পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ ৷ ] • উপসর্গের অর্থ বিচার। SVG উপসর্গের অর্থ-বিচারের পরিবর্তে উপয়র্গের বৈয়াকরণিক भूलांश्नकांन शनेि अभिांब প্ৰবন্ধের ঘূণাক্ষরেও উদ্দেশ্য হইত, তবে ধা-ধাতু হইতে কিরূপে ধি-শব্দ, অধি-শব্দ এবং অধিক শব্দ তিনিই উৎপত্তি লাভ করিয়াছে, তাহা আমি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিতে চেষ্টা করিতাম। কিন্তু বর্তমান-স্থলে, সে কাৰ্য্যের ত্রুটির জন্য আমাকে দায়ী না করিয়া শাস্ত্রী মহাশয় নিজে তাহা সুনিৰ্বাহ করিলেই সমস্ত গােলোযোগ মিটুয়া যায়। তাহার নিজের মন্তব্য এবং কৰ্ত্তব্য কাৰ্য আমি করি নাই বলিয়া সেই অপরাধে—আমার কৰ্ত্তব্য কাৰ্য আমি যাহা করিয়াঢ়ি তাহা যদি সমস্তই ভঙুল হইয়া যায়-ধি, অধি এবং অধিক তিন শব্দের মৌলিক অর্থ সাদৃশ্য সম্বন্ধে এত যে যুক্তি এবং উদাহরণ প্ৰদৰ্শন করিয়াছি সমস্তই যদি এক মুহূৰ্ত্তে কঁাচিয়া যায়-তবে উপসর্গের অর্থ-বিচারে প্রবৃত্ত না হওয়াই আমার পক্ষে ভাল ছিল । O অধি-শব্দ যে পূর্বে এক সময়ে পৃথক শব্দাকারে ব্যবহৃত হইত, তাহা শাস্ত্রী মহাশয় অস্বীকার করেনও না-করিতে পারেনও না। ;-যেহেতু উপনিষদের এক স্থানে স্পষ্ট লিখিত রহিয়াছে “যদ্বিন্দিতাদথে অবিদিতাৎ অধি।” অধিক শব্দ আর কিছু না—কেবল অধি+ ক । অন্ত এবং অন্তক এ দুই শব্দের মধ্যে যেমন ঘনিষ্ট সম্বন্ধ-অধি এবং অধিক। এ-দুই শব্দের মধ্যেও অবিকল সেইরূপ হইবারই কথা। আমি যথেষ্ট উদাহরণ প্ৰদৰ্শনপূর্বক দেখাইয়াছি যে, অধি উপসর্গের অর্থ সীমাবসায়িতা ; আর সেই সঙ্গে দেখাইয়াছি যে, অধিকশব্দের অর্থ চরম সীমা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত ; ইহা দেখিয়া কোন চক্ষুষ্মান ব্যক্তি বলিতে পারেন যে, অধি-উপসর্গ এবং অধিক-শব্দ ফুয়ের মধ্যে কোনো প্ৰকার মৌলিক সম্বন্ধ নাই । বর্তমান প্ৰবন্ধের উদ্দেশ্য নিতান্তই ব্যাবহারিক practical । তাহা এই যে, বঙ্গভাষার ব্যবহারক্ষেত্রে সুবিবেচনাপূর্বক উপসৰ্গ-প্ৰয়োগের পথ যথাসাধ্য পরিষ্কার করা ; তা বই, যাহা বঙ্গভাষায় বেশী কাজে লাগে না। —অথবা যাহা যথাবৎ প্রয়োগ করিবার পক্ষে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা দৃষ্ট হয় না।--তাহার অর্থের দৌড় এবং উৎপত্তির বিবরণ লইয়া ব্যাপকতা করা বর্তমান প্ৰবন্ধের উদ্দেশ্য নহে। আমি যে সু, দুঃ, অতি প্ৰভৃতি কতকগুলি উপসৰ্গকে বিচারের দায় হইতে অব্যাহতি দিয়াছি তাহার কারণ এই যে, সেগুলির অর্থ সবিস্তাবুে ব্যাখ্যা করা একরূপ তোলা মাথায় তেল দেওয়া, অর্থাৎ তেল দেও উত্তম-না দেও কোনো ক্ষতি নাই। তবে কি ? না। আর আর গুরুতর কাৰ্য্যের পথ আটক করিয়া দাড়াইয়া তোলা মাথায় তেল দেওয়া সুপরামর্শ-সিদ্ধ নহে । পরা-উপসর্গ সম্বন্ধে, আমি আর একটু বিস্তার করিয়া বলিতে পারিতাম-বিস্তর করিয়া না বলা’র কারণ শুদ্ধ কেবল এই যে, পরা-উপসর্গের প্রয়োগ দেশীয় ভাষায় অতীব বিরল। পরাভব, পরাজয়, পরাক্রম, পরাহত, পরাত্মখ, পরামর্শ (আর, তা ছাড়া আর গোটা দুই শব্দ যদি থাকে ) এই এক মুষ্টি পর্যপূর্বক শব্দের জন্য পুথির পাতা বাড়াইবার বিশেষ কোনো প্ৰয়োজনীয়তা দেখা যায় না। পরা-উপসৰ্গ সম্বন্ধে আমি যাহা বলিয়াছি তাহার