পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৩** ! ] উপসর্গের অর্থবিচার নামক প্রবন্ধের সমালোচনা। - ১৯৫৩ : -- প্রণালী বলে। আর র্যাহারা জানেন না, তাহারা এই বলিলেই বুঝিবেন যে, প্রশ্নমটী সাধারণতঃ অনুমানপ্রণালী, যেমন-পৰ্ব্বত ব্যক্তিমান, কারণ উহাতে ধূম আছে ও দ্বিতীয়ুটী ব্যাপ্তিনিশ্চয়প্ৰণালী, যেমন-গোষ্ঠ, চত্বর, মহানস প্রভৃতিতে বহ্নি ও ধূমের একত্রাবস্থান দর্শন করিয়া যে যে স্থানে ধূম আছে, সেই সেই স্থানেই বঢ়ি আছে, এইরূপ সিদ্ধান্তনির্ণয়। নিজে এই প্ৰণালী অনুসরণ করিয়াছেন, এই কথা বলায় তুহার পূর্ববৰ্ত্ত আচাৰ্যেরা ঐ প্রণালী অনুসরণ করেন নাই, এইরূপ অনুমান একপ্রকার স্বাভাবিক। স্বাভাবিক, হাইলেও উহ নিঃসন্দেহ না হইতে পারে ; কিন্তু প্ৰবন্ধকার স্বয়ংই ঐ সন্দেহের ভঞ্জন, করিয়াছেন। আমি র্তাহার দ্বিতীয় প্ৰবন্ধ পাঠের দিবস ঐ প্রবন্ধ উপলক্ষ করিয়া পরিষদের অধিবেশনে প্রশ্ন কয়েকটী কথা বলিয়াছিলাম, তাহার প্রতিই লক্ষ্য করিয়া তিনি বলিয়াছিলেন (২য় প্রবন্ধের শেষাংশ দেখুন—পরিষৎ-পত্রিকা ৫ম ভাগ ২য় সংখ্যা ১৩৭ পৃঃ ) যে, এদেশীয় পণ্ডিতেরা আগে একটী সিদ্ধান্ত করেন, পরে সিদ্ধাস্তিত বিষয়ের উদাহরণগুলিকে যেরূপে হউক সিদ্ধান্তের অনুগত করিতে চেষ্টা করেন ; অর্থাৎ প্রথুমে • পৰ্য্যবেক্ষণ, পরীক্ষা, বিচার প্রভৃতি না” করিয়া একটা সিদ্ধান্ত অর্থাৎ Theory করিয়া বসেন। পরে Facts অর্থাৎ “বৃত্তান্ত” গুলিকে ( এইটী তাহার নিজের উদ্ভাবিত শব্দ) গড়িয়া পিটিয়া তাহার সহিত মিশাইয়া দিতে চেষ্টা করেন । এই প্ৰণালীকে তিনি Scholastic প্ৰণালী নামে অভিহিত করিয়াছেন ও ঐ প্ৰণালী যে “কঠোর সত্যের অগ্নিপরীক্ষায় জর্জরিত হইয়া ভস্মরাশিতে পরিণত হইয়াছে।” তাহাও বলিয়াছেন । সুতরাং যদি তাহার কথা সত্য হয়, অর্থাৎ যদি এ দেশীয় পণ্ডিতেরা উপসর্গের অর্থ নিষ্কাশন বিস্ময়ে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া থাকেন, তাহা হইলে বলিতে হইবে, তঁাহারা কেবল ভস্মে ঘূত প্ৰক্ষেপ করিয়াছেন ও তাঁহাদের কৃত সিদ্ধান্তগুলি অপসিদ্ধান্ত বলিয়া সকল প্ৰামাণিক ব্যক্তিকেই পরিত্যাগ করিতে হইবে । আমি তঁহার দ্বিতীয় প্ৰবন্ধের সমালোচনাকালে শাকটায়ন, গাৰ্গ, যাস্ক প্রভৃতি কয়েকটী প্রাচীনতম শব্দাচার্যের মতের উল্লেখ করিয়াছিলাম, সেই নিমিত্তই বোধ হয়, তিনি ঐ সমালোচনার উত্তরে ‘বার মুনির বার Theory র কোন একটীকে বেদবাক্য বলিয়া গ্ৰহণ করার অপরাধে আমাকে আপুরোধী করিয়াছেন।” ইহাতে স্পষ্টই বোধ হইতেছে যে, কেবল এখনকার সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতেরা নহে, প্ৰাচীন শাব্দিকেরাও র্তাহার মতে বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীতে শব্দশাস্ত্রের আলোচনা করেন নাই ; সুতরাং তঁহাদের সিদ্ধান্ত সকল অপসিদ্ধান্ত ও প্রামাণিক ব্যক্তি মাত্রেরই হেয়। এক্ষণে দেখা যাউক, ‘তীৰ্ত্তাহার নিজের বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর মূল কত দূর দৃঢ় ও ভারসহ। পাঠকগণ র্তাহার প্রথম প্রবন্ধের প্রতি দৃষ্টি করিবেন ;- “ לא * ঐ প্রবন্ধের প্রথমেই বিদ্যালয়ের পণ্ডিত মহাশয়দিগের উপর কটাক্ষ আছে। তঁহারু কোন উপসর্গ বিশেষের অর্থ জিজ্ঞাসিত হইলে, সোপসৰ্গ কোন একটী শব্দ দ্বারা ঐ উপসর্গের অর্থ বুঝাইতে চেষ্টা করেন। অর্থাৎ মনে করুন, ছাত্র জিজ্ঞাসা করিল “প্র” এই উপসর্গের অর্থ কি ? তাহারা বলিলেন, “প্ৰকৃষ্টরূপে”, ছাত্র জিজ্ঞাসা করিল ‘বি’ এই উপসর্গের অর্থ কি ?