পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So আলোচ্য বিষয় । ১ । গত অধিবেশনের কাৰ্য্য-বিবরণ পাঠ । - ২ । ( সভ্যনিৰ্বাচন । ৩। শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের বিশিষ্ট-সভ্য নিয়োগ প্ৰস্তাবের ফল । ৪ । প্ৰবন্ধ পাঠ-(ক) শ্ৰীধুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়-জীবনচরিত রচনার প্রণালী । (খ) শ্ৰীযুক্ত রসিক চন্দ্ৰ বসু-সঞ্জয়কৃত মহাভারত। ৫ । বিবিধ বিযয় । ১ । গত অধিবেশনের কার্য্য-বিবরণ পঠিত ও অনুমোদিত হইল । ২ । শ্ৰীযুক্ত ব্যোমকেশ মুস্তফি মহাশয়ের প্রস্তাবে ও শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয়ের সমর্থনে এবং সর্বসম্মতিক্রমে শ্ৰীযুক্ত আশুতোষ সাহা মহাশদ নূতন সভ্যনিৰ্ব্বাচিত হইলেন। ৩ । সম্পাদক সভার গোচর করিলেন যে, শ্ৰীযুক্ত রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় যথারীতি পরিষদের বিশিষ্ট-সভ্য নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন । ৪ । অতঃপর শ্ৰীযুক্ত চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় “জীবনচরিত রচনার প্রণালী” বিষয়ক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন । পাঠান্তে-শ্ৰীযুক্ত চন্দ্রনাথ বসু মহাশয় বলিলেন। যুরোপে যাহাকে জীবনচরিত বলে সেরূপ গ্ৰন্থ এদেশে বড় কম । আমাদেব দেশে আবহমানকাল জীবনচবিত আছে । কিন্তু য়ুরোপীয প্ৰণালীর নহে। নাই বলিয়া সে সংস্কার আছে, সেটা ভুল। যুরোপীস ও এতদেশীয় জীবনচরিতের আকারগত বিভিন্নতা আছে । জীবনচরিত্যের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝিলে আকারগত বিভিন্নতায় বড় আসে যায না । যুরোপীয্য জীবনচরিতে ঐ রূপ ঘটনার উল্লেখ দেখা যায় । বাঙ্গালা সাহিত্যেও ঐ প্রণালী সম্প্রতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছে । যেন যুরোপীয় প্রণালীর দোষ না আসে, সে বিষযে আমাদিগকে সতর্ক হওয়া উচিত। ব্যক্তি বিশেষের জীবনী জানিয়া কোন ফল নাই । আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। ভগবানকে জানা । মানুষকে জানা নহে। রামায়ণ যখন পাঠ করি, তখন মনে হয়, যে ঈশ্বরের দিকে অগ্রসব হইতেছি । জীবনচরিত পাঠে কি সেরূপ হয় ? যে জীবনচরিতে নায়কের জীবনগত সামান্য সামান্য ঘটনার উল্লেখ থাকে, তাহ পাঠে কেবল যে রুচি বিকৃত হয়, তাহা নহে, সমাজেরও অনিষ্ট আছে। চণ্ডীবাবু প্ৰধান প্ৰধান ঘটনারই সমাবেশ করিয়াছেন। দুই একটা ক্ষুদ্র কথাও আছে, তাহা না থাকিলেই ভাল হইত। কিন্তু ইহা মাৰ্জনীয় । অপ্রয়োজনীয় ঘটনা ( anecdote ) বাঙ্গালা জীবনচরিতে স্বতন্ত্র অধ্যায়ে সন্নিবিষ্ট করিলেই ভাল হয়। ব্যক্তি বিশেষকে অধ্যয়ন করা নিস্ফল । তবে যাহার অধ্যয়নে জীবনের উন্নতি, ধৰ্ম্মের উন্নতি, তাহাঁই অধ্যয়ন করা উচিত। যুরোপে যার তার জীবনী লেখা হয়, তাহা দ্বায়া সমাজের অনিষ্টই সাধিত হয়। যাহারা সময়ের পরীক্ষা উত্তীর্ণ হইয়াছেন, তঁহাদেরই জীবনচরিত লেখা"উচিত । পুরাণে ঐ প্রণালীর জীবনচরিত লিখিত দেখি, ক্ষুদ্র ব্যক্তির নহে-দুষ্টান্ত