পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম ভাগ । ] ৩য় সংখ্যা । সাহিত্য-পরিষৎ-পত্ৰিক । স্বীকবি মাধবী। এ পর্যন্ত প্ৰাচীন বঙ্গসাহিত্যে আমরা একজনমাত্র স্ত্রী-কবিয় কবিতাকুসুমের সৌরভসুষমা সন্ধান প্ৰাপ্ত হইয়াছি, তিনিই মাধবীদেবী । কবিতাকুসুমের পরিমল বিস্তার মাত্র ইহার গৌরব নহে, মাধবীর গুণগরিমা পুরুষসমাজেও দুর্লভ ছিল। মাধবী নীলাচল নিবাসিনী। শিখি মাহিতির ছোট ভাই মুরারি মাহিতি; মাধবী মুরারির ছোট ছিলেন। বৈষ্ণৰগ্ৰন্থে ইহাদিগকে “তিনত্ৰাতা” বলা হইয়াছে; মাধবীকেও ভ্রাতা বলার উদ্দেশ্য এই যে, তিনি পুরুষের পৃষ্ঠায় পণ্ডিত ছিলেন ও পুরুষের ন্যায় “জপতপ” কয়িতেন । শ্ৰীচৈতন্য মহাপ্ৰভু नौगृहूग উপস্থিত হইলে, জগন্নাথ মন্দিয়ে প্ৰসিদ্ধ বাসুদেব সার্বভৌম তঁহাকে প্রাপ্ত হন। চিন্তামণির গ্ৰন্থকার রঘুনাথ শিরোমণি প্রভৃতির গুরু (শিক্ষাদাতা) কঠোর নৈয়ায়িক সাৰ্ব্বভৌম, মুখে ঈশ্বর মানিলেও প্রকৃত প্ৰস্তাৰে নাস্তিক ছিলেন। জ্ঞানগৌরৰে সাৰ্বভৌমের স্তায় তখন দ্বিতীয় ব্যক্তি কেহ ছিল না ; নীলাচলে এই সাৰ্ব্বভৌম একজন কৃষ্ণভক্ত বৈষ্ণব হইলেন। কেবল তাহাই নহে, নদীয়ার স্ত্রীচৈতন্যদেৰক্লে তিনি ঈশ্বরাবতার বলিয়া স্বীকার করিলেন। ইহাতে নীলাচলের রাজা প্রতাপরুদ্র হইতে সামান্ত স্ত্রীলোক পৰ্যন্ত, শ্ৰীমহাপ্রভুকে দেখিবার জন্য ব্যস্ত হইল। কিন্তু চৈতন্যদেব সাৰ্ব্বতোমের মত পরিবর্তন করিয়াই, দক্ষিণদেশ পৰ্যটনে গমন করিয়াছিলেন বলিয়া, নীলাচলবাসির আশা শীঘ্ৰ পূৰ্ণ হয় নাই। পূর্ণ দুই ཐའ་ཤསྣ་ কাল, দক্ষিণদেশের নানাস্থানে ভ্রমণােস্তর গমহাপ্ৰভু নীলাচলে প্ৰত্যাগত হইলে, বাসুদেব সার্বভৌম একে একে নীলাচলবাসী প্ৰধান ব্যক্তিদিগকে তৎসহ মিলাইয়া দেন। মহাপ্ৰভু স্ত্রীদর্শন করিতেন না, মাধবীকে নীলাচলের সকলেই যদিও জানিত, তথাপি স্ত্রী বলিয়া তিনি মহাপ্রভুর সম্মুখে যাইতে পারেন নাই। তবে মাধৰী অন্তরালে থাকিয়া শ্ৰীচৈতন্যদেবকে দর্শক করেন । এই দর্শনমাত্রই শ্ৰীমহাপ্ৰভুকে মাধবীর