পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ঙ . . . . . ' সাহিত্য-পরিষদ-পত্রিকা। কেবলধ করা একান্ত দুঃসাধ্য। সাহিত্যবিষয়ে আলোচনা করিতে বসিয়া, সে চিত্র অঙ্কিত করাও স্বাক্ষ - তই দক। পন্থরচনা বালকদের একচেটিয়া বলিলেই হয়। কেন না এক্ষণে পদ্য লেখা, খুবই সহজ। এক্ষণে আর পদ্যে অক্ষর মিলাইতে হয় না। অমিত্ৰাক্ষর পদ্যের গৌরব বৃদ্ধি S S DDDDS DDBBDB BDBD DDBBDBDB BD DBS DDDB DDBDS BBB DBBD DBDB DBBBD DBDB DDDBB BBDDB BBBBDD DDD DDSDBBDBBDDS BBDuDuD DBS BD প্রকারে অক্ষরসংখ্যা ঠিক রাখিতে পারিলেই হইল ; তাহারও পথ এক্ষণে অতি সহজ হই, য়াছে। কেন না, কবিরা ইচ্ছা করিলেই কোন শব্দের বর্ণসংখ্যা কমাইতে ও বাড়াইতে পারেন। যতির জন্যও এক্ষণে কবিদিগকে বেশী ভাবিতে হয় না, যেহেতু এখন পদের শেষে স্বাসপতন করিবার প্রয়োজন নাই, যেখানে ইচ্ছা, সেই খানেই শ্বাসপতন করিতে BB DBSS BBDB BB BD S S D DBBDL BB DDBD DDD SDDD DB DD সমস্তই এখন উন্থ রাখা চলে। বিলাত হইতে চিহ্ন নামে কতকগুলি বৰ্ণ আসিয়াছে, এক্ষণে তাহারই সাহায্যে ভাষার অর্থ করিতে হয়। এইরূপ নানাপ্রকার কলের সাহায্যে গদ্য ও পদ্যগ্রন্থ জন্ম লাভ করিতেছে। কিন্তু সে সকল দ্বারা দেশের কি উপকার হইতেছে? প্রখ্যাতনামা গুণাকর ভারতচন্দ্র রায়ের বিদ্যাসুন্দর অতি সুললিত গ্ৰন্থ। এমন কি বাঙ্গালা ভাষায় এ পৰ্য্যন্ত যত গ্ৰন্থ প্রচলিত হইয়াছে, বোধ হয়, কোনখানিই উহার ন্যায় সুমধুর নহে। কিন্তু উহা অশ্লীল বলিয়া তাদৃশ আদরণীয় নহে। জিজ্ঞাসা করি, এক্ষণে যে সকল নাটক নবেল প্ৰকাশিত হইতেছে, তাহার অধিকাংশেরই ঐ গুণ ছাড়া, কি আর কোন গুণ দেখিতে পাওয়া যায় ? কখনই না। প্ৰভেদ এই, • এখনকার কাব্যাদির অশ্লীলতা বিলাতী চাকচিক্যময় বেশে প্রতিভাত। ঐ অশ্লীলতা একটু প্রচ্ছন্ন। ঐ প্রচ্ছন্ন অশ্লীলতা পয়োমুখ বিষাকুম্ভের ন্যায়, মধুরভাষী প্ৰতারক বন্ধুর ন্যায় আমাদের নানা অনিষ্টের কারণ হইয়াছে। অতএব যাহারা ভয় করেন, পাছে সাহিত্যকে নিয়মিত করিতে গেলে আধুনিক বঙ্গসাহিত্যের প্রাচুৰ্য্য কমিয়া যায়, তঁহাদের এই বলিয়া সান্তুনা লাভ করা করা উচিত যে, যে সাহিত্য দেশের এবম্বিধ দুরবস্থার কারণ, অথবা অন্ততঃ যে সাহিত্য দেশের দুরবস্থামোচনে সমর্থ হইতেছে না, তাহার অল্পতা ত দূরের কথা, তাহার লোপ হইলেই মঙ্গল। পূর্বে লোকে রামায়ণ মহাভারত পড়িয়া সুনীতিসম্পন্ন হইতেন ; এক্ষণে উল্লিখিত নূতন ধরণের আশুগ্ৰীতিকর নাটক নবেল পাইয়া, সকলে সে সকলের পাঠন পরিত্যাগ করিয়াছেন। এ কুসাহিত্যের লোপ হইলে যদি বাস্তবিকই তাহার স্থানে নূতন সুসাহিত্য প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহা হইলে আবার রামায়ণ মহাভারত তাহার স্থান অধিকার করিবে। এইরূপ হইলে উন্নতি না হউক, অবনতির হস্ত হইতে আমরা রক্ষিত হইব। অতএব সাহিত্যকে নিয়মাধীন করিতে ভয় পাইবার কোন কারণ নাই। এক্ষণে কথা এই, সাহিত্যকে নিয়মিত করিবে কে ? রাজা ইহাতে হস্তক্ষেপ করিবেননা, করিলেও তাঁহাতে সুফল ফলিবে না। আলঙ্কারিকেরও এক্ষণেসে প্রভূত নাই। তবে কে সাহি।