পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YMe ধ্রুব, প্ৰহলাদ ও বিশ্বামিত্র। জীবনী লেখা বড় কঠিন কাৰ্য্য। চণ্ডীবাবু যেরূপ একাগ্ৰতা ও পরিশ্রম প্ৰয়োগ করিয়াছেন, সেইরূপ করিয়া জীবনী রচনা করা উচিত । ৰুক্ত চণ্ডী বাবুকে আন্তরিক ধন্যবাদ দিলেন । শ্ৰীযুক্ত বিহারীলাল সরকার মহাশয় বলিলেন, জীবনচরিত না বলিয়া চরিত বলিলেই যথেষ্ট হয়। যথা-উত্তররামচরিত, দশকুমারচরিত, জীবনচরিত শব্দটা অভিধানে পাওয়া যায় না। কি রূপ ধরণে জীবনচরিত রচিত হওয়া উচিত চিন্তীবাবু প্ৰবন্ধে সে বিষয় ততটা বলেন নাই। কে রচনার অধিকারী তাঁহাই বিবৃত করিয়াছেন। রচিত নায়কের সময়ের সামাজিক রীতি নীতি শিক্ষা প্ৰণালী ১ প্ৰভৃতি দেখান আবশ্যক। জীবনচরিতে -নায়কের কার্য্যাকাৰ্য দোষগুণ সকলই দেখান উচিত। দোষগুণ সমালোচনা করা চঞ্জবাবুর মতে চরিত্যাখ্যাযকের উচিত নহে। উহা সমালোচকের কাৰ্য্য । ৰত্নার মতে এটা ঠিক নহে। সমালোচনাও চরিত্যাখ্যায়কের কার্য হওয়া উচিত। মহাপুরুষযদিগের প্রত্যেক কাৰ্য্যে অতি সীমান্য কাৰ্য্যে ও তাহদের মহত্ত্বের পরিচািল পাওয়া যায়। অতএব’কিছুই दल দেওয়া উচিত নহে। বক্তা বিদ্যাসাগরের জীবনী হইতে ২৩টা দৃষ্টান্ত দিলেন। রাসাষণে রামচরিত্ৰেৰ ও ঐরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনা লিখিত আছে। শ্ৰীযুক্ত মনোমোহন বসু মহাশয় চণ্ডীবাবুকে ধন্যবাদ দিবাব প্ৰস্তাবোৰ পোষকতা করিলেন । জীবনচরিত পাঠে দেখা যায় যে, চরিত্যাখ্যায়ক আখ্যায়িকা লেখক ও বটেন এবং সমালোচক ও বটেন। বাদক। যেমন--সঙ্গীতের সঙ্গে রঙ্গ বাজনা যোগ করেন। চরিত|- খ্যায়কুের ও সেইরূপ কিবা উচিত। বক্তা বিহারীবাবুর মতের পোষকতা করিলেন । শ্ৰীযুক্ত অমৃতলাল বসু মহাশয় বলিলেন যে, চণ্ডীবাবুর প্রবন্ধে যতটা আশা করিসি।-- ছিলেন, ততটা পান নাই। চণ্ডীবাবু অনেক স্থলে “Boswell”কে বরাত দিযাছেন । যুরোপের মত এদেশেও যার তার জীবনী লেখা আরম্ভ হইয়াছে। চকীবাবু বলি পাছেন— - বাজে কথা বাদ দেওয়া উচিত । কথা ঠিক বটে, কিন্তু বাজে কথা ঠিক করা দায় । । যাহারা চরিতনায়কের আত্মীয়, প্রথমে তাহারা যে যাহা জানেন, তাহা লিপিবদ্ধ করিবেন। পরে চরিতম্মুেখক তাহ বাছিয়া লইয়া জীবনী লিখিবেন। জীবনচরিতে রচনার এইরূপ ७०ांदनी श्७क्षा ठेडि যাহাদের জীবন জাতীয় জীবনের বা সমূজের উপর প্রভুত্ব কৱিब्रा?छ-डाश्gतद्भ३ জীবনী লেখা উচিত <ng শ্ৰীযুক্ত অতুলকৃষ্ণ গোস্বামী মহাশয় বলিলেন যে, প্ৰবন্ধ-লেখক বলিয়াছেন—চৈতন্যচরিতামৃত গ্ৰন্থই এদেশে প্রথম জীবনচরিত। সে কথা ঠিক নহে। বরং চৈতন্যভাগবতেরই ঐ আসন লভা। প্রকৃত, প্রণালীতে জীবনচুরিতের দৃষ্টান্ত-ভক্তিরত্নাকর। একজনের ” মুখে সম্পূর্ণ জীবনচরিত পাওয়া যায় না। যিনি যে গুণের গ্রাহক, তাহারই মুখে আমরা সেইটী জানিতে পারি। পাঁচজনের বিবরণ মিলাইলে তবে আমরা সম্পূৰ্ণ জানিতে পারিব । V প্ৰবন্ধলেখক মহাশয়—বলিলেন, অনবসরবশতঃ তিনি প্ৰবন্ধ সম্পূর্ণ করিতে পারেন নাই।