বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বাদশ ভাগ).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जन s७s२ ] নিরক্ষর কবি ও গ্রাম্যকবিতা । 학 89 দুটা পয়সা নিয়ে যায় বাজারের পর, কেনে পদ্মপাপড়ি-খর, কেউ কিনে বালা চুড়ি, কেউ কেনে পাচুনহরি, কেউ বলে ওলো দিদি এবার বড় দর। যত ফচকেরা সব নারী দেখতে যায়, কোনটা কোন ভাবে দাঁড়ায়। জানে না ভক্তিতত্ত্ব, নাহি তায় আত্মতত্ত্ব, এই কথা পাচুদত্ত বলে দোষ হয় ৷ এই গীতটিতে নানারূপ পাদযোজনা আছে। সমস্তাংশ আমার স্মরণ নাই, অথবা যাহা আছে তাহাও সকল উদ্ধৃত করিলাম না, কেন না নিরক্ষর গ্ৰাম্য-কবিগণের কবিত্ব-মাধুৰ্য ইহাতে তত নাই। তবে গ্ৰাম্যকবিতার একটা অংশ বলিয়া যাহা উদ্ধত হইল-ইহাতে পাঠকপাঠিকা তৃপ্ত হইবেন, ইহাই প্ৰবন্ধলেখকের অনুরোধ । অতঃপর বঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলার প্রচলিত চৈত্র মাসের “অষ্টকগীত” উল্লেখ করিব । বঙ্গের পাঠকগণ এখন একবার আসুন। এই প্রসঙ্গে হিন্দুজাতির দেবদেবী পুজার কতকটা অংশ স্মরণ করুন। দেখিবেন যে হিন্দুজাতি ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে কতদূর গ্ৰাম্যপ্রথার এবং কুসংস্কারের দাস হইয়াছে।

  • চৈত্র মাসে “চড়ক পূজ” নামে একটি উৎসব সম্পন্ন হইয়া থাকে। এই চড়কের পূজায় শিব পূজা হয়। কিন্তু দুঃখের কথা, এই পূজার শিবোপাসনা আমাদের শাস্ত্রসন্মত নহে। শাল, শেল, বালা, ঢাকি, হাজরা, নীল, ধূল, মেড়ার মাথী, চণ্ডাল প্রভৃতি লইয়া এই পূজার ব্যাপার নিম্পন্ন হয়। এতদ্ব্যতীত এই চড়ক পুজার অন্যান্য ষে সকল নিয়ম আছে, তাহার অধিকাংশই নীচজাতির ব্যবহারোপযোগী । এমন কি, এই পূজায় যে গীতগুলি প্রচলিত আছে, উহারও ভাবভঙ্গী গাইবার ধরণ, বাজনা, সুর, তাল, শব্দবিন্যাস নিতান্ত সাধারণভাবে গঠিত। বালা নামক চড়ক পূজার প্রধান পাণ্ড সমস্ত দিন উপবাস থাকিয়া চৈত্রের ভীষণ রৌদ্রে লোকের বাড়ী বাড়ী যে ত গান করিয়া থাকে, তাহার সুর, ভাব, নৃত্য এবং শব্দবিন্যাস শুনিলে ইহা নে আৰ্যজাতির উপাসনার অঙ্গ তাহা তাঁদৌ স্মৃতিতে আইসে না । বালা মহাশয় ঢাকের বাজনাসহ নাচিয় নাচিয়া গাইতেছেন যথা

১। উত্তর থেকে এলো দেবী লাল কাপড় গায় হাড়ের মালা গলায় দিয়ে পূজা খেতে চায়। পুজা না পাইয়া দেবীর দন্তের কড়মড়ি নারী লোকে দেও হুলু বল শিবের ধ্বনি। ২ । বোর ধানের আলিতে ছিল কটকটে ব্যাং লাফ দিয়ে এসে ধরল রায় বালার ঠ্যাং। রায় বালা রায় বালা ধৰ্ম্ম অধিকারী শিবের নামে ঢাক বাজাইয়ে বল হরি হরি। 5ज़्क-शूल।