পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN98 ur সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা { २१ न६था । 尊 उांक्षी মূল-শব্দ হইতে বিযুক্ত থাকে, তখন তাহার। আর একটা নাম দেওয়া হয়। তবেই হইতেছে যে, বৈয়াকরণিক নাম-ভেদে উপসর্গের অর্থ-ভেদ হয় না। উপসর্গের অর্থের বিচারই বর্তমান প্ৰবন্ধের একমাত্ৰ উদ্দেশ্য-তা বই তাহার নাম-ভেদ বৰ্ত্তমান প্ৰবন্ধে বাজে কথারই সামিল। অর্জন ও অর্জন-বৃহন্নলাও অর্জন । বিরাট-রাজার ন্যায়। একজন অনুভিজ্ঞ ব্যক্তি বৃহন্নলার ‘অৰ্জ্জুন’ নাম শুনিলে চমকিয়া উঠিতে পারেন, কিন্তু যুধিষ্ঠির বৃহন্নলাফে “অৰ্জ্জুন৷” বলিয়া সম্বোধন করিলে সেজন্য র্তাহাকে দোষ দিতে পারা যায় না। প্ৰকৃত কথা এই যে, “প্ৰতি” উপসর্গ উপসৰ্গই থাকুক, আর, তাহ ‘অব্যয়’ মূৰ্ত্তিতেই বিরাজ করুক— আমার নিকটে দুইই সমান ; কেননা আমি স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছি যে, উভয় স্থলেই তাহার মৌলিক অর্থ একই প্রকার। এমন কি, আমি মৌলিক অর্থের ঐক্য দেখিয়া অধি-উপসৰ্গ, ধি-শব্দ, এবং অধিক-শব্দ, তিনের মধ্যে বিশিষ্টরূপ ভ্ৰাতৃসম্বন্ধ আছে ইহা প্ৰথমে hypothisis স্বরূপে মানিয়া লইয়া, পরে যথোচিত প্ৰমাণ-প্ৰয়োগ-দ্বারা তাহার যাথার্থ প্ৰতিপাদন করিয়াছি। প্ৰথমে পরিধি এবং অবধি এই দুই শব্দের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিয়া দেখাইয়াছি যে, ঐ দুই শব্দে ধি-শব্দের অর্থ সীমা ছাড়া আর কিছুই হইতে পারে। না । তাহার পরে দেখাইয়াছি যে, অধিকার, অধিষ্ঠান প্ৰভৃতি শব্দে অধি-উপসর্গের অর্থ স্পষ্টই সীমাবসায়িতা । তাহার পরে, সীমা-ভাবের সহিত আধারা-আধেয় ভাবের কিরূপ নিকট-সম্পর্ক তাহ দেখাইয়াছি। তাহার পরে দেখাইয়াছি যে, সেই সম্পর্ক-সুত্ৰে ধি-শব্দ কোথাও বা আধার-অর্থে কোথাও বা আধেয়-অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমার প্রদর্শিত এইরূপ পুঙ্খানুপুঙ্খ যুক্তি গ্ৰাহো না আনিয়া-ঐ-সকল যুক্তি-প্ৰদৰ্শন আমি যেন দেয়ালকে করিয়াছি এইরূপ উচ্চভােব ধারণ করিয়া-তদুপলক্ষে শাস্ত্রী মহাশয় একটী কথা ইঙ্গিতিমাত্ৰ করিয়াই ক্ষান্ত হইলেন ; সে কথা এই যে, ধি-শব্দ ধা-ধাতু হইতে হইয়াছে। অথচ, ধি-শব্দ যে, ধা-ধাতু হইতে হয় নাই এরূপ কথা আমি কোনো স্থানেই বলি নাই। ধি-শব্দ যে-ধাতু হইতেই হউক না কেন—তাহার অর্থ কি তাহাই বিচাৰ্য্য। মূল ধাতুর প্রতি দৃষ্টি না করিয়াও ভাষার শব্দ-গাথনি দেখিলেই বুঝিতে পারা যায় যে, ব্ধি এবং ধা। একই।--বিধি এবং বিধান একই । বিধান কি ? না ইংরাজিতে যাহাকে বলে rule ৷ Rule টানা একপ্রকার সীমা নির্দেশ করা-লেখা যাহাতে পংক্তির বাহিরে না যায়। সেই উপলক্ষে সীমা নির্দেশ করা । কালিদাস বলিয়াছেন যে, “রেখামাত্ৰমপি ক্ষুন্নাৎ আমনোৰ্বত্মনঃ পরং ন ব্যতীযুৎ প্ৰজা স্তস্য নিয়ন্তুর্নোমিবৃত্তয়াঃ । এখানে কালিদাস মনুর বিধানকে প্রজাবর্গের আচার ব্যবহারের সীমা-নির্দেশক পথ রূপে প্ৰতিপন্ন করিয়াছেন। অতএব অভিধানে ধা-ধাতুর অর্থ যাহাঁই থাকুক না কেনফলে দাঁড়াইতেছে যে, তাহার মৌলিক অর্থ সীমা-নিৰ্দেশ। ব্ধি এবং ধা’র যখন একই রূপ অর্থ তখন আমি ধা’ও বলিতে পারি।-ধি’ও বলিতে পারি। বলিয়াছি-ধি ।