পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিজ রামচন্দ্রের দুগামঙ্গল। لا د ۰ه د ٢٦* পুত্র ও ইন্দ্ৰসেনা নামী কন্যা জন্মগ্রহণ করিয়াছিল। “দুর্গামঙ্গলে’ আছে, নলের ৯ জয়ন্ত নামে পুত্র ও চন্দ্রমুখী নামে কন্তী জন্মিয়াছিল ; জয়ন্তকে রাজপদ অভিষিক্ত করিয়া নল ও দময়ন্তী কৈলাসে গমন করিয়াছিলেন । এখন মহাভারতে ও নৈষধচরিতের সহিত এই কাবীের\কল্পনাগত, যে সকল সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য লক্ষিত হয়, উহার কিঞ্চিৎ বিবৃত হইতেছে। . নলোপাখ্যানে আছে, বিরহাতুর র্নল বনমধ্যে সুবর্ণের ন্যায় সুন্দর কতকগুলি হংসকে দেখিয়া উহার একটি ধরিয়াছিলেন।*।। নৈষধকার শ্ৰীহৰ্ষ স্বীয় কল্পনার সাহায্যে হংসগণের মধ্যস্থ একটি মাত্র সুবৰ্ণময় হংস তাহদের স্বাভাবিক বিচরণস্থল কেলি-সরোবরে ক্রীড়া করিতেছিল, এইরূপ বর্ণন করিয়াছেন । এই হংসই নলরাজার বিবাহের ঘটক। কেন যে হংসের সুবৰ্ণময় দেহ হইয়াছে, তাহাও কবি হংসের মুখেই ব্যক্ত করিয়াছেন । কবিবর রামচন্দ্র এ স্থলে কল্পনা সঙ্গিনীর প্ৰিয়বন্ধু শ্ৰীহৰ্ষেরই অনুসরণ করিয়াছেন, তিনি লিখিয়াছেন ;- “ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে গেলা সরোবর তীরে। অপুর্ব হংসের মালা খেলা করে নীরে৷ লোহিত চরণ চঞ্চু সুবর্ণের পাখা । সরোবরে খেলা করে নিরমল রাকা ৷ হংস দেখি আনন্দিত নৃপসুত সুখে। অল্পে অল্পে এক হংস ধরিল কৌতুকে ৷” আবার হংসের সহিত প্ৰথম কথোপকথনে কবি রামচন্দ্ৰ শ্ৰীহর্ষের কথাগুলির প্রায় অবিকল অনুবাদ করিয়াছেন । নল হংসকে ধরিলে হংস বলিতেছে,- “আমার দুঃখের কথা নাহি দিতে ওর। পক্ষিজাতি বটি কিন্তু বহুপোষ্য মোর। জনক জননী জরাগতিশক্তিহীন । নবীন প্ৰসূতা বধু আতি অল্পদিন ৷ খুটে না খাইতে পারে যমক শাবকে। আমার বিহনে সবে বঁচিবে কি শোকে ॥ ৪ কাতরে কহিছে, হংস শুন মহারাজ । আমাকে বধিলে তোমার কিবা হবে কাজ ৷ দেখিয়া সুবর্ণপক্ষ যদি বধ পাছে । এ হেন সুবৰ্ণ তোমার কত পড়ে আছে ৷ সশৈল কানন পৃথ্বী তব অধিকার। লাইতে আমার সোণ কিবা উপকার ৭্য ৷ সি দদর্শ ততো হংসান জাতিরূপ পরিকৃতান। বনে বিচরতাং তেষামেকুং জগ্ৰাহ পাণিনা।” ( মহাভারত বনপৰ্ব্ব ) + “পয়েধি লক্ষ্মীমুষি কেলিপ্যন্বলে বিরং সুহংসীকলনাদসান্দরম। স তত্ৰ চিত্ৰং বিচরন্ত মস্তিকে হিরন্ময়ং হংস মবোধি নৈষধঃ ॥” ( নৈষধচরিত ১,১১৭ লোক) * “স্বৰ্গাপগহেমমৃণালিনীনাং নালামৃণালাগ্রভুজো ভজামঃ , অন্নানুরূপাং তনুরূপঋদ্ধিং কাৰ্য্যং নিদানাব্ধি গুণানিধীতে...” ( নৈষধচরিত। ৩১৩ শ্লোক) $ “মদেকপুত্রা জননী জরাতুর নবপ্ৰসুতির্বরটা তপস্বিনী। গতিস্তয়োরোষ জনস্তমদর্দয়ন অহােবিধে ত্বাং করুণা রূপদ্ধি না।” ( নৈষধচরিত। ১১৩৫ শ্লোক) ৭া “ধিগস্তু তুষ্ণাতরলং ভবম্মনঃ সমীক্ষ্য পক্ষীস্মম হেমজন্মনঃ। ভবাৰ্ণবস্তেব তুষারশীকরৈঃ ভবেদমীভিঃ কমলোদয়ঃ কিয়ান।।” ( নৈষধচরিত ১৷৷১৩০ শ্লোক)