পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

388 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ২য় সংখ্যা । স্থানে স্থানে অক্ষর উঠিয়া গিয়াছে, তজন্য পড়িতে পারা যায় না। গ্রন্থের কোন কো স্থানের অর্থবোধ হয় না। রচনা স্থানে স্থানে মনোহর । শ্ৰী রজনীকান্ত চক্ৰবৰ্ত্তী ।

  • গৌড়াধিপ। মদনপালের তামেশাসন ।

পালবংশীয় রাজগণের প্রদত্ত এপৰ্য্যন্ত ৫ খানি মাত্ৰ তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে। সেই কয়খানির উপর নির্ভর করিয়া রাজা রাজেন্দ্রলাল, প্রত্নতত্ত্ববিদ কানিংহাম ও কিলহোর্ণ প্রভৃতি পণ্ডিতগণ পালবংশীয়গণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস-সংগ্রহের চেষ্ট্র করিয়াছেন । বলিতে কি অনির্দিষ্ট-কালজ্ঞাপক সেই কয়খনি তাম্রশাসন হইতে র্তাহারা কেহই "আশানুরূপ ইতিহাস সংগ্রহে সুবিধা করিতে পারেন নাই। তবে এইমাত্র বলিতে হইবে যে পূর্বে পালরাজগণের বংশাবলী সম্বন্ধে যে সকল অমূলক প্ৰবাদ প্রচলিত ছিল, তাহ ভঞ্জন করিতে ঐ সকল সাময়িক লিপি অনেকটা সাহায্য করিয়াছে, কিন্তু পালরাজগণের প্রকৃত ইতিহাসের সুশৃঙ্খলা স্থাপনে সমর্থ হয় নাই। আজি আনন্দের সহিত যে তাম্রশাসন খানির পরিচয় দিতেছি, তিমিরাবৃত পালরাজগণের ইতিহাসে এই নবাবিষ্কৃত তাম্রশাসনখানি অনেকটা সত্যালোক প্ৰকাশ করিতে সমর্থ হইয়াছে। তাই আজ আমরা এই অত্যাবশ্যক তাম্রশাসনখানির সমস্ত পাঠোদ্ধার করিয়া-ইতিহাসপ্রিয় সুহৃদ্বর্গের নিকট উপস্থিত করিতেছি। বেশী দিনের কথা নয়, দিনাজপুরের ম্যাজিষ্ট্ৰেীট শ্ৰীযুক্ত নন্দকৃষ্ণ বসু মহাশয় দিনাজপুর হইতে দুইখানি খোদিত তাম্রফলক সংগ্ৰহ করিয়া সাহিত্য-পরিষৎ কাৰ্য্যালয়ে অৰ্পণ করিয়াছেন । এতন্মধ্যে একখানি মহীপালদেবের প্রদত্ত ও অপর খানি আমাদের আলোচ্য মদনপালদেবের তাম্রশাসন । মহীপালের তাম্রশাসন ছাড়িয়া এখন কেবল আমরা মদনপালদেকের তাম্রশাসন সম্বন্ধেই আলোচনা করিব । কিরূপে এই তাম্রশাসন খানি সাহিত্যানুরাগী বসু মহাশয়ের হস্তগত হইল, এখনও তাহার সকল সংবাদ পাওয়া যায় নাই। তিনি শীঘ্রই লিখিয়া পাঠাইবেন, এরূপ আশ্বাস দিয়াছেন । তখন সকলে জানিতে পরিবেন। যতদূর দেখিলাম, এই তাম্রশাসন খানির বিষয় অধিকাংশই সম্পূর্ণ নূতন ও বিশেষ প্রয়োজনীয়। এখানির পরিচয় এ পৰ্যন্ত আর কোথাও লিপিবদ্ধ হয় নাই ; এই প্ৰথম প্ৰকাশিত छछेठल ।