পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ], উপসর্গের অর্থ বিচার। SR3 “অমুকের মুখচ্ছবি আমার অন্তঃকরণে, নিবিষ্ট রহিয়াছে।” তবে ভাবে বুঝায়-যে, তাহা আমার অন্তঃকরণে এমনি সেঁধিয়া রহিয়াছে যে, তথা হইতে তাহাকে নড়ানো সুকঠিন। ওবা ভূত ঝাড়াইতে পারে, সাত্মনা-বাক্য ক্ৰোধ ঝাড়াইতে পারে, কিন্তু অন্তর্নিবিষ্ট ছবি সেখান হইতে স্থানান্তরিত করা—কাল যদি পারে তো পারে—নহিলে তাহা দেবতারও অসাধ্য। সংলগ্ন বস্তু মাত্ৰই প্রথমতঃ দূর হইতে নিকটে উপনীত হয় ; দ্বিতীয়তঃ সংলগ্ন হওয়া কপালে তাহা আশ্ৰয়-স্থানের দূর হইতে নিকট পৰ্যন্ত প্রসারিত হয়। রাণ গাত্রে সংলগ্ন হইয়াছে বলিলেই বুঝায় যে, প্রথমতঃ তাহা দূর হইতে আসিয়াছে, দ্বিতীয়তঃ তাহা অপেক্ষাকৃত দূরবীৰ্ত্তী পক্ষযুক্ত" সুন্মাংশ হইতে নিকটবৰ্ত্ত তীক্ষ ফল পৰ্যন্ত প্রসারিত। পূর্বোক্ত ভাৰটি, অর্থাৎ দূর হইতে নিকটে আসিবার ভাবটি, আগমন, আনয়ন, আয়োজন প্রভৃতি শব্দের আ-উপসর্গে খুবই স্পষ্টকার ধারণ করিয়াছে। শেষোক্ত ভাবটির মধ্য দিয়া, অর্থাৎ ‘সংলগ্ন বস্তু অপেক্ষাকৃত দূর হইতে নিকট পৰ্যন্ত প্রসারিত’ এই ভাবটির • মধ্য দিয়া আ-উপসর্গের অর্থের মধ্যে অনেক সময় অবধি এবং পর্যান্তের ভাক প্রবেশ করে ; তার সাক্ষী-আ-সমুদ্র = সমুদ্ৰ পৰ্য্যন্ত ; আ-জন্ম = জন্মাবধি। মূল-ভাগ যে স্থানটিতে সংলগ্ন থাকে, তাহারই নাম অবধি, আর, অন্ত-ভাগ যে স্থানটিতে সংলগ্ন থাকে তাহারই ऊाम °रीJख् । আজন্মকাল = জন্মাবধি কাল = যে কাল-প্রবাহের মূলাংশ জন্ম মুহূৰ্ত্তের সহিত সংলগ্ন । আমরণ কাল = মৃত্যু পৰ্য্যন্ত কাল = যে কাল-প্রবাহের অন্তভাগ মৃত্যুর সহিত সংলগ্ন । আসমুদ্র পৃথিবী = যে পৃথিবীর অন্তভাগ সমুদ্রের সহিত সংলগ্ন । আবহমান কাল-আজ পর্যন্ত বহমান কাল – যে কাল-প্রবাহের অন্তভাগ বৰ্ত্তমান মুহুর্তের সহিত সংলগ্ন । এই সকল দৃষ্টাস্তে পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে যে, সংলগ্ন হওনের ভােবই আ-উপসর্গের ও অর্থের সমগ্র শরীর, অবধি এবং পৰ্য্যন্তের ভাব তাহারই অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ । অতঃপর আউপসর্গের মুখ্য অর্থের (অর্থাৎ খাস অর্থের ) গোটাকত নমুনা দেখাইতেছি—প্ৰণিধান : कब्रों अटक 8 আলিঙ্গন = গাত্ৰে গাত্ৰ সংলগ্ন করিয়া কোলাকুলি । আশ্বারোহণ = ঘোড়ায় চড়া, অশ্বের পৃষ্ঠে সংলগ্ন হওয়া । দোষারোপ = দোষ স্কন্ধে চাপানো, দোষ সংলগ্ন করিয়া দেওয়া । চলিত ভাষায় এইরূপ দোষ সংলগ্ন করিয়া দেওয়ার নাম—লাগানো ; যেমন, অমুকের কাছে অমুকের নামে লাগানো। আমরা বলি “আজ্ঞাবহ ভূত্য” উমার বলি “আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিলাম।” তবেই হইতেছে যে, আদেশ একম্প্রকার বহন করিবার জিনিস-মাথায় ধারণ করিবার । জিনিস। আজ্ঞা বহন করা বা আদেশ বহন করা = আদিষ্ট কাৰ্য্যের ভার श्न्न कन्ने,