পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চদশ ভাগ).pdf/৩১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা 8ܣܛ ভাষা যে পাগডিত্যপূর্ণ হইবে, তাহাতে দ্বিরুকৃতি নাই । যদি কেহ লোক শিক্ষার অভিপ্ৰায়ে পাগডিত্যপূর্ণ অবোধ্য ভাষা লিখিয়া যান, তাহা হইলে তাহা ভাষার দোষ নহে, লেখকের কা0ড-জ্ঞানের অভাব । তারানাথের কাদম্বরী কি মধুসূদনের মেঘনাদবধ ব%গ- ভাষার গৌরব । তেমনই কৃত্তিবাসের রামায়ণ ও কাশীরামের মহাভারত বাণ গালী পাঠক কখনও ভুলিবে না। } প্রকৃতির বৈচিত্রের ন্যায় মানব প্রকৃতির বৈচিত্ৰ্যও আনন্দ রসের উৎস । কথাটা সেই পুরাতন বিবাদ, কথিত ও লিখিত ভাষার প্রাধান্য লইয়া তর্ক । ইং ১৮৭৭ সালে শ্ৰীশ্যামাচরণ গাংগুলী এই তর্ক উপস্থিত করিয়াছিলেন । সাহিত্যরার্থী বগকিমচন্দ্ৰ উত্তরে লিখিয়াছিলেন, ‘অনেক স্থলে তিনি ( গান্০ গুলা মহাশয় ) কিছু বেশী গিয়াছেন ৷” সেই সময়ের পর ত্ৰিশ বৎসর চলিয়া গিয়াছে । কিন্তু তর্ক যেখানে ছিল, BBB BBDBBD BBBDSS S BBB S BBBBS BBBB BBBB SLBBB BBDBS BD DS q BB BBS সত্য, চল্লিশ প%চাশ বৎসর পূর্বের লিখিত বাণ গলার তুলনায় আজি কালির ভাষায় অপ্ৰচলিত সংস্কৃত শব্দ কম হইয়াছে { ৩৮। আশ্চর্যের কথা, ব’গের বাহিরে ভারতের অন্যান্য প্রদেশেও বাপ গলা ভাষার পুরাতন তর্ক উঠিয়াছে। কেহ কেহ মাতৃভাষাকে স০স্কতশব্দময় করিবার লোতে পড়িতেছেন। আর ও আশ্চর্যের কথা, সকল প্রদেশেই লেখকের। দুই দলে বিভকত তইতেছেন, কেহ বা শব্দের السيد அஒரrஒர அ7 (க লিখিত ভাষায় 이 "F | কথিত রুপের পক্ষে, কোচ, ব। সে ভাষাকে পামরের ভাষা মনে করিয়া তাহাকে শুদধ করিতে অভিলাষা। এমন কি, তেলুগু তামিল লেখকদিগের মধ্যে অনেকের লেখায় দ্রাবিড় শব্দের পরিবতে সংস্কৃত শব্দ শোভা পাইতেছে। এক লিপিBBBDBSDBBBBB DBDBBS KBBBBBSD SSBBBKBS KB BBDBB BDKD K LDDSS BDuBBSS S BBBBB BDBD হইতে ভারতবর্ষ আৰ্যভাষা, ধৰ্ম্ম, সভ্যতা, আচার ব্যবহার নিজের করিয়া লইয়াছে । তাই আর্ষিনামে আর পৃথক জাতি নাই, ভ{ষা নাই, ধাম নাই । সে জাতি নিশ্চয়ই বতমান জাতিতে বিদ্যমান আছে । দেশের প্রাচীন ও বািতমান অবস্থা। স্মরণ করিয়া। লোকে কীতিশালী প্রাচীনের দিকে দৃষ্টিপাত করিতে উৎসুক হািতয়াছে । নান। বিষয়ে মনের এই গৃঢ় ক্রিয়ার লক্ষণ দেখা যাইতেছে । উচ্চ আদর্শ থাকিতে কে নিয়ে থাকিতে চায় ? ভাষা বিষয়ে এক নুতন যুকুতি এই যে, ভাষার শব্দের সংস্কৃতরূপ হইলে এক প্রদেশের ভাষা অন্য প্রদেশের বোধগম্য হইতে পরিবে। যদি লিখিত ভাষাকে সাধুভাষা এবং কথিত ভাষাকে প্ৰাকৃত ভাষা বলা যায়, তাত হইলে সাধু ওড়িয়া হিন্দী মরাঠা বাপ গল৷ প্রভৃতি ভাষা পরস্পরের নিকটবতী হইতেছে । ইংরেজা শিক্ষার প্রভাবে রচনা ভ০াগী ও এক প্রকার হইয়। উঠিতেছে । ইহা শুভ সংবাদ সন্দেত নাই যে, অনেকের মনে এক ভারত ভাষার অভাব উঠিয়াছে ।