পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

" . . . . . " " هزار شد، گاه न »७०é | } बैठढ्l-ā ; . ம்ே এন্থলে কাব্যারম্ভের প্রথম কবিতাতেই ফ্লোই বিষয়ের ব্যবস্থা করায় যেন বিশেষ ভাবপ্রকাশক হইয়া পড়িয়াছে বলিয়া বোধ হয়। পূৰ্ব্বোন্ধত অংশে শীতলা-দেবীর উৎপত্তি সম্বন্ধে কবি কেবল “কশ্যপের যোগে জন্ম।” এই অৰ্দ্ধচরণ মাত্র বলিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছেন। স্কন্দপুরাণে रुछत्र श्रीक्षा एथगि হইলেও আমরা তাঁহাতে কিছুই পাই নাই। ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে ষষ্ঠী মনসার উৎপত্তির কথা আছে, . কিন্তু শীতলার নামগন্ধও নাই। যতদূর জানি, তাহাতে মৎস্ত, অগ্নি ও বিষ্ণু প্রভৃতি পুরাণাদিতেও কিছু নাই, সুতরাং কবির কথামত আমরা শীতলাকে এখন কশ্যপাত্মজা বলিয়াই গ্ৰহণ করিলাম। কবি দেবীর রূপবর্ণনাত্মক যে কয়টী কবিতা লিখিয়াছেন, তাহার ভাষা তিনিই একা বুঝিয়া গিয়াছেন, শ্রোতৃবৰ্গ বা পাঠকবর্গের বুঝিবার জন্য তন্মধ্যে একটী কবিতাও পরিষ্কার ভাবব্যঞ্জক হয় নাই। এতদ্ভিন্ন কবি একটী মহা অদ্ভুত কথার উত্থাপন করিয়াছেন। তিনি তঁহার লেখনীর একটী খোঁচায় বাল্মীকির কাব্যের, এমন কি ভগবানের রামান্বতারের সমস্তু মহিমাই হরণ করিয়াছেন—“বিষম বসন্ত বল, বধিল রাবণদল, প্ৰথমে পুজে রঘুৱাম।” বাল্মীকি রাবণ মারিবার জন্য ভগবানকে রামচন্দ্ৰ করিয়াছেন, কৃত্তিবাস হনুমানকে দিয়া মৃত্যুবাণ হরণ করাইয়াছেন, আর দৈবকীনন্দন রামচন্দ্রকে দিয়া শীতলা।পুজা করাইয়া বসন্ত পীড়ায় সদলে রাবণকে মারিয়াছেন। কবি-কল্পনা এমন না হইলে বিচিত্ৰা বলিয়া খ্যাতিলাভ করিবে কেন ? তাহার পর কবিবল্লভ শীতলাকে মৰ্ত্ত্যলোকে স্বপূজা-প্রচারার্থ চিন্তিত করিয়া তুলিয়াছেন ;一 “ঈশ্বরী বলেন শুন পাত্র জরাসুর। তব তুল্য পৃথিবীতে কে আছে অসুর। সকল দেবেতে আছে মোর অধিকার । মনুষ্য গৃহেতে পূজা না হয় আমার ৷ মা শীতলা বসন্ত রোগাধিষ্ঠাত্রী, তঁহার পরামর্শদাতা কাজেই জরাসুর। জ্বর ও আবার অসুর! আয়ুৰ্ব্বেদমতেও পৃথিবীতে বাস্তবিকই আর কোন প্রবল রোগাসুর নাই। জরাক্ষরও বলিল,- “আগে শীত আরম্ভ পশ্চাতে মাথা ব্যথা । চৌদ্দপ্রহর জরাভোগ আমি করি তথা৷” চৌদ্ধপ্রহর অর্থাৎ "দেড়দিন জরভোগের পর প্রায়ই, বসন্ত দেখা দেয় এবং মাথাব্যথা । সহ শীতযুক্ত জরই বসন্তাবির্ভাবের লুক্ষণ বটে। তাহার পর জরাসুর মার আক্ষেপ শুনিয়া বলিল,-” “চৌষট্টি বসন্তে মাতা ডেকা আন তুমি। পুজার বিধান কথা বল্য দিব আমি ॥”