্মরণ রাখি নাই। তবে বাগেরহাট মহকুমার প্ৰসিদ্ধ খাঞ্জালির দরগার বারের গীতের কতকাংশ আর মাগুরা মহকুমার শিমাখালিগ্রামের বারের গীতের কতকাংশ যাহা স্মরণ আছে, তাহাই এই স্থানে উদ্ধত করিব। বঙ্গের পাঠক তঁহার জানা বারগীতের স্মৃতি জাগাইয়া এই অধ্যায় পাঠ করিলে বুঝিতে পরিবেন যে, এই বারগীতে গ্ৰাম্য কবিতার কত কবিত্ব আছে। যখন পৌষ মাসের সেই দারুণ হাড়ভাঙ্গা শীতের মধ্যে নিম্নশ্রেণীর স্ত্রীপুরুষ খােঞ্জলির দরগাবারে যাইতে থাকে তখন তাহারা গাইতে থাকে। যথা ‘दवा डांछे अभिन-अभिन, ७ उांझे अभौन ! পীরের দরগায় গেলে রাজা ছেলে পায় কোলে, পাপের আগুণ নিবে যায়। দরগা পুকুরের জলে । * * * কানায় দেখে পথের বালি শুনে লোকের মুখে, পয়সা কড়ি চিড়ে মুড়ী লয়ে চলে রুখে । এই ত হইল দরগা বারের গীতাৰ্দ্ধ ; এখন শিমাখালী বারের গীতাংশ শুনুন।-চৈত্র মাস ভীষণ রৌদ্র-পথে আশ্রয় নাই। অথচ সদ্যঃপ্রসূত শিশু লইয়া নিম্নশ্রেণীর হিন্দুকুলললনাগণ বারে যাইতেছে। সঙ্গে দুই একটি অপরিণত বয়স্ক বালকই রক্ষক। প্ৰসুতির সঙ্গিনী রমণীগণ দিগন্তে কণ্ঠস্বর মুখরিত করিয়া গাইতেছে, আর সেই প্রখর চৈত্র রবিকরদগ্ধ মুহমান সমীর তাহা ভাস্করের উত্তপ্ত গগন-আসন পৰ্য্যন্ত লইয়া পৌছাইতেছে। পথে মধ্যে মধ্যে কোন নাতি ছায়াযুক্ত ঝোপের আড়ে রমণীদল বসিয়া সঙ্গের রক্ষিত ঘটের উতপ্ত জল পান করিতেছে, আর স্ব স্ব পারিবারিক সুখদুঃখের আলাপ করিতে করিতে অদ্ভুত মহিমাকাহিনী মুক্তপ্ৰাণে কীৰ্ত্তন করিাতেছে। বর্ষীয়সী সঙ্গিনী বলিতেছেন “তোর ভয় নাই লো-গছ তলার ধূলিতে তোর স্বামী বশ করতে পারিবি”-অমনি আবার অপরাসঙ্গিনীগণ ভক্তির ফোয়ার ছুটািইয়া গাইতেছে। যথা “হরি নামের লুট নিবি কে আয় ঠাকুরের কাছে। যে যা চাস পাবি লো তাই ঐ দেখা ঠাকুর যাচে। এমন দয়াল ঠাকুর আর নাইকো কোন খানে । ধন্য শিমেখালির হাট ঠাকুরের আসন যেই স্থানে। আয় লো যত রোগী তাপী চন্নামেত্য পেয়ে । পায়ের ধূলা তুলে নিয়ে আঁচল ভরগে গিয়ে। * * * * কত কানা খোড়া । গাছ তলাতে শুয়ে হলো পা তাদের জোড়া । যত নারী লোক সব যায় শিমেখালি, হাতে পান গুয়ার থলি । যখন যায় মুখ শুখিয়ে, তখন কোটা খুলে বসে ঠ্যাং মিলায়ে, श्रांप्नब्र छुरेख आणि ।