পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రికి 41 শীতলা-মঙ্গল- * voo করিতে লাগিলেন। শিবশিয়ে শত কলী স্বতমধু ঢালিয়া শিবচরণে সহস্রপদ্ম উৎসর্গ করিয়া” রাজা পুজা কুরিলেন। ভক্তের আকুল আহবানে ভোলানাথের প্রাণ ‘উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিল, তিনি জনৈক পার্ষদকে ডাকিয়া, কোথায় কোন ভক্ত কি বিপদে পড়িয়াছে তাহার তথ্য জিজ্ঞাসা করিলেন। কবিবান্নভ শিবের এই পার্শ্বচরাচীর) এক নূতন নাম দিষাছেন,-নন্দী, ভুঙ্গী গণেশাদি পুরাণ প্ৰচলিত শিবানুচরগণকে ऊँछिद्धि প্ৰবৃত্তি হয় নাই। কবি কল্পিত এই শিবানুচরের নাম “ভীমক্ষেত্র,”- (১) “ভীমক্ষেত্রে ডাকিয়া বলেন পশুপতি।” i (২) “শুন৷ ভীমক্ষেত্ৰ তুমি আমার বচন ।” তাহার পর ভীমক্ষেত্র মহাশয় খড়িপাতিয়া চন্দ্ৰকেতুর সহিত শীতলার রিবাদে চন্দ্ৰকেতুর ' বৰ্ত্তমান অবস্থা যােহা ঘটিয়াছে, তাহা জানিতে পারিয়া শিবকে জানাইলেন। শিব মহাজুদ্ধ হইয়া স্বদলবল সংগ্ৰহ করিলেন,-চৌদ-লোকপতি, পঞ্চাশ হাজার দানা ও একলক্ষ ভূত জড় হইল। কবি এই দলের সেনাপতি-গোছের একজনের পরিচয় দিয়াছেন,- ” “নেক টেকা মেঘনাদ বিষম মুরাতি।” তৎপরে সকলে চন্দ্ৰকেতুর রাজ্যে উপস্থিত হইলেন। বসন্ত দূর করিবার জন্য,- "মেঘনাদ আসি করে বিষম গর্জন ৷” এই মেঘনাদের কাব্যোচিত রূপকাবরণ ছাড়াইয়া যদি “মেঘের নাদ” এইরূপ একটা কিছু ধুরা যায়, তাহা হইলে বোধ হয় বসন্তকালে মেঘ গৰ্জনাদি দ্বারা পৃথিবীতে তাড়িত সঞ্চার ও পরোক্ষে বৃষ্টিপাত ইত্যাদিতে বসন্তোপদ্রব শান্ত হওয়ার পক্ষে অনেক সুবিধা হয়, ইহা অনুমান করিলে অন্যায় হয় না। যাহা হউক শীতলা সে গর্জন শুনিয়া একটু শিহরিলেন, জম্বরকে ডাকিয়া বলিলেন,- “প্ৰেত ভূত দানা সঙ্গে আইল শূলপাণি। আর কি পুজিবে চন্দ্ৰকেতু নৃপমণি ৷” পাত্র পরামর্শ দিয়া ভূতের গাত্রে। “ভূতমুখ” বসন্ত ফুটাইতে বলিলেন এবং নিজে শিবালুচর বলিয়া শিবজর হইয়া দেখা দিলেন। “ভূতমুখার” প্রভাবে ভূতেরা “মড়াকাঠ” হইয়া উঠিল, কাদিয়া শিবের কাছে গিয়া জানাইল,- “বসন্তে ফাটিয়া মারি না দেখ নয়নে।” শিবের মস্তিষ্কে তখন বড়ই গোল বাধিয়াছে। তিনি ভক্তের বিপদ দূর করিতে আসিয়া স্বদলে বিপদে পড়িয়াছেন, কাজেই কোন কথা তাহার কাণে প্ৰবেশ করিতেছে না। " কবি বলিতেছেন “ভূতগণের কথা শিব না করে শ্রবণ।”