পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

r»ot ॐग:श्न धैर्थ विष्ज्ञ । "Svoy উপসর্গের দুই অর্থের ভেদাভেদ অতীব উজ্জ্বল-রূপে পরিস্ফুট হয়। অধিক শব্দে বুঝায়যাই চরম সীমা পৰ্যন্ত বিস্তৃত ; অত্যন্ত-শব্দে বুঝায়-যাহ অন্তকে অতিক্রম করেসীমাকে অতিক্রম করে--সীমা ছাড়াইয় উঠে । আমরা যখন বলি “অধিক ক্ৰোধ ভাল নয়” তখন তাহার অর্থ এই যে, যতটা ক্ৰোধ সম্ভবে তােহর চরম সীমা পৰ্যন্ত ক্ৰোধ ভাল নয়। পক্ষান্তরে যখন বলি, “আমাব অত্যন্ত ক্ৰোধ হইল”। তখন তাহার অর্থ এই যে, আমার एकांक्षित्र शांक औभl छफुांक्षेत्रा छेठिंग । উপসর্গের অর্থ বোঝাই করিয়া প্ৰবন্ধের জাহাজ-খানি নানা-প্ৰকার প্রতিকুল স্রোত, ঘুর্ণার পাক, এবং চোরা পাহাড়, বঁাচাইয়া কোনো মত প্ৰকাবে তো বন্দরে আনিয়া উপস্থিত করিলাম। এক্ষণে র্যাহারা আমার পণ্যদ্রব্য বাজারে যাচাই করিবেন, তঁহাদিগের সহিত একটি বিষয়ে আমি পুৰ্ব্বাহে বোঝা-পড়া করিয়া রাখা শ্ৰেয় বিবেচনা করি।-- সেইটী হইয়া চুকিলেই আমার আজিকের কাৰ্য শেষ হইযা যায়। কথাটী এই ঃ গণিতের প্রমাণ ছাড়া আর যত প্ৰকার বৈজ্ঞানিক প্ৰমাণ আছে সমস্তেরই বলবত্তা আপেক্ষিক মাত্র। বিজ্ঞান-মহলে প্ৰমাণের ঐকান্তিক বলবত্ত কেবল গণিতের যুক্তি প্ৰণালীতেই সন্তকে । গণিতকে গণনার মধ্য হইতে সরাইয়া রাখিয়া অসঙ্কোচে বলা যাইতে পারে যে, অভ্রান্ত সত্য সংস্থাপন করা বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য নহে ; তবে কি ? না। যাহাতে উত্তরোত্তর সত্য হইতে সত্যে অগ্রসর হওয়া যাইতে পারে তাহার পথ পরিষ্কার করাই বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য । এমন কি, নিউটনের আবিষ্কৃত মাধ্যাকর্ষণেব সিদ্ধান্তটীও একান্ত অভ্রান্ত বলিযা-নিখত অভ্রান্ত বলিয়া-গৃহীত হইতে পারে না। বলিতেছ মাধ্যাকর্ষণ -কিন্তু একটা কিছুর মধ্য দিয়া-দৃশ্য বা অদৃশ্য কোনো প্ৰকার রজ্জ্ব দিয়াআকর্ষণ না করিলে আকর্ষণ করা হইতেই পারে না । সেই মধ্যবৰ্ত্তী বস্তু এবং মূল আকর্ষক বস্তুর মধ্যেও আকর্ষণ রহিয়াছে ; সেই দ্বিতীয় আকর্ষণেব জন্য দ্বিতীয় মধ্যবৰ্ত্তী বস্তুর প্রয়োজন। দ্বিতীয় মধ্যবৰ্ত্তী বস্তু এবং মূল আকর্ষক বস্তুব মধ্যেও আকর্ষণ রহিয়াছে ; সেই তৃতীয় আকর্ষণের জন্য তৃতীয় মধ্যবৰ্ত্তী বস্তুর প্রয়োজন। এইরূপ প্ৰথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ প্ৰভৃতি অসংখ্য মধ্যবৰ্ত্তী বস্তুর প্রয়োজন। সর্ব প্রথম মধ্যবৰ্ত্তী বস্তু কে ?” সেই আদিম মধ্যবৰ্ত্তী বস্তু বিনা-রাজুতে অর্থাৎ অন্য কোনো মধ্যবৰ্ত্তী বস্তুব সাহায্য ব্যতিরেকে ‘কিকাপে মূল বস্তুর আকর্ষণে বাধা রহিবে ? মূল আকর্ষক বস্তু তবে কি শূন্তের মধ্য দিয়া আকর্ষণ করিতেছে ? তাহাঁই বা কিরূপে সন্তবে ? ঐকান্তিক শূন্য দুই বস্তুর মধ্যে অলঙ্ঘ্য ব্যবধান হইয়া দাড়াইক্সে উভয়ের মধ্যে ভৌতিক সম্বন্ধ সমূলে রহিত হইয়া যাইবারই কথা। অতএব মাধ্যাকর্ষণ-শব্দ কেবল বিজ্ঞানের গন্তব্য-পথ-নির্দেশক একটা ফ্লাঙ্কেতিক চিহ্ন মাত্র ; তা বই তাহ পরাকাষ্ঠী সত্যের পরিচায়ক নহে। সেই সাঙ্কেতিক চিহ্নে যৎকিঞ্চিৎ সত্যের আভাস যাহা পাওয়া যায়, সেই আভাস-সত্য প্ৰকৃত সত্যের পদাৰী অধিকার, করিয়া বুক ফুলাইয়া দাড়াইলে, অনভিজ্ঞ লোকেরা তাহাকে সৰ্ব্ব-জগতের মুলাধার বলিয়া