পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હર সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা । [ বৈশাখ প্ৰত্যক্ষভাবে অন্য কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ না করিলেও, সাহিত্যের উন্নতি সাধন দ্বারাই পরিষদ সকল অভাব দূর করিবেন। কেন না। সাহিত্য দ্বারাই সাধারণের মন গঠিত হয় ; ধৰ্ম্মতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, শিল্প, সমস্তই সাহিত্যসেবা দ্বারা লাভ করিতে পারা যায়। সাহিত্যের যতই প্রচার হয়, ততই সাধারণে নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে। মানুষের অন্য কোন নিদর্শনই চিরস্থায়ী নহে। উৎকৃষ্ট সাহিত্য চিরকাল জগতের ইতিহাস হইয়া অটলভাবে রহিয়া যায়। মানুষকে অমর করিবার এমন উপায় আর ইহ জগতে নাই। কত কত মহাত্মা নাম চিরস্থায়ী করিবার জন্য কত শিল্পজাত প্ৰস্তুত করিয়াছেন ; কোটী কোটী স্বর্ণমুদ্রা ব্যয় করিয়া কত কত অট্টালিকা, মন্দির, পিরামিড, প্ৰতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মিত হইDBD S DBD DDB BDBDBBtu BDDD DDBD S DDDD BBB BBB BDBDBD DBDBD BDBBD হইয়াছে, কিন্তু সেই অতি প্রাচীন কালের বেদ বেদান্ত সংহিতা প্ৰভৃতি অটলভাবে অবস্থিত হইয়া, প্ৰণেতার অনন্ত শক্তির পরিচয় প্ৰদান করিতেছে। যতই পুরাতন হইতেছে, ততই ঐ সকল অমূল্য রত্ন দেশে দেশে প্রস্বত হইয়া, সমুজ্জল রশ্মি বিস্তার করিতেছে। সুসাহিত্য যে সময় প্রথম প্ৰকাশিত হয়, সে সময় হয় ত কেবল স্বদেশমধ্যেই নিবদ্ধ থাকে, কিন্তু যত পুরাতন হইতে থাকে, ততই উহার প্রসর বৃদ্ধি হইয়া, কালে পৃথিবীময় ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। সুতরাং সাহিত্য বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যদ্বংশীয়, সকল শ্রেণীর লোকেরই উপকার সাধন করিয়া থাকে। আমরা প্রাচীন কালের সাহিত্য দ্বারা অশেষবিধ উপকার পাইয়া থাকি, অধিক কি, আমরা যাহা কিছু করি, সমস্তই প্ৰাচীন সাহিত্যের সহায়তায় সুসম্পন্ন হয়। যদি আমরা প্রাচীন সাহিত্যের সহায়তা না পাইতাম, তাহা হইলে আমাদের নিরতিশয় দুরবস্থা DBDSS BDBBBDBDBD DBDBBD DBDS BBD BBDD DD BBD DBDB DBDBDDBD DS BBBB BBBS DBDD BDBBB DBBDD DDSS BB DBDBD iD DDD DDSB DuDuDB মনুষ্যনামের উপযোগী নহে; এই বিভব যে জাতির যত অধিক, সে জাতি তত উন্নত ও সভ্যপদবাচ্য। কিন্তু অসার সাহিত্যের আধিক্য হইলে বিপরীত ফল লাভ হইয়া থাকে। সুসাহিত্য দ্বারা দেশের যে পরিমাণে মঙ্গল সাধিত হয়, কুসাহিত্য দ্বারা সেই প্ৰকার বা তদপেক্ষা অধিক অমঙ্গল সংঘটিত হয় ; সেইজন্য যাহাতে কুসাহিত্য দেশমধ্যে অধিক প্রসর লাভ করিতে না পারে, সকল দেশের পণ্ডিতগণই তাহার চেষ্টা করিয়া থাকেন । আমাদের দেশে এক্ষণে সাহিত্যের বিলক্ষণ চৰ্চা আরম্ভ হইয়াছে বটে, কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, অধিকাংশ সাহিত্যই দোষযুক্ত। সেই সাহিত্য সেবা করিয়া দেশের সাধারণ জনগণ অনিষ্টকর পথে অগ্রসর হইতেছে। আধুনিক সাহিত্য-লোতের উৎপত্তির পূর্বে এদেশে বাঙ্গালা সাহিত্য নিতান্তই অল্প ছিল। এজন্য পণ্ডিতগণ সংস্কৃত সাহিত্য সেবা দ্বারা জ্ঞানপিপাসা নিবারণ করিতেন। সাধারণে সংস্কৃতের মৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিতে পারিত না বলিয়া, সংস্কৃত সাহিত্যের রত্নভাণ্ডার হইতে মহাভারত রামায়ণ প্রভৃতি অমূল্য রত্ন গ্ৰহণ করিয়া, তদবলম্বনে বাঙ্গালাভাষায় কয়েকখানি গ্ৰন্থ রচিত হয়। সাধারণ জনগণ সেই সুধা পান