శి8 সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ । প্ৰয়োজন হয়, তখন গদ্য রচনা নিরতিশয় আবশ্যক হইয়া উঠে। প্রাচীন সময়ে কবিতার প্রাধান্য থাকাতে প্ৰাচীন কালের গদ্যও অনেকাংশে কবিতার প্রণালীতে লিখিত হইত। এজন্য উহাতে সেই অনুপ্রাসচ্ছটা, অলঙ্কারবৈচিত্রা, উৎকট উপমার সমাবেশ দেখা যায়। আবার দেবভাষা সংস্কৃতের উপর সবিশেষ ভক্তি থাকাতে, সংস্কৃত শব্দের সহিত অসংস্কৃত শব্দ প্রয়োজিত হইলে, পাছে সংস্কৃতের মৰ্য্যাদা হানি হয়, এজন্য লেখক প্ৰভূত পারিমাণে সংস্কৃত শব্দেরই প্রয়োগ করিয়া থাকেন। যখন প্ৰাদেশিক শব্দের ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তখন গ্ৰাম্য ভাষারই ছড়াছড়ি দেখা যায়। কালক্রমে রুচির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গৃদ্য রচনাও সংস্কৃত হয় এবং উহা প্ৰাঞ্জলভাবে ও মাধুৰ্য্যগুণে লোকের চিত্তরঞ্জক হইয়া উঠে। “ওরে কুষ্মাণ্ড ষণ্ড, এই প্ৰকাণ্ড ব্ৰহ্মাণ্ডের কাণ্ড দেখিয়াও কাণ্ডজ্ঞান শূন্য হইয়া, বিকাণ্ড প্ৰত্যাশার ন্যায়। লণ্ডভণ্ড হইয়া, ভণ্ড সন্ন্যাসীর পৃষ্ঠায় ভক্তিভাণ্ড ভঞ্জন করিতেছ” এরূপ গদ্যে এখন আর পাঠকের হৃদয় আকৃষ্ট হয় না । লেখকও এরূপ গদ্য লিখিয়া প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিতে পারেন না। শিক্ষার গুণে, রুচির মার্জিত ভাবে, আধুনিক গদ্যলেখক আপনার রচনা ক্ৰমে উৎকৃষ্ট রীতিতে পরিশোধিত এবং উৎকৃষ্ট ভাবে শ্ৰীসম্পন্ন করিায়াছেন ; কিন্তু বাঙ্গালী কবিতার সম্বন্ধে এই কথা খাটে না। প্রাচীন কবি চিরদিনই প্ৰকৃতির উপাসক এবং সরলতার পরিপোষক ; বঙ্গের প্রাচীন কবিকুলও সরল ভাবে প্ৰকৃতির উপাসনা করিয়াছেন। তঁহাদের নিৰ্ম্মল কবিতা-ধারায় কোনরূপ বিজাতীয় রীতির পঙ্কিলভাবের সমাবেশ নাই। আধুনিক কবিগণ এইরূপ সারল্যের অধিকারী হইতে পারেন নাই। বিজাতীয় ভাবস্রোতে ভাসমান হইয়া, তঁহারা যে কবিতার সৃষ্টি করিতেছেন, তাহ। স্বদেশবাসিনী এবং জাতীয় ভাষার স্নেহপালিতা দুহিতা হইলেও অনেক সময়ে স্বদেশীয়ের "সমক্ষে অপরিচিত বিদেশিনীর বেশে উপস্থিত হইয়া থাকে। উহা যেরূপ স্বাভাবিক সৌন্দৰ্য্যে বঞ্চিত হয়, সেইরূপ সরল ভাবেও বিসৰ্জন দিয়া থাকে * । বাঙ্গালা গদ্য সাহিত্য পদ্যের ন্যায় প্রাচীন নহে। প্ৰায় এক শতাব্দী হইল বাঙ্গালায় মুদ্রিত গদ্য গ্রন্থের প্রচার হয়। শত বৎসর পূর্বের হস্তলিখিত গদ্য গ্রন্থের পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণের মধ্যে তাহার প্রচার হয় নাই। উপস্থিত প্রবন্ধে মুদ্রিত গদ্যগ্রন্থের পরিচয়সহ সাধারণতঃ গদ্যরচনার বিবরণ লিখিত হইবে। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠিত এবং মুদ্রাযন্ত্র স্থাপিত হইলে বাঙ্গালায় রামরাম বসুর প্রতাপাদিত্যচরিত্র (১৮০১ ) ; রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের রাজা কৃষ্ণচন্দ্ৰচরিত্র ১৮০১ ( লং সাহেবের তালিকায় ইহা hisuli— - S DBDttBD DBDDSBSBBSBYD DuuDuDSDBBB DDS DBBBDDD DDD D DDYS SKKD S DB DDut BBBiD DDLYDSS tD LLDB BDD ruD श्ठेज, ठाशा वर्द्धभान का।tञ्जम्न अक्षिका९ल कपिउाछ DBDB DBLSS DBBBBD DDD EEE DDB DBDBB BDtBut tBDD iDBBD , s DDBBDLD uuY DK KLKLD DD DDDDDSSY KS
