পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVeo সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [ ৩য় সংখ্যা। ভগবদবত্বার বলিয়া জ্ঞান श्न ; डिनि भशयडूब. 4कञ्जन “डङ" হইলেন। মাধবী दंढ्• যে, গৌরাঙ্গ মূৰ্ত্তি দেখিলেই কৃষ্ণপ্রেমের উদয় হয়। যথা তৎকৃত পদ্যে,- “যে দেখয়ে গোরামুখ সেই প্রেমে ভাসে।” গৌরাঙ্গকে একবার মাত্ৰ দেখিয়াই মাধবী ও মুরারি তঁাহাকে ঈশ্বরাবতার বলিয়া স্বীকার করেন, কিন্তু জ্যেষ্ঠ শিখি মাহিতির তদ্রুপ ভাব হয় নুই। শেষে কোন বিশেষ ঘটনায় তিনিও ভাইদের অনুগমন করেন। সে সকল কথা এস্থলে উল্লেখ করা অনাবশ্যক । প্ৰাচীন কালাবধি নীলাচলে একটী প্ৰথা প্ৰচলিত আছে । জগন্নাথদেবের শ্ৰীমন্দিরে একজন “লিখনাধিকারী” থাকেন অর্থাৎ একজন লেখক-কৰ্ম্মচারী শ্ৰীমন্দিরের দৈনন্দিন বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া রাখেন। মাধবীর হস্তাক্ষর অতি সুন্দর ছিল, তাহার স্বল্পাক্ষরগ্রথিত রচনক্ষমতা, পাণ্ডিত্য ও বুদ্ধিগৌরবে মোহিত হইয়া রাজা প্ৰতাপরুদ্র, স্ত্রীলোক হইলেও, মাধবীকে ঐ সম্মানিত পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। চৈতন্যচরিতামৃতে এই জন্যই মাধবী “প্ৰভু লেখা করে” বলিয়া লিখিত আছে। যথা চৈতন্যচরিতামৃতে অস্ত্যখণ্ডে -- “শিখি মাহিতির ভগ্নী শ্ৰীমাধবীদেবী । বৃদ্ধ তপস্বিনী তেহেঁ পরম বৈষ্ণবী ৷ প্ৰভু লেখা করে, যেই রাধিকার গণ । জগতের মধ্যে পাত্ৰ সাড়ে তিন জন ৷ স্বরূপ দামোদর, আর রামানন্দ । শিখি মাহিতি, তার ভগিনী অৰ্দ্ধ ৷” মহাপ্ৰভু জীবগণকে যে কৃষ্ণপ্ৰেম বিতরণ করেন, মোটে সাড়ে তিন জন ব্যক্তিই তাহা সম্যক হৃদয়ঙ্গম ও উপভোগ করিতে সক্ষম হন । সেই সাড়ে তিনজন-স্বরূপ দামোদর, রায়রামানন্দ, শিখিমাহিতি এবং মাধবীদেবী । স্ত্রীলোক বলিয়াই তঁাহাকে “অৰ্দ্ধপাত্ৰা” বলা হইয়াছে। ইহাতেই বুঝুন-মাধবীর ভক্তিপ্রভাব, ইহাতেই অনুভব করুন-মাধবীর জ্ঞান কত গভীর ; তঁহার শক্তি কত দূরপ্রসারিণী। তঁহার বৈষ্ণবতা ও কৃষ্ণভক্তি সম্বন্ধে আর অধিক বলিবার প্রয়োজন নাট, চরিতামৃত গ্রন্থে একটিমাত্ৰ ছত্ৰে, তাহার যে গুণ ও ভক্তিগৌরব প্ৰকাশিত হইয়াছে, তাহাই যথেষ্ট । নীলাচলবাসী ভক্তগণের নামগণনায় কৃষ্ণদাস दक्षिक,- “মাধবীদেবী শিপি সাহিতিয়া ভগিনী । শ্ৰীয়াধার দাসী মধ্যে যার নাম গণি ৷” সে যাহাহো’ক, এখন মাধবীর কবিত্বের কিঞ্চিৎ পরিচয় আমরা দিব । বলরাম দাস, গোবিন্দ ও বাসুঘোষ প্ৰভৃতি খাস বাঙ্গালার অধিবাসী । এই উড়িয়া রমণীর বিরচিত পদাদি কোনও অংশে তাঁহাদের রচনা হইতে নিকৃষ্ট নহে। ভাব, ভাষা, লিখনভঙ্গী তদ্রুপই সুন্দর ও মনোরম ; কিন্তু মাধৰীয় রচনায় সর্বত্র যে সারল্য ও মধুরতা দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা অতীব দুর্লভ। যদিও তঁাহার রচনায় “ভেল”, “ড়ালি”, “উষ্ণালি”, “বিলসই”, “কঁপই’, “কহই’, প্রভৃতি শব্দের অভাব নাই, তথাপি বলিতে পারা যায়, অন্যান্য কবির ন্যায়, মাধবীর রচনাতে তৎকালপ্রচলিত গ্ৰাম্য শব্দ অল্পই দৃষ্ট হয়। এস্থলে আমরা অধিক বাক্যব্যয়