পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন। ১৩০৫ । ] রঘুনাথের অশ্বমেধ-পঞ্চালিকা । ১৪৩ সৰ্ব্ব প্ৰজনাথ গোসাঞী বলে মহাবল । তুমি সম কেহো নহে পৃথিবী ভিতয় ৷ * সৰ্ব্বগুণে তুমাক প্ৰশংসে সৰ্ব্বলোক । এক বোল শুনি আজি পাইনু বড় শোক ৷ এক সে রাজক নারী কলহ করি এsা । বাপের ঘরতে গেল স্বামীক এঢ়িয়া ৷ চারি দিন ছিল বাপের ঘরে গিঞা । S BuuBB BD DBK DD DBDDDDDDTg আর দিন তার বাপ সংহতি করিঞা। বন্ধু সঙ্গে তার ঘরে কন্যা দিল নিঞা ৷ তবে তাগ দেখিঞা রুষিল তার পতি । চারি দিন নাহি তুঞি আমুর সংহতি ৷ নারী হৈঞা পর ঘরে থাকে এক রাতি । পুরুষে কি করিতে পারে তাহার শকতি ৷ তুমাক বৰ্জিল আমি যােহ লাপ স্থানে। রাম রাজা হেন আমি না চিন্তিহ মনে ৷” স্থানান্তরে - “নয়ন অগোচর যদি হইল লক্ষ্মণ । মূৰ্ছিত হৈঞা সীতা পড়িল তখন ৷ বনে পুশু পক্ষী সব টাকে অতুলিত। সে সব শুনিয়া সীতা পাইলে সন্বিত ৷ চেতন পাইয়া সীতা কান্দে উচ্চস্বরে। হরিণী কাতরা যেন ফুটি বিদ্ধশরে। সীতার ক্ৰন্দন শুনি বনে পশুগণ। ছাড়িয়া আহার পানী চাহে ঘন ঘন ৷ “মহাশোকে কান্দে দেবী ছাড়ি দীর্ঘ নাদে । সঙ্গ ভঙ্গ মৃগ যেন সঙ্গ নাহি বান্ধে ৷ চমকিত নয়ন দেখি চাহে স্থানে স্থান । বন পশু পক্ষী দেখি ভয়ে কম্পমান ৷ কুশের কণ্টক তার ফুটিল চরণে। আকুল হইঞা সব দেখে দেবগণে ৷ ক্ষণে হাটে ক্ষণে কান্দে বনে একাকিনী । যোড় হারাইঞা যেন কাতর হরিণী ৷ স্থানান্তরে - “রথে আরোহণ করি সুমিত্ৰা কুমার। রহ রহ করি দিল ধনুর টঙ্কার ॥ অকালে জলদ যেন করিল গর্জন । ধনুর টঙ্কার ভয় পাইল ত্ৰিভুবন ॥ ক্রুদ্ধ হৈঞা আইল বীর রণ করিবার। হাসএ কুমার লব ভয় নাহি তার ॥ একবারে যোড়ে বীর একাদশ বাণে। চারি বাণে চারি ঘোড়া কাটিল তামনে ৷ আর বাণে কাটিল হাতের ধনুৰ্ব্বাণ । চারি বাণে রথের চাক কৈল খান খান ৷” স্থানান্তরে “যে জন দুর্বল হয়, সেহি চাহে পরিচয়, বলবন্ত করএ সংগ্ৰাম । বীর পথ এঢ় যাবে, পরিচয় করি। তবে, তত্ত্ব কথা শুন কহি রাম ৷ আমি দুই কুশ লব, , সীতার উদর সম্ভব, মুনিগণ জন মেলি বসি । ধনুর্বিদ্যা বেদ মন্ত্র, জানিল সকল তন্ত্র, গুরু মোর বাৰ্গীক মইাঋষি ৷ রামায়ণ বেদ পাঠ, যে মুনির চিন তাক, আমা দুই ভাইরে পঢ়াইল । * সেই মহাপুণ্য অতি, মহামুনি সন্নিহিতি, আমি দুই সতত পাইল ৷” উদ্ধত অংশের কেবল বৰ্ণাশুদ্ধি সংশোধন করিয়া দিয়াছি। গ্রন্থের কোন কোন পত্রের