পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ज्न् ॥ ७० & ! } বাঙ্গালার আদি রসায়নগ্রন্থ। SR d their own tongue is the great instrument by which we hope to enlighten them.” গ্রন্থকার এক জায়গায় স্পষ্ট বলিয়াছেন, তিনি বাঙ্গালা ভাষায় শিক্ষা দিতেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় স্থির করিয়াছেন, বাঙ্গালা ভাষায় বিজ্ঞানশিক্ষা--এমন কি-কোন শিক্ষাই চলিতে পারে না । বাঙ্গালা দেশে জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান প্ৰচাৰুের জন্য যিনি সৰ্ব্ব প্রধান উদ্যোগী বলিয়া প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৱেত সদস্যবৃন্দের অধিবেশনে সভাপতিরু আসন হইতে সেদিন বলিয়াছেন, বাঙ্গালী ভাষা আমাদের মাতৃস্তম্ভের স্থানীয় ; কিন্তু জননী বহুদিন হইতে রুগ্না ; তঁাহার স্বল্প এখন বিষবৎ পরিহার্য্য। রুগ্নার অন্তর্গচকিৎসা আবশ্যক, কিংবা রুগ্নাকে একবারে যমমন্দিরের পথ প্ৰদৰ্শন চিকিৎসকের কৰ্ত্তব্য, তাহা চিকিৎসকশ্রেষ্ঠ সভাপতি মহোদয় স্থির করিয়া বলেন নাই। O এই গ্ৰন্থখানির অধ্যয়নে প্রচুর আমোদ পাওয়া যায়। চৌষট্টি বৎসর পুর্বে বিজ্ঞানের বাল্যকাল ছিলু । বিজ্ঞানের শৈশবাবস্থার একটী ক্ষুদ্র চিত্র বাঙ্গালী ভাষার সাহায্যে অঙ্কিত দেখিতে পাই ।” তখন যাহা অজ্ঞাত ছিল, তাহা এখন জ্ঞাত ; তখন যাহা অস্পষ্ট ছিল, এখন তাহা স্পষ্ট। তাপ তখনও দ্রব পদার্থ মধ্যে গণ্য হইত ; আলোক দ্রুতগামী ক্ষুদ্র কণিকার বর্ষণ হইতে" উৎপন্ন, এ বিশ্বাস এখনও সম্পূর্ণ যায নাই ; তাড়িতের অধিকাংশ ধৰ্ম্মই অজ্ঞাত ছিল। তাড়িতের সহিত রাসায়নিক আকর্ষণের কি একটা রহস্যময় সম্বন্ধ আছে, ইহা ক্রমেই প্ৰকাশ পাইতেছিল। রসায়নশাস্ত্রের দ্বৈতবাদ তখন আসনে প্রতিষ্ঠিত হইয়া আছে, ডােণ্টনের পরমাণুবাদ আঁধারে আলোক আনিতে গিয়া আঁধারকে আরও ঘনাইয়া তুলিতেছিল। অধিকাংশই মূল পদার্থের পারমাণবিক গুরুত্ব তখনও নির্ণীত হয় নাই। নাইত্রজেনের এক পরমাণুর সহিত অক্সিজেনের পাচ পরমাণু যোগে নাইট্ৰক এসিড জন্মে। ২৫এইরূপ বিবিধ তত্ত্ব তখন রসায়নজ্ঞে কর্তৃক প্রচারিত হইতেছিল। এখন সে সমস্ত মত উল্টাইয়া গিয়া" । রসায়নশাস্ত্ৰ নানা রহস্যের উদঘাটন করিয়া, নানা তথ্যের আবিষ্কার করিয়া এখন মহাবিজ্ঞানে পরিণত হইয়াছে। কিন্তু হায়, বাঙ্গালা ভাষায়*বৈজ্ঞানিক সাহিত্য এখনও অপূর্ণ ও জীর্ণ। বৰ্ত্তমান গ্রন্থে বাঙ্গালায় রসায়ন শাস্ত্রের যে অবস্থা দেখিতে পাই, অহা অপেক্ষা বড় অধিক উন্নতির চিহ্ন অদ্যাপি দেখিতে পাই না । গ্রন্থের ভাষা সত্তর বৎসরের পূর্বতন বাঙ্গালা ; গ্রন্থের_বিষয় বিজ্ঞান ; গ্ৰন্থকার ইংরাজ । সুতরাং গ্রন্থের ভাষায় যে বৈশিষ্ট্য আছে, তাহাই প্রচুর আমোদের সঞ্চায় করে। বাঙ্গালা ভাষা আজকাল সমৃদ্ধি ও পূর্ণতা লাভ করিয়াছে ; কিন্তু তথাপি বিজ্ঞানের তাৎপৰ্য্য প্রচারে সাহসী হয় না । এখনও বৈজ্ঞানিক বাঙ্গালা ভাষা সাধারণের বোধগম্য হয় না। যাহারা বাঙ্গালায় বৈজ্ঞানিক গ্ৰন্থ লিখিতে চেষ্টা করেন, তঁাহারাই এ বিষয়ে বাঙ্গশালা ভাষার দৈন্য, বুঝিতে পারেন। এখনও এই অবস্থা —সত্তর বৎসর পূর্বে একজন বৈদেশিক কিরূপে সাহস অবলম্বন করিয়া, এই দীন হীন ভাষায় বৈজ্ঞানিক তথ্য লিপিবদ্ধ করিতে সাহসী হইয়াছিলেন, তাহা চিন্তনীয় বিষয়। তাহাতে শিখিবার কথা আছে। বৈদেশিকের যে